Search

Wednesday, January 10, 2018

BCL activists drive female student out of BAU hall at night

BAU Correspondent 


Afsana Ahmed Eva, a student of Bangladesh Agricultural University’s Begum Rokeya Hall, goes on hunger strike in front the dormitory on January 9, 2018. Photo: Collected


A first year student of agriculture faculty of Bangladesh Agricultural University has complained that Begum Rokeya Hall unit activists of Bangladesh Chattra League drove her out of her room at midnight past Monday as she refused to take part in a procession took off by the university BCL on the campus on January 4 marking its founding anniversary.

The victim, Afsana Ahmed Eva, also an activist of Socialist Students’ Front, stayed the whole night in front of the hall gate and began hunger strike on Tuesday morning protesting at the eviction.

Afsana on Tuesday alleged that BCL leaders and activists had been threatening her to throw her out of the hall since January 4 and she informed the provost about the threatening on January 5 and submitted a written complaint on January 7.
BAU BCL activists called her at the guest room of the hall at about 12 midnight on 

Tuesday and forcibly threw her out of the hall with her bag and baggage, she added.

On information, BAU proctor Atikur Rahman Khokan went to the hall at about 11.00am, convinced her to give up the hunger strike and sent her back to her seat in the hall at about 4.00pm.

A three-member committee was formed to investigate the matter and it was asked to submit its report within seven days, the proctor said.

BAU BCL general secretary Mia Md Rubel said BCL activists were not involved in the incident.


  • Courtesy: New Age, Jan 10, 2018 

কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দিল ছাত্রলীগ



ডেস্ক রিপোর্ট/ আমাদের সময়.কম


হল থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে গেটে অনশন করছেন আফসানা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে ওই শিক্ষার্থী হলের সামনে ‘আমরণ অনশনে’ বসেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে। এদিকে বিষয়টি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আফসানা আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বেগম রোকেয়া হলে থাকেন। আফসানা অভিযোগ করেছেন, ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেননি। এরপর হলের ছাত্রলীগের কর্মী ওয়াহিদা সিনথি, সাদিয়া স্বর্ণা, শিলা ও ইলাসহ কয়েকজন তাঁকে হল থেকে গতকাল সোমবার রাতে বের করে দেয়। আফসানা ব্যক্তিগতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফন্টের একজন কর্মী হওয়ায় তিনি ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ দেননি।

আফসানা আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার জের ধরে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইসমত আরা বেগম তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ( হলের সংস্কার কাজ চলায় সাময়িক ব্যবস্থা) অবস্থান করার কথা বললেও তিনি তা শোনেনি। তিনি রাতে হলের ফটকের সামনে অবস্থান করেন। পরে রাত চারটার দিকে হলের ছাত্রফ্রন্ট সাধারণ সম্পাদক ইসরাত জাহানের কক্ষে চলে যান আফসানা।

এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে আফসানা রোকেয়া হলের সামনে ‘আমরণ অনশনে’ বসেন। দুপুর ১২টার দিকে প্রক্টর এসে ছাত্রীকে তাঁর দপ্তরে নিয়ে যান এবং লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। কিন্তু তখনই আফসানা অভিযোগ লিখিত আকারে না দিয়ে কিছুটা সময় নেন।

এই সুযোগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই হলের ছাত্রলীগের চার কর্মীর নেতৃত্বে অর্ধ শত শিক্ষার্থী আফসানার বিরুদ্ধে হল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ছাত্রীরা বলেন, ওই ছাত্রী হলে উঠার পর থেকেই সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেয়াদবি করছিলেন। এমনকি প্রভোস্টের সঙ্গেও বেয়াদবি করেন। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁকে হল থেকে বের করে দিয়েছে।

আফসানা অভিযোগ লিখে তা নিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে ফের হলের সামনে অনশন শুরু করেন। তখন সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম জাকির হোসেন এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ওই ছাত্রীকে নিয়ে হলের ভেতরে নিয়ে যান। এরপর আলোচনা করে আফসানাকে তার কক্ষে দিয়ে আসেন।

বেগম রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইসমত আরা বেগম বলেন, সমস্যার কারণে ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকার কথা বলি। কিন্তু তিনি তা শোনেননি।

অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সবুজ কাজী বলেন, একটি হলে এত মেয়ে থাকতে একজন মেয়েকে কেন বের করে দেওয়া হবে? ছাত্রফ্রন্ট তাদের একজন কর্মীকে দিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে। যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্য নয়।

ছাত্রলীগের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ইসরাত জাহান বলেন, ছাত্রফ্রন্ট কোনো চক্রান্ত করেনি। ছাত্রলীগের অভিযোগ সত্য নয়। কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ছাত্রলীগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দিয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আতিকুর রহমান বলেন, ওই শিক্ষার্থী তাঁর কক্ষে থাকবেন। হল প্রশাসনকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এরপর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


  • তথ্যসূত্র : প্রথম আলো, জানুয়ারি ১০, ২০১৮ 

উন্নয়ন অন্বেষণের মূল্যায়ন - অর্থনীতির বেশিরভাগ সূচক ছিল নিম্নমুখী



বিদায়ী বছরে অর্থনীতির বেশিরভাগ সূচক ছিল নিম্নমুখী। বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থান কমে যাওয়া, বছর শেষে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি দুর্বিষহ করে তুলেছে নিন্মআয়ের মানুষের জীবন। দূরদর্শী নীতির অভাবেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা আর্থিক খাতের সুশাসনকে ব্যাহত করেছে। এ ছাড়া বৈষম্য বৃদ্ধি, সীমিত উৎপাদন সক্ষমতা, দেশ থেকে টাকা পাচার বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিকাঠামোর অদক্ষতা অর্থনীতিতে মধ্যমেয়াদি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘উন্নয়ন অন্বেষণ’র বার্ষিক পর্যালোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ অবস্থার উত্তরণে আর্থিক খাতে প্রতিষ্ঠানিক সংস্কার, ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির মধ্যে সমন্বয়ের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। রোববার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

উন্নয়ন অন্বেষণ বলছে, দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। গত ৫ বছর ধরে এ প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের উপরে। কিন্তু এর সুফল সাধারণ জনগণের নাগালের মধ্যে পৌঁছানোর জন্য দূরদর্শী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ভঙ্গুরতা দূর করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি। কিন্তু গত কয়েক বছরে এ ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ নেই। এতে বৈষম্য বেড়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণের হার কমেছে। ফলে অনেক উন্নয়নের কথা বলা হলেও সাধারণ মানুষ খুব বেশি সুফল পায়নি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ২০১৬ সালের আয়-ব্যয় জরিপে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে দারিদ্র্য দূরীকরণের বার্ষিক গড় হার কমেছে। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে গড়ে প্রতিবছর ১ দশমিক ৭ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমেছে। কিন্তু ২০১০ থেকে ২০১৬- এ ৫ বছরে দারিদ্র্য কমেছে গড়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ হারে। একই সময়ে অতি দারিদ্র্য দূরীকরণের বার্ষিক গড় হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ধনী-দরিদ্র্যের বৈষম ক্রমেই বাড়ছে। ২০১০ সালে দেশের ১০ শতাংশ দরিদ্র্য মানুষের মোট জাতীয় আয়ে ২ শতাংশ অবদান ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে তা কমে ১ দশমিক ০১ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ২০১০ সালে দেশের ১০ শতাংশ ধনী লোকের মোট জাতীয় আয়ে অবদান ছিল ৩৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। কিন্তু ২০১৬ সালে তা বেড়ে ৩৮ দশমিক ১৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অর্থ্যাৎ গরিব আরও গরিব হচ্ছে, বিপরীতে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে।

অর্থনীতির অন্যতম একটি উদ্বেগের বিষয় হল কর্মসংস্থান হ্রাস। বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির বার্ষিক হার ৩ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনীতিতে এর ব্যাখ্যা হল- সুবিধাবঞ্চিতদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়নি।

গবেষণা সংস্থাটির রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিদায়ী বছরের মে থেকে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। অক্টোবরে তা বেশি বেড়েছে। ২০১৭ সালের মে থেকে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশে উন্নীত হয়। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হারও নিন্মআয়ের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০১০ সালে দেশে মাথাপিছু ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩১৮। ২০১৬ সালে তা কমে ২ হাজার ২১০ ক্যালরিতে নেমে আসে।

অর্থনীতিতে আরও একটি সমস্যা হল- উৎপাদন সক্ষমতা কমছে। জিডিপির অনুপাতে বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির, বাড়ছে অর্থ পাচার এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সৃষ্টি হয়েছে অস্থিতিশীলতা। ২০১১-১২ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি গড়ে এক শতাংশেরও কম। ২০১১-১২ অর্থবছরে জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগের হার ছিল ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ, ২০১২-১৩ সালে ২১ দশমিক ৭৫, ২০১৩-১৪ সালে ২২ দশমিক ০৩, ২০১৪-১৫ সালে ২২ দশমিক ০৭, ২০১৫-১৬ সালে ২২ দশমিক ৯৯ এবং ২০১৬-১৭ সালে ২৩ দশমিক ০১ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে।

অন্যদিকে দেশ থেকে অর্থ পাচার বাড়ছে। ২০১০ সালে ৫৪০ কোটি ডলার, ২০১১ সালে ৫৯২ কোটি, ২০১২ সালে ৭২২ কোটি এবং ২০১৩ সালে ৯৬৬ কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। জিডিপির অন্যতম খাত কৃষিতে প্রবৃদ্ধির হার কমছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে এ খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। এরপর ধারাবাহিকভাবে কমছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা ৩ দশমিক ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়লেও সেবা খাত স্থবির।

অর্থনীতির অন্যতম একটি সূচক হল রাজস্ব আয়। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক কাঠামো অনুসারে জিডিপির ২২ শতাংশ হারে রাজস্ব আয় হওয়া উচিত। কিন্তু ২০১২-১৩ অর্থবছরে এ হার ছিল ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১১ দশমিক ৬৬, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১০ দশমিক ৭৮, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১০ দশমিক ২৬ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ। এর অর্থ হল- রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এ ছাড়া বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। এতে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।


  • যুগান্তর, জানুয়ারি ১, ২০১৮  

Tuesday, January 9, 2018

দেশে মাসে গড়ে ২৮ শিশু হত্যা ও ৪৯টি ধর্ষণ

শিশু অধিকার ফোরামের ২০১৭ সালের প্রতিবেদন


নিজস্ব প্রতিবেদক   


দেশে প্রতি মাসে গড়ে ২৮টি শিশু হত্যার শিকার হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার হচ্ছে ৪৯টি শিশু। দেশে ২০১৭ সালের শিশু অধিকার পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক। ১২ মাসে তিন হাজার ৮৪৫টি শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে এক হাজার ৭১০টি শিশু অপমৃত্যুর শিকার হয়েছে। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৮৯৪টি শিশু।

গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সংস্থাটির চেয়ারম্যান এমরানুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে শিশু অধিকার পরিস্থিতি-২০১৭’ শিরোনামের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিএসএএফ পরিচালক আব্দুস শহীদ মাহমুদ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে শিশু হত্যা ও ধর্ষণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ২০১৭ সালে ৩৩৯টি শিশু হত্যা ও ৫৯৩টি শিশু ধর্ষিত হয়েছে, যা ২০১৬ সালের চেয়ে যথাক্রমে ২৮ ও ৩৩ শতাংশ বেশি। সেই সঙ্গে বেড়েছে গণধর্ষণ, প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ, বখাটেদের মারধর ও কুপিয়ে জখম করা এবং গোপনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা। তবে গত বছর আগের বছরের তুলনায় মা-বাবার হাতে শিশু হত্যা ২২ শতাংশ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক নির্যাতন ৫৫ শতাংশ ও কথিত চুরির অপরাধে নির্যাতনের ঘটনা ৩৮ শতাংশ কমেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে শিশু হত্যার ঘটনা ঘটে ৩৩৯টি, যা ২০১৬ সালে ছিল ২৬৫। আত্মহত্যা ২১৩টি, যা ২০১৬ সালে ছিল ১৪৯। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫৭, পানিতে ডুবে ৩৯১, বজ্রপাতে ৪৯, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৬৪, ভুল চিকিৎসায় ৩৫, নৌ দুর্ঘটনায় ৩১, রাজনৈতিক সহিংসতায় চার ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় ১৬৭টি শিশু প্রাণ হারায়। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ২২টি শিশুকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে সাতটি। ধর্ষণের চেষ্টা ৭২টি এবং যৌন হয়রানি ৫১টি। যৌন হয়রানির অভিযোগ ৯০টি, বখাটেদের হামলায় জখম ৬২টি শিশু এবং পর্নোগ্রাফির শিকার ২৬টি শিশু। ২০১৭ সালে ধর্ষণ করা হয় ৫৯৩টি শিশুকে, যা ২০১৬ সালে ছিল ৪৪৬। গণধর্ষণের শিকার হয় ৭০টি শিশু। প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৪৪টি।


  • উৎস - কালেরকন্ঠ, জানুয়ারি ৯, ২০১৮। 

টিআইবির বিবৃতি - ফারমার্স ব্যাংকে রাখা জলবায়ু তহবিলের টাকা উদ্ধারের দাবি

যুগান্তর রিপোর্ট

ফারমার্স ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতি, অনিয়ম, গ্রাহকের আমানতসহ জলবায়ু তহবিলের গচ্ছিত অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘ফারমার্স ব্যাংকে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের গচ্ছিত ৫০৮ কোটি টাকা আমানতের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর চাহিদা অনুযায়ী ফেরত দিতে ব্যর্থতার ঘটনা শুধু উদ্বেগজনকই নয়, পুরো ব্যাংকিং খাতের জন্য অশনিসংকেতও।’

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমানতকারীদের অর্থের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল গঠনের উদ্যোগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলন, ‘সেই তহবিলের অর্থ তুলনামূলকভাবে সুখ্যাতিসম্পন্ন ও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠানে জমা না রেখে কোন যুক্তিতে, কার স্বার্থে ফারমার্স ব্যাংকে অধিক মুনাফার নামে রাখা হল, সেই প্রশ্নই এখন সবার।’ তহবিলটি পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সবার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল ছাড়ে বিলম্ব হলে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাবে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর থেকে উত্তরণে জলবায়ু তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।’

ড. জামান বলেন, ‘তারল্য সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ফারমার্স ব্যাংকের প্রতি আস্থা হারিয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন গ্রাহক ও প্রতিষ্ঠান তাদের আমানতের বিপরীতে প্রাপ্য অর্থ ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। ঋণ জালিয়াতিসহ ব্যাংকটির লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির বোঝা গ্রাহকদের কাঁধে চাপিয়ে দেয়া কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’


বিবৃতিতে ড. জামান আরও বলেন, আমানতের বিপরীতে প্রাপ্য অর্থ গ্রাহকদের ফেরত প্রদানসহ ব্যাংকটির ঋণ জালিয়াতি ও অন্যান্য অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। শুধু পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন বা ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন যথেষ্ট নয়। ফারমার্স ব্যাংক তথা সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতের স্বার্থে আগের পরিচালনা পর্ষদসহ এ ব্যাংকের শীর্ষ উদ্যোক্তাদের মধ্যে যারা এ সংকটের জন্য দায়ী, তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।


  • Courtesy: Dainik Jugantar,  Jan 09, 2018

বড় প্রকল্পে দুর্নীতি সরকারের ‘সাড়া পাচ্ছে না’ দুদক

সাংবাদিকদের ইকবাল মাহমুদ


যুগান্তর রিপোর্ট 


সরকারের বড় প্রকল্পে দুর্নীতি ঠেকাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সরকারের তরফে সাড়া মিলছে না বলে মন্তব্য করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। সোমবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।


তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে বড় বড় প্রজেক্টে দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের সাহায্য দরকার আমরা এগিয়ে যাব। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে আমরা এ বিষয়টি সরকারকে জানিয়েছি। কিন্তু আমরা আসলে কোনো রেসপন্স (সাড়া) পাইনি। ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারের সাড়া না মিললেও আমরা হতাশ নই। বড় প্রকল্পের দুর্নীতি প্রতিরোধে স্বপ্রণোদিত হয়েই কাজ করছে দুদক।


আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীদের হলফনামায় সঠিকভাবে সম্পদের হিসাব দেয়ার আহবান জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান। অন্যথায় আমরা যখন জানতে পারব তখন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দু-একজন সংসদ সদস্যের ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনে লিখেছি। বলেছি, তাদের সম্পদ বিবরণী সঠিক নয়। জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দুদক, স্বপ্রণোদিত হয়ে অনুসন্ধান করবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের চোখের সামনে এলে আমরা অনুসন্ধান


দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, প্রায় ১০টি মামলায় মূলত যাদের আসামি হওয়ার কথা, সেখানে তাদের স্ত্রীরাও আসামি হয়েছেন। এটি একটি সামাজিক সমস্যা বলে মনে হচ্ছে। তাই স্ত্রীদের নামে যেন অবৈধ অর্থ না রাখা হয় সে বিষয়ে আমরা সতর্ক করছি। তিনি বলেন, স্ত্রীদের গ্রেফতার করা হলে তারা বলেন, ওই বিষয়ে কিছুই জানেন না। ফলে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে দুদক এ বছর কাজ করবে।


তিনি বলেন, প্রকৌশলী বিভিন্ন সংস্থার বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ বছর আমরা চেষ্টা করব, টেন্ডার এবং ক্রয়-বিক্রয়ে যেন কোনো ধরনের দুর্নীতি না হয়। সেজন্য প্রকৌশলীদের সঙ্গে সভা করে, সরকারি অর্থ যাতে অপচয় না হয় সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হবে। কারণ আমাদের বাজেটের সিংহভাগই যায় প্রকৌশলীদের মাধ্যমে। আমরা চাচ্ছি, জনগণের অর্থ যেন সঠিকভাবে ব্যয় হয়। জনগণের অর্থ নিয়ে যেন দুর্নীতি না হয়। সেটা বন্ধে আমরা এ বছর চেষ্টা করব।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ২০৩০ সালে জাপান, চায়নাসহ বিভিন্ন দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা বাড়বে। এর সংখ্যা প্রায় ২৭ কোটি। এর মধ্যে ১৮ শতাংশ আমাদের। তবে এই জনশক্তি শিক্ষিত না অশিক্ষিত যাবে সেটা একটি বড় প্রশ্ন। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় কোনো দুর্নীতি যেন না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি সরকারি ২৫টি খাতে অপচয়, দুর্নীতি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হবে।



  • Courtesy: Dainik Jugantar,  Jan 09, 2018

Violence against children alarming in 2017: BSOF reports

Staff Correspondent



Violence against children, especially child killing and rape, increased alarmingly in the past year in comparison with the year before, said a report on ‘state of child rights in Bangladesh’ published by Bangladesh Shishu Odhikar Forum (BSOF) on Monday.

The organisation published the report, a review of reports on child issues published in 10 national dailies throughout the year, at a press conference at Dhaka Reporters’ Unity in the capital.

Reading out the report, the Forum director, AS Mahmood, said that the country witnessed an average of 28 child killings and 49 child rapes a month in 2017 amid a ‘culture of impunity and delay in justice system’. ‘A total of 3,845 children were victims of violence and oppression and, of them, 1,710 were victims of different types of unnatural deaths while 894 faced sexual violence in 2017,’ he said.

In 2016, he said, a total of 3,589 children were victims of violence and oppression and, of them, 1,441 were victims of different types of unnatural deaths and 686 faced sexual violence in 2017,’ he said.

He said that a total of 339 children were killed and 593 were raped in 2017, an increase by 28 per cent and 33 per cent respectively than those in 2016. The report showed that incidents of gang-rape, rape of disabled children, attack by stalkers and making obscene videos of children and uploading them on social media increased in 2017.

In 2017, different courts announced verdicts of 44 child killing cases, 32 child rape cases and six child abduction cases but, barring four or five, all the incidents happened between 2010 and 2014 or before, the report said.

It said that 213 children committed suicide in 2017, up by 43 per cent than 2016.

Four children were killed in political violence in 2017. The number was six in 2016, the report said.

According to the report, 70 children were gang-raped, 44 disabled children were raped, 22 children were killed after rape, 7 children committed suicide after being raped, 90 children were sexually harassed, 62 were injured in attacks by stalkers and 26 children were victims of pornography in 2017, all increased in number than the previous year. The highest 67 child rapes were committed in Dhaka, followed by 28 in Gazipur and 24 in Narayanganj, the report showed.

In 2017, a total of 17 unidentified abandoned newborns were found while 24 unidentified abandoned newborns were found dead as per the report of the forum, a network of 269 non-governmental organisations.

The report suggested speedy trial of the cases related to violence against children, exemplary punishment of the perpetrators, early execution of the verdicts, ensuring safety of the plaintiffs, victims and the prosecution witnesses for improving the child rights situation.

Addressing the programme, National Human Rights Commission chairman Kazi Reazul Hoque said that the oppressors seldom fear the law as their punishment could not be ensured and that they knew that they would enjoy impunity after committing an offence. 

He stressed the need for formulating rules of Child Act 2013 for its implementation. Reazul urged strict monitoring by Election Commission so that no political party could use children in political programmes.


  • Courtesy: New Age, Jan 09 2018 

Monday, January 8, 2018

কোটি টাকার ‘সোহাগী’ প্রাসাদ







(বাংলাদেশি ভয়েসেস ডেস্ক) — ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ যেন আরব্য রজনীর কথিত আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন।  শনিবার, জানুয়ারি ৬, ২০১৮ সাংবাদিক উৎপল দাস এর করা রিপোর্টে উঠে এসেছে অবিশ্বাস্য  এক কাহিনী। কয়েক কোটি টাকা খরচে তিনি গড়ে তুলেছেন তিনতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি । মাদারীপুরের সবচেয়ে অভিজাত বাড়িটির মালিক এখন সাইফুর রহমান সোহাগ।


পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ছাত্রলীগ সভাপতির বিত্তবৈভবের মালিক বনে যাওয়ার কাহিনী। বিশেষ করে ছাত্রলীগ সভাপতি হওয়ার মাত্র ২ বছরের মাথায় বিলাসবহুল বাড়ি তৈরির বিষয়টি নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড়ও সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সব মহলে। মাদারীপুর সদরে সোহাগ কয়েক কোটি টাকা খরচ করে নতুন এ বাড়ি তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। তিনতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি তুলেছেন সোহাগের পরিবার। বাড়ির কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ১ মাস আগে।

এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, মাদারীপুরের সবচে অভিজাত বাড়িটির মালিক এখন সাইফুর রহমান সোহাগ। ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পরই তিনি যেন আলাদীনের চেরাগ পেয়ে যান। ডুপ্লেক্স এই বাড়িটির পাশেই ছাত্রলীগ সভাপতির আগের টিনশেড বিল্ডিং এখনো রয়েছে। নতুন বাড়িটি দেখতে এলাকার মানুষরা এখন ভিড়ও করছেন বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি।

সাইফুর রহমান সোহাগের পিতা এইচ এম আবদুর রহমান একজন শিক্ষক এবং মা সমাজসেবী মর্জিনা খানম পেশা অবসরপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ সহকারী। 

নতুন অভিজাত বাড়ির বিষয়ে জানতে চেয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এ প্রতিবেদক বিকাল ৫ টা ৪০ মিনিটে নিউজ সংক্রান্ত মন্তব্য চেয়ে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি তার জবাব দেননি। 

  • তথ্যসূত্রঃ http://www.pbd.news

Saturday, January 6, 2018

সমাবেশ করতে না দেয়ার মানসিকতা খুব লাভ বলে মনে হয় না


মারুফ হাসান নাসিম



বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেওয়ায় তারা যদি সাংঘর্ষিক না হয়ে নমনীয় হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে, তাহলে তাদের রাজনীতির জন্যই ভালো। তারা নির্বাচনের রাজনীতিতে এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিলো না, এতে তাদের দলের লোকরা খুশি হচ্ছে, সাধারণ মানুষ তো নয়। এই দুই দলই কিন্তু সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন। এখন ৫ জানুয়ারিতে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিবে না, তাহলে ৬ তারিখে দিবে, না হলে ১২ তারিখে দেওয়া উচিত। একটা দলকে সমাবেশ করতে দিবো না, এই মানসিকতা তো আমাদের রাজনীতিতে খুব একটা লাভ বলে আমার মনে হয় না। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী এই কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়নি, এটাই তো বাংলাদেশের স্বাভাবিক চিত্র। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দিয়ে তাদের ভাবমূর্তি খুব একটা বাড়ছে বলে আমার মনে হয় না। আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে বিএনপিকে ঢাকায় ঢুকতেই দিতে চায় না। এটা তো অনেকেই অনেকবার বলেছে কিন্তু আওয়ামী লীগ মনে করে, এই দাবিটা অস¦ীকার করেও চলতে পারে তারা। তা ছাড়া আমাদের রাজনীতি হলো দলাদলি, মারপিট ও খুনাখুনির রাজনীতি। এখন সেই রাজনীতিতে সমাবেশের কী ভূমিকা আছে? সামগ্রিকভাবে আমাদের রাজনীতি খুব ভয়ঙ্কর। এই সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে সমাবেশের কোনো ভূমিকা নেই, এটা লোক দেখানো।

তিনি বলেন, বিএনপি যে শেষ বৈঠক করেছে, তাতে তারা নাকি খুব উজ্জীবিত বোধ করেছে। এটা হলো দলের সংগঠকদের বিষয়। সাধারণভাবে এর দ্বারা জনগণের ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। মানুষ যে খুব বড় একটা সমাবেশ দেখে ভোট দেয়, এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। একদিক থেকে ভোটের একটা বিষয় আছে, আরেক দিক থেকে দলকে সংগঠিত করার বিষয় থাকে সমাবেশে। সমাবেশগুলো দলকে সংগঠনকে শক্তিশালী করে। এটা ভোটিংয়ে কোনো প্রভাব পড়বেনা। আমি যখন সমাবেশগুলো কাভার করেছি সাংবাদিক হিসাবে, তখন অনেক বড় বড় সমাবেশ দেখেছি। কিন্তু পরে তো দেখা গেছে, সে দলই হেরে গেছে।

  • সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
  • সৌজন্যে - http://amaderorthoneeti.com

‘সমাবেশ করতে না দেওয়া খুবই নিন্দনীয়’


মারুফ হাসান নাসিম 


৫ জানুয়ারি আমাদের দেশে একটা কালো অধ্যায়। পাকিস্তান আমল থেকে আমাদের দেশে বহু আন্দোলন সংগ্রাম করে যে ভোটের অধিকার অর্জন করেছিলাম, সে ভোটের অধিকারটাকে বিকৃত করা হয়েছে। সত্যিকার অর্থে ভোটের নামে একটা তামাশা করা হয়েছে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে। আমরা বিরোধিতা করছি। যারা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে তাদের সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। জনগণ যে প্রতিনিধিদের দ্বারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িকতা থেকে রক্ষা পাবে, তারাই আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ধীরে ধীরে সংকুচিত করছে। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান এই সব মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়া খুবই নিন্দনীয়। এই ভাবেই তো সংঘাত-সংঘর্ষকে আমন্ত্রণ জানায় সরকার। যখন সভা-সমাবেশ স্বাভাবিকভাবে করতে দিবে না, তখন অস্বাভাবিক পথে রাজনীতি চলে যাবে। এইটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিপদজনক। সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের বিপদজনক পরিস্থিতি উস্কে দিচ্ছে। এর পরিণতি ভালো হবে না।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকার বলছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হবে না বলে তারা আশা করে এবং সে জন্য তারা চেষ্টা করবে। এখন দেখা যাক সেটার কী হয়? আমরা আশা করব, সরকার একটা উদ্যোগ নিবে এবং একটা সমঝোতা করবে। সবাইকে নিয়ে একটা স্স্থু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে।
  • সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
  • সৌজন্যে - http://amaderorthoneeti.com