ফাইজ তাইয়েব আহমেদ
জুন ২০২১ এর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৫% বর্ধিত দেখিয়ে $৪৬ বিলিয়ন দেখানো হয়েছিল। আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হয়েছে $৩৯ বিলিয়ন, অর্থাৎ ৭.২ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল।
রিজার্ভের যে অংশ অর্থায়ন হয়ে গেছে, আবাসিক ব্যাংকে জমা হয়েছে, নন ইনভেস্টমেন্ট গ্রেড বন্ডে বিনিয়োগ হয়েছে এবং শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, তা এডজাস্ট করা হয়নি।
এক বছরের বেশি সময় পার করার পর ২০১৯-২০ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করলো সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো- বিবিএস। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.৫১ শতাংশ। যদিও সরকারের দাবি ছিল ওই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫.২৪ শতাংশ।
প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে যত গোঁজামিল বিবিএস তৈরি করেছে, তার কয়াটা ধরা খাওয়ার পর ঠিক করবে?
আর দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, বিদেশী সংস্থার কি ঠেকা পড়েছে এভাবে বার বার বিবিএস এর জালিয়াতি ধরে দিবে?
জনসংখ্যা, জাতীয় আয়, প্রবৃদ্ধি, ফরেক্স রিজার্ভ, মাথাপিছু ঋণ, মোট বৈদেশিক ঋণ, মোট খেলাপি ঋণ, কৃষি-শিল্প-রপ্তানী প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, আয়কররের হিসেব ইত্যাদি খাতে আর কতদিন গোঁজামিল চালিয়ে যাবে বিবিএস? গোঁজামিল ডেটার উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা কি সুস্থ ও সুষ্ঠু হয়?
দেশী অর্থনীতিবিদ, সিপিডি, ব্রাক-বিআইজিডি, পিপিআরসি ইত্যাদি বেসরকারি সংস্থা কিংবা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা বিয়াইডিএস এর কাজটা আসলে কি? শুধু তেল্বাজি করা? সরকারের সেট করে দেয়া ডেভেলপমেন্ট ন্যারেটিভের পক্ষে গোঁজামিলে ভরা ম্যানিপুলেটেড ডেটা উৎপাদনের পক্ষে সমর্থন দিয়ে যাওয়া?
সূত্র — দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড/ অক্টোবর ২৩, ২০২১
- লেখক নেদারল্যান্ডসের ভোডাফোনে কর্মরত প্রকৌশলী এবং টেকসই উন্নয়নবিষয়ক বিশেষজ্ঞ।
No comments:
Post a Comment