Search

Monday, May 14, 2018

সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন দিলে অনেকে অংশগ্রহণ করবে

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব:) মো: আখতারুজ্জামান বলেন, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে  ডিসেম্বরের পর থেকে মার্চের মধ্যে নির্বাচন দিলে আমরা অনেকে অংশগ্রহণ করব। আর ডিসেম্বরের আগে সংসদ বহাল রেখে যে নির্বাচন হবে সেখানে কিছু ছাগল-পাগল অংশগ্রহণ করবে। ছাগল-পাগল দিয়ে কি আর দেশ চলবে।

জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত অনুষ্ঠান তৃতীয় মাত্রায় তিনি একথা বলেন। এছাড়া ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি।

মেজর (অব:) মো: আখতারুজ্জামান বলেন,ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে সংসদ সদস্যদের পদ বহাল রেখে নির্বাচন করা  নৈতিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে। যেখানে অনেক রাজনৈতিকদের গণতন্ত্রের প্রতি অনেকের অনীহা আছে সেখানে নির্বাচনের প্রতি অনীহা থাকতে পারে। ক্ষমতাসীনরা যেটা বলবে সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে। পিছনে বন্দুক ধরে কিছু বললে যাই বলুক তাই ঠিক বলছে বলতে হবে।

কিন্তু বন্দুক না থাকলে কি হবে সেটাও কিন্তু গবেষণার বিষয় মো: আখতারুজ্জামান এই কথার প্রেক্ষিতে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, কেনো বন্দুক থাকবে না প্রশ্ন রাখেন?

মেজর (অব:) মো: আখতারুজ্জামান বলেন, কেনো বন্দতুক থাকবে না তা তো আমরা দেখেছি। শেষ মুহূতে বন্দুক থাকে না। আমরা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা প্রয়োগ নিয়ে নিয়ে হাসি টাট্টা করছি। কারণ চার বছর ক্ষতায় আছে তারপরে আর তাকে ভোট দিবে না তার দেশের জনগণ। সেজন্য তাদের তেমন এর্লাজি নাই। তবে আপনি ক্ষমতার মসনদে বসে সিন্দাবাদের দৈত্যের মত ঘাড়ে চেপে থাকবেন। আপনে কবে যাবেন ঠিক। নির্বাচন দেওয়ার কথা বলছেন সেখানে সংসদ বহাল থাকবে। একজন রানিং এমপি থাকতে আরেকটা এমপি নির্বাচন করতে যাবেন। সাধারণ মানুষের কি হবে তখন?তাই আমি একটা কথায় বলবো নির্বাচন হওয়ার পূর্ব শর্ত হল সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া।

  • Courtesy: AmaderShomoy.com/ May 14, 2018

পছন্দের কাজ পাচ্ছেন না ৬৬ লাখ নারী-পুরুষ

  • বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপ
  • কর্মক্ষম বিশাল জনগোষ্ঠীর ২৭ লাখ এখনো পুরোপুরি বেকার
  • পছন্দের কাজ না পেয়ে নানা ধরনের খণ্ডকালীন কাজ খুঁজে নিয়েছেন অনেকে



দেশের প্রায় ৬৬ লাখ মানুষকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অথচ তাঁরা স্থায়ী চাকরি বা কাজের জন্য উপযোগী। কিন্তু নিজেদের পছন্দমতো কাজ পাচ্ছেন না কিংবা পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে কাজ করতে পারছেন না। তবে ভালো কাজ পেলে করবেন। তাই পরোক্ষভাবে তাঁদের বেকার বলা চলে।

এই বিশাল জনগোষ্ঠীর কেউ এখন পুরোপুরি বেকার, কেউবা টিউশনি কিংবা খণ্ডকালীন কাজ করেন। আবার অনেক শিক্ষিত নারী-পুরুষ আছেন, যাঁরা কাজের উপযোগী হলেও কোনো কাজ করেন না। তাঁদের মধ্যে শিক্ষিত গৃহিণীই বেশি। সংসারের নানা চাপে কিংবা অন্য কোনো কারণে তাঁরা হয়তো আপাতত কাজ করছেন না।

অর্থনীতির ভাষায়, এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে কর্ম–উপযোগী সম্ভাবনাময় শ্রমশক্তি বলা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রকাশিত ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ প্রতিবেদনে এই চিত্র পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থনীতিতে উপযুক্ত কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা যাচ্ছে না। ফলে সম্ভাবনাময় জনশক্তির অপচয় হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমশক্তির বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তারা কাজের বাইরে থাকছে। এটি জনসম্পদ অপচয়ের মতো। তাঁর মতে, শিক্ষিত ব্যক্তিরা যেনতেন কাজ করতে চান না। একদম মেশিন চালানোর মতো কাজে তাঁদের অনীহা আছে।

জাহিদ হোসেন আরও বলেন, এ দেশে কাজের চাহিদা আছে, কিন্তু দক্ষ লোক নেই। চাহিদা ও জোগানের মধ্যে একধরনের ফারাক আছে। যেসব কাজের চাহিদা আছে, সেসব ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে হবে।

বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, দেশে ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী আছে, যারা স্থায়ী কোনো কাজ করে না। তাদের মধ্যে নারীই বেশি। কর্মক্ষম নারীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৫৬ হাজার। আর পুরুষের সংখ্যা ৩২ লাখ ১৯ হাজার। এ জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশের বয়স আবার ১৫ থেকে ২৯ বছর, অর্থাৎ বয়সে তরুণ-তরুণী।

বিবিএসের জরিপ তথ্য অনুযায়ী, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রতি তিনজনের দুজনই কমপক্ষে মাধ্যমিক ডিগ্রিধারী। শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনা করলে দেখা যায়, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬ লাখ ৬৫ হাজার নারী-পুরুষ আছেন, যাঁরা কমপক্ষে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও পছন্দমতো কাজ পাচ্ছেন না। আর মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাস এমন নারী-পুরুষের সংখ্যা সাড়ে ৩৭ লাখ।

বিবিএসের জরিপে, কর্মক্ষম বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে বেকার, খণ্ডকালীন কর্মজীবী এবং সম্ভাবনাময় জনগোষ্ঠী—এ তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।

সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার কম কাজ করেন, এমন ব্যক্তিদের খণ্ডকালীন কর্মজীবী হিসেবে ধরা হয়েছে। বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, খণ্ডকালীন কাজ করেন ১৪ লাখ ৬৫ হাজার জন। মূলত টিউশনি, খণ্ডকালীন বিক্রয় প্রতিনিধি, ফাস্ট ফুডের দোকানের বিক্রয়কর্মী, কল সেন্টারের কর্মী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন তাঁরা। পছন্দের কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে তাঁরা এসব খণ্ডকালীন কাজের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন। তাই নিজেদের এ কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন তাঁরা।

অন্যদিকে কোনো ধরনের কাজ খুঁজেও না পেয়ে পুরোপুরি বেকার রয়েছেন এমন নারী-পুরুষের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। তাঁরা সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করারও সুযোগ পাননি। এ বেকার শ্রেণিতে নারী ও পুরুষ প্রায় সমান সমান।

সম্ভাবনাময় কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বলতে বোঝানো হয়েছে, যখন বিবিএস জরিপটি করেছে, তখন কোনো কারণে কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না, কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কাজ খোঁজা শুরু করবেন। আবার অনেকে বিশেষ কারণে কাজ করতে চান না, কিন্তু যেকোনো কাজ দিলে করতে পারবেন, এমন ব্যক্তি আছেন ২৪ লাখ ৩৪ হাজার। এই শ্রেণিতে প্রায় ১৭ লাখই নারী। সংসারের ঝুট-ঝামেলায় তাঁদের অনেকেই চাকরি করেন না। কিন্তু ভবিষ্যতে সময় ও ভালো সুযোগ পেলে কাজ করার ইচ্ছা আছে তাঁদের।

  • Courtesy: Prothom Alo/ May 12, 2018

খুলনায় নৌকা না ধানের শীষ?

সোহরাব হাসান


খুলনার সিটি করপোরশেনর স্থানীয় নির্বাচনটি আর স্থানীয় থাকছে না। এটি রূপ নিয়েছে জাতীয় নির্বাচনের প্রাকমহড়া হিসেবে। গাজীপুরে ১৫ মে ভোট বন্ধ হওয়ার পর পুরো দেশের দৃষ্টি এখন খুলনার দিকে। 

নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভির ছুড়ছে। বিএনপির আশঙ্কা ভোট ডাকাতি হতে পারে। আওয়ামী লীগের ভয়, বিএনপির বহিরাগত সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস করতে পারে। এরই মধ্যে গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত শেষ মুহূর্তের প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক ও বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জুর। 

খুলনার নির্বাচনে মেয়র পদে এবার পাঁচজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা এবং বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুজ্জাম্মিল হক হাতপাখা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু কাস্তে এবং জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান লাঙল প্রতীকে মেয়র প্রতীকে লড়বেন।

বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এবারের নির্বাচন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি পরীক্ষা হলেও ইতিমধ্যেই তারা ফেল করেছে। ভোট নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও সরকারের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজনে সবকিছুই ভেস্তে যেতে বসেছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের ‘অতি উৎসাহী ভূমিকা এবং নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততার’ সমালোচনা করেন তিনি। বিভিন্ন এলাকায় ভোট ডাকাতির আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে মঞ্জু বলেন, এরই মধ্যে চরমপন্থী-সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে। তিনি সব কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সব জায়গাতেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সব ধরনের নাশকতা এড়াতে আজ রোববার দুপুর থেকে ১৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে।
খুলনায় আজ মধ্যরাত থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রচারে। ভোটারদের কাছে আরজি জানাচ্ছেন ভোটের জন্য।

তবে ভোটারদের ভেতরও একধরনের আশঙ্কা রয়েছে। দলীয় কর্মীরা মন খুলে ভোটের প্রচারে থাকলেও সাধারণ ভোটাররা যেন অনেকটাই সতর্ক। কেউই ভোটের বিষয়ে মুখ খুলতে চান না। তবে প্রথম আলোর কাছে অনেকেই বলেছেন, ভোটকেন্দ্র যাওয়ার মতো সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। তবে কোনো ঝুঁকি দেখলে ভোটকেন্দ্র যাবেন না।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৫ জন নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। এবারের নির্বাচনে ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। ভোট হবে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে। দুটি ওয়ার্ডের দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সেখানে মেয়র প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক এবং সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীকে বোতাম চেপে ইভিএমে ভোট দেবেন ভোটাররা।

  • Courtesy: Prothom Alo/ May 14, 2018

Sunday, May 13, 2018

Police raids send BNP men fleeing

'56 arrested in last 3 days'; Khulna city polls electioneering ends at midnight


With the electioneering for Khulna City Corporation polls ending this midnight, tension has gripped the rival camps of the Awami League and the BNP after police picked up more BNP men yesterday.

In the last three days, Khulna police raided the houses of about 1,600 BNP men and arrested 56 of them, the party alleged, adding that the law enforcers' move panicked BNP leaders and activists in the district.

Many party men have fled their homes to avoid arrest, BNP leaders told The Daily Star.

Contacted, Sonali Sen, additional deputy commissioner of Khulna Metropolitan Police (KMP), said they were launching drives to arrest “listed criminals” to keep the election environment congenial.

Without coming up with the number of the arrestees, she said police were not detaining BNP men alone. “We are arresting leaders and activists of other parties as well so that people can cast their votes without any disturbance”.

Meanwhile, the mayor candidates from the ruling AL and the BNP engaged in a war of words yesterday, heating up the political arena in Khulna ahead of the polls on Tuesday.

Apart from the two leaders, mayor candidates from Jatiya Party, Communist Party of Bangladesh and Islami Andolon Bangladesh were also campaigning in full swing.

Khulna is the third largest city in the country and about 4.93 lakh people would vote to elect the mayor and 41 ward councillors in the election.

As many as 148  candidates are vying for 31 councillor posts while 38 women are contesting for 10 reserved ward councillors' posts, said sources at the returning officer's office.

The KCC election, ahead of the parliamentary polls likely in December, has been a prestigious issue for the AL and its archrival BNP. According to many political analysts, the local body election is also a test for the Election Commission to prove its acceptance and capability ahead of the national polls.

WAR OF WORDS

At a press conference at his home yesterday, BNP's mayor choice Nazrul Islam Monju alleged that police were arresting his party men as part of the government's evil design to keep the BNP away from campaigning.

Providing a list of “detainees”, the BNP leader alleged that Khulna police in the last 20 days since April 22 have held 74 BNP men.

Monju, who had suspended electioneering for four hours on May 3 protesting the “detaining” of his party men, urged international observers to come and monitor the election atmosphere in Khulna.

He also alleged that his rival candidate from the AL, Talukder Abdul Khaleque, was using police to win the polls by harassing BNP men as he had failed to woo voters.  He further alleged that AL “cadres” were threatening his supporters to stop them campaigning.

Hours later at another press conference, the AL said everyone in the city knew that Monju was an “outlaw and member of a militant organisation”.

“His attitudes mirror the behaviour of [executed war criminal] Salauddin Quader Chowdhury,” AL leader Harunur Rashid, chairman of Khulna Zila Parishad, said at the programme.

“Monju's statements prove that he is a patroniser of militant and terrorist outfits,” he added.

In such a situation, cocktails exploded in at least 10 points of the city on Friday night. Meanwhile, talking to The Daily Star, a BNP leader, wishing anonymity, said he is haunted by the fear of arrest. “The indiscriminate arrest of BNP men has panicked us all”.

Several other BNP men said police were not letting hotels to accommodate the party men who went there from other districts ahead of the polls.

On the other hand, KMP yesterday asked those who live outside Khulna to leave the city by today. It made the move to avoid any unwanted situation during the election, said an official from the KMP.

RISKY CENTRES

Returning Officer Md Yunus Ali said out of total 289 polling stations, 226 are “risky”.  Talking to The Daily Star, he also said 10 executive magistrates and 31 magistrates would work to thwart any untoward situation on voting day.

A total of 2,978 voters in two centres would cast votes using Electronic Voting Machine (EVM), he added.

'REIGN OF TERROR'

BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir yesterday alleged that a reign of terror had been established in Khulna city to ensure the ruling party mayoral candidate's victory in Tuesday's election.

"Our leaders have returned from Khulna as there's a law that all the outsiders must leave the election areas before 72 hours of the voting. But now a reign of terror has been established there," he said at a discussion arranged by Doctors' Association of Bangladesh (DAB) at the Jatiya Press Club.

  • Courtesy: The Daily Star /May 13, 2018

কোটা চিরন্তন প্রথা হতে পারে না — আকবর আলি



(বাংলাদেশি ভয়েসেস ডেস্ক) — সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা-ব্যবস্থা চিরন্তন প্রথা হতে পারে না। অনগ্রসর, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় আনার লক্ষ্য অর্জনের ব্যবস্থা হচ্ছে কোটা। কোন কোটা রাখা প্রয়োজন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সংস্কার করা প্রয়োজন। 

শনিবার, মে ১২, ‘যুক্তির আলোয় দেখি’ জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকবর আলি খান এসব কথা বলেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিতর্কের এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন এবারই প্রথম। 

আকবর আলি খান বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে কোটা-ব্যবস্থা আছে, তা অত্যন্ত দুর্বল। প্রতিবন্ধীদের জন্য যে ১ শতাংশ কোটা আছে, তা-ও বাধ্যতামূলক নয়। দেশের প্রায় ১০ শতাংশ লোক প্রতিবন্ধী। এই বিবেচনায় তাদের জন্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ শতাংশ বাধ্যতামূলক কোটা রাখা উচিত। 

প্রতিবন্ধীদের জন্য শুধু কোটা সংরক্ষণ নয়, তাদের মূল ধারায় আনতে সরকারকে বহুমুখী উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষিত ও শিক্ষিত করতে এবং তাদের জন্য অবকাঠামো গড়ে তুলতে এখন পর্যন্ত যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা অপ্রতুল। এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে। 

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণে ছায়া সংসদ বিতর্কের ফাইনালে অনুষ্ঠানমঞ্চ পরিণত হয় এক টুকরো সংসদে। স্পিকারের সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে অংশ নেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা, অন্য পাশে বিরোধী দল। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা-উপনেতা। যুক্তিতর্ক-বক্তৃতা চলে, ছিল দর্শকদের মুহুর্মুহু করতালি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক সংসদীয় বিতর্কের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত পর্বের বিতর্কের বিষয় ছিল ‘প্রতিবন্ধী নাগরিকদের জন্য কোটা সংরক্ষণই টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে’। সরকারি দলে ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আর বিরোধী দলে ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় বিরোধী দল। ছায়া সংসদে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক ঝুমুর বারি, জাহিদ রহমান, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও শাহ আলম চৌধুরী।

এলডিসি-পরবর্তী সক্ষমতা অর্জনে প্রস্তুতি নিতে হবে

সানেমের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা


চলতি বছরের মার্চে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রথম পর্যালোচনায় তিনটি মানদণ্ড সফলভাবে পূরণ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় পর্যালোচনায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের মাপকাঠিগুলো পূরণ করতে সক্ষম হলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। কিন্তু এলডিসি-পরবর্তী সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে বড় একটি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে দেশের ব্যাংকিং খাতের অরাজকতামূলক পরিস্থিতি। তাই এখন থেকে সব বাধা কাটিয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিতে হবে। গতকাল রাজধানীতে এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নিয়মিত মাসিক প্রকাশনা ‘থিংকিং অ্যালাউড’ প্রকাশের চার বছর উদযাপন উপলক্ষে ‘লুকিং বিয়ন্ড এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. কেএএস মুরশিদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ প্রমুখ। এতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাপেক্স ওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এবং সানেম নেতা ড. বজলুল হক খন্দকার। 

অনুষ্ঠানে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে গেলে আমাদের কষ্ট বাড়বে। আবার অনেক নতুন সম্ভাবনার জানালাও খুলবে। এ অবস্থায় কৌশলগত খাত চিহ্নিত করতে হবে। দেশে এখন অনেক খাত আছে, যেগুলো পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রাখে। কাঠামোগত রূপান্তর এমন হতে হবে, যেন তা সার্বিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগাতে উন্নত মানের শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

ড. কেএএস মুরশিদ বলেন, এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে আমরা কী সুযোগ-সুবিধা পাব না, তা নিয়ে হা-হুতাশ করে আর লাভ নেই। এসব আরো নয় বছর পাওয়া যাবে, তাই এর যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের অনেক অদক্ষতা আছে। এখনো আমরা বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল থেকে যাচ্ছি। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয়নি অনেক কিছুই। শিক্ষার মান নেই, নেই দক্ষতা। এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।


  • Courtesy: BanikBarta /May 13, 2018

'Untouchable' yaba lord of Bihari camp

Mohammad Jamil Khan


Ishtiaq Ahmed was a ragpicker 18 years back. But now, he is known as a big businessman among locals in Savar and Ashulia on the outskirts of the capital.

Born in Mohammadpur Geneva camp, he did odd jobs like collecting discarded bottles from roadsides. But in early 2004, he started working as a drug carrier and that changed his life.

In the following years, he built his own syndicate, got into transport business and started to carry yaba on trucks.

Now 32, he moves in personal cars and owns at least 50 trucks and buses and eight luxurious buildings in Dhaka's Mohammadpur, Uttara, Aminbazar and Ashulia.

He has over 100 bighas of land in Savar and Ashulia, where people mostly know him as Kamrul Islam, according to an investigation report by a law enforcement agency.

Ishtiaq is well known in Savar as he buys land from needy people by paying them high prices, said locals. 

Based on information from law enforcement sources, this correspondent visited one of Ishtiaq's houses on April 27. It is a seven-storey building near Berun Bus Stand of Ashulia, with a number of CCTV cameras installed in the front.

Neither Ishtiaq nor any of his family members could be found. Locals said the building owner is Kamrul Islam, a businessman who mostly stays abroad.

Ibrahim Dulal, a security guard, said he was appointed a month back but he never saw the owner. Sometimes, one or two policemen come to collect information about the owner.

Officials of the Department of Narcotics Control (DNC) claimed that they failed to nab Ishtiaq as he kept changing places hiding identity. Besides, his houses are equipped with surveillance cameras and he stays alert to possible raids.  

Khurshid Alam, assistant director of the DNC, told The Daily Star that Ishtiaq is one of the top yaba dealers in Dhaka. “We have conducted drives to arrest him a number of times but he always managed to flee noticing our presence through CCTV cameras.”

The Daily Star obtained a video clip of a drive that DNC officials conducted at his Ashulia house on November 21 last year.

In the footage, one staff named Majhar said the owner left the house with all of his family members just half an hour before the law enforcers came. All the staff know him as Kamrul Islam.

According to official sources, Ishtiaq built his empire in the last 14 to 12 years and eventually became the “yaba lord”. 

Yaba supplies in Mohammadpur, Gabtoli, Aminbazar, Beribadh, Hemayetpur and Ashulia are reportedly managed by Ishtiaq and his syndicate members, according to sources. 

He often visits Cox's Bazar by air and resides in lavish hotels there. He is now reportedly trying to expand his network to India and Malaysia, investigators found.

Law enforcers said at least a hundred people work in Geneva camp under Ishtiaq's command. They run the narcotics business being dividing into 10 separate units. 

He is wanted in at least 15 separate cases, including that for possession of narcotics and murder, with Mohammadpur Police Station. Officials already submitted charge sheets against him in three narcotics cases.

Some of his top operatives are Nadim Hossain alias Pachis, Selim alias Chua alias Chora Selim and Molla Arshad.

Of them, 31-year-old Nadim runs yaba, heroin and cannabis trade on behalf of Ishtiaq. Born and brought up in Geneva camp, he earlier worked as a cleaner in a hotel.

As a teenager, he used to sell small packets of cannabis at Tk 25 each. That's why people started calling him Pachis (twenty-five in English).

On November 3 last year, DNC officials in a joint drive with Rab, police and Armed Police Battalion (APBn) personnel arrested Pachis, but he managed to get bail within 12 days. He then went into hiding and law enforcers now have no clue as to his whereabouts.

Ishtiaq also hires women, mainly for carrying drugs, law enforcers said.

  • Courtesy: The Daily Star /May 13, 2018

LDC graduation triggers double whammy for Bangladesh

LDC graduation might throw Bangladesh into 'double trouble' as the country's preparation for coping with the post-graduation challengers is not satisfactory, economists and businessmen have warned.

They said on Saturday that the double whammy would come in the form increasing the cost of doing business or cost of borrowing while taking away of various market preferences that the country enjoys as an LDC (least developing country).

To avert the unexpected economic shock, they called upon the government to move ahead cautiously as Bangladesh would not be able to get back on the LDC status again like others because of a recent decision that skipped the scope of return for a country having population above 75 million.

Institutional capacity

They suggested paying attention to the major requirements like enhancing institutional capacity, creating investment-friendly climate, human resources development and attaining the eligibility to get special preferences like GSP-plus and other non-LDC funding options.

At the same time, they demanded positive change in the country's infrastructure investment strategy and suggested the government not only concentrate on big projects but also on smaller projects, which they term low-hanging fruits.

The views came at a roundtable discussion on "Looking beyond LDC graduation," organised by South Asian Network on Economic Modeling (SANEM) at a city hotel to mark fourth anniversary of its publication 'Thinking Aloud'.

Executive director of SANEM Dr. Selim Raihan moderated the function.

Speaking at the event, distinguished fellow of the Centre for Policy Dialogue (CPD) Professor Mustafizur Rahman said with the graduation to lower middle income country, Bangladesh is moving from concessional finance to blended finance and the country by 2024 will go into non-concessional finance once it completely graduates from LDC status.

Cost of doing business

"That means cost of doing business or cost of borrowing is increasing on the one hand. We're losing market preferences, on the other. It indicates that we are moving towards double trouble," he said.

Professor Rahman said that Bangladesh needs to do well to cope with the challenges and go for proper utilisation of funding opportunities even in the blended financing regime.

He said many countries and global financial institutions used to tie up with the private sector in non-LDC through equity or debt participation, which creates a window of opportunities.

"Simultaneously, non-LDCs are getting special treatments like 15 per cent tariff reduction from the developed economies. We need to use such opportunities properly," he added.

Syed Nasim Manzur, managing director of Apex Footwear Limited, said that higher ratings for investment also entail higher cost and the graduation will phase out the access to low-cost ODA fund. "So, it (the graduation) will come not only with increased costs but also with increased burden," he said.

About the erosion of market preferences, he said the remedy lies in GSP plus that comes with conditions like better labour and environmental standards. "The private sector is not ready to cope with this," he said.

Terming lead time in the manufacturing sector a major concern for businesses, Mr. Manzur said that the current minimum lead time in Bangladesh is 102 days, of which 21 days are being used for production while the remaining days spent on logistics in and out.

"Sudden hike in interest rate by 3.5 per cent creates another burden for the private sector, which leads to job cut as cost-cutting method. So how can you do business with such conditions?" he asked.

Infrastructure strategy

Talking about the country's infrastructure investment strategy, he said it largely focused on big projects but not on what he called low-hanging fruits, which badly affect the business and investment.

Dr. Sadiq Ahmed, vice chairman of the local think-tank Policy Research Institute (PRI) of Bangladesh, laid emphasis on thorough reform of the revenue board and the country's banking and educational system to make the country capable of dealing with the challenges.

"We need such a revenue board where there will be no interaction between taxpayers and revenue officials, he said, underlining the importance on implementing the new VAT law.

Terming the graduation a good thing for the nation, he said the government took long-term plan to reach the goal. "Has the government enough political will and administrative strength to handle the transition. That's a question," he said.

Director general of Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS) Dr. KAS Murshid said the country successfully attained MDGs (millennium development goals) target. "But time has come we focused on quality than the number to make things sustainable. We also need to make the economic zones functional and create a basket of a bunch of diversified products." he added.

The speakers also highlighted the need for qualitative education to convert demographic dividend into resources not demographic disaster.

CPD research director Dr. Khondaker Golam Moazzem and BIDS senior research fellow Dr. Nazneem Ahmed, among others, spoke on the occasion.


  • Courtesy: The Financial Express/ May 13, 2018

ফারমার্স ব্যাংক দুর্নীতি - চিশতীর নামেই জালিয়াতি!

ফারমার্স ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর নামেই জালিয়াতি ধরা পড়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) তার নাম মাহবুবুল হক চিশতী। পাসপোর্ট করেছেন বাবুল চিশতী নামে। প্রকৃত নাম কোনটি- দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রিমান্ডে জানতে চাওয়া হলে উত্তরে তিনি বলেছেন, দুটিই। 

সরকার কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে এনআইডি করেছে। আর আপনি আপনার নাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। কেন করছেন? রিমান্ডে দুদক কর্মকর্তাদের এই বক্তব্যে হতচকিত হন তিনি। 

দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নামেই যার জালিয়াতি তার জীবনটাও প্রতারণা, জালিয়াতিতে ভরা। রিমান্ডে দুদককে দেওয়া জবানবন্দিতে চিশতীর জীবনের অনেক অজানা সত্য বেরিয়ে এসেছে। জবানবন্দির প্রতিটি পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিটের সঙ্গে জবানবন্দিটিও আদালতে পেশ করা হবে। জবানবন্দি নিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম ও উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদীন। 

রিমান্ডে চিশতী জানান, ১৯৭৪ সালে তিনি বগুড়ার দারুল ইসলাম নৈশ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পাস করেছেন। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, তার কোনো একাডেমিক সনদ নেই। রিমান্ডে তিনি এও বলেছেন, তিনি ইংরেজি বোঝেন না। ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সময় ইংরেজিতে দক্ষ একজন ব্যক্তিকে পাশে রাখতেন। 

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, বগুড়ার গ্যারিসন সিনেমা হলের সহকারী হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেন ১৯৭৭ সালে। পরে সাত লাখ টাকা পুঁজি জোগাড় করে মালপত্র সাপ্লাই ও রাখি মালের ব্যবসা শুরু করেন। স্ত্রী রুজি চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী ও মেয়ে রিমি চিশতীর নামে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স মিলস। 

এরপর মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে ফারমার্স ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হয়েছেন ২০১৩ সালে। পরে ব্যাংকের অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্যাংকের গুলশান শাখার বিভিন্ন হিসাব থেকে বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স মিলসের হিসাবে জমা হয়েছে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে কয়েকজন গ্রাহকের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। 

দুদকে দেওয়া লিখিত জবানবন্দিতে বলা হয়, তার শ্যালক মোস্তফা কামাল তারই সহায়তায় ব্যাংকের গুলশান শাখায় রিমি এন্টারপ্রাইজের নামে একটি হিসাব খুলেছিলেন। চিশতী অডিট কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালে মোস্তফা কামাল এই ব্যাংকের সাজসজ্জার কাজের নামে বিভিন্ন সময়ে ভুয়া বিল পেশ করে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিজে ও পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন কোম্পানির নামে ঋণ গ্রহণ করে মেসার্স এসটুআরএস করপোরেশনের হিসাবে ৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেছেন। চিশতীর পুত্রবধূ ফাহানা আহমেদের ফারমার্স ব্যাংকের হিসাবে ৩০ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে। শ্যালক মোস্তফা কামাল ও গোলাম রসুলের হিসাবেও মোটা অঙ্কের অবৈধ লেনদেন হয়েছে। মেসার্স জাহান ট্রেডার্স ও তনুজ করপোরেশনের দুটি হিসাব থেকে ৫৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে চিশতী ও ব্যাংকের সমালোচিত বিতর্কিত একজন শীর্ষ কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেছেন। পরে ওই টাকায় ব্যাংকের শেয়ার ক্রয় করা হয়। 

রিমান্ডে বলা হয়, চিশতী ও বিতর্কিত শীর্ষ ওই কর্মকর্তার হিসাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় দেড়শ' কোটিরও বেশি টাকা জমা হয়েছে। রিমান্ডে তিনি এও বলেছেন, তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে তিনি ও শীর্ষ ওই কর্মকর্তার আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। 

চিশতীকে দুটি পর্যায়ে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১৫ থেকে ১৯ এপ্রিল ও ২০ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। 

গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে চিশতীর নিজের ও তার পরিবারের সদস্যদের হিসাবে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা স্থানান্তর করে আত্মসাতের অভিযোগে চিশতীসহ ছয়জনকে আসামি করে দুদক ঢাকার গুলশান থানায় মামলা করে গত ১০ এপ্রিল। মামলার দিনেই চিশতীসহ চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্য তিনজন হলেন- বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকের ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ। চারজনই বর্তমানে জেলে আছেন। 

অন্য দুই আসামি হলেন- চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী ও ব্যাংকের এসইভিপি ও গুলশান শাখার সাবেক ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন। এরই মধ্যে রুজী চিশতী হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন নিয়েছেন। চিশতীও জামিন নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও ভুয়া সনদ জোগাড় করেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন পদস্থ কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, চিশতী জামিনে মুক্ত হলে মামলার তদন্তে প্রভাব বিস্তার করবেন। ব্যাংকে সংরক্ষিত মামলার আলামত নষ্ট করার তৎপরতা চালাবেন। এতে মামলার তদন্ত কার্যক্রম দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

সূত্র জানায়, চিশতী ও বিতর্কিত ওই শীর্ষ কর্মকর্তা ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে হাতে হাত মিলিয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি করেন। ঋণ জালিয়াতিসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এই পর্যায়ে দুদক চিশতীর অনিয়ম, দুর্নীতি অনুসন্ধান করে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। মামলাটির তদন্ত পর্যায়ে চিশতীর অর্থ আত্মসাতের আরও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যেতে পারে। 
দুদক সূত্র জানায়, ব্যাংকটির গুলশান শাখায় চিশতীর হিসাবে বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহকের হিসাব থেকে নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমেও অর্থ জমা হয়। একই শাখায় চিশতীর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ের নামে খোলা ২৫টি হিসাবেও নগদে ও নানাভাবে অর্থ জমা হয়। ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চিশতী ও তার পরিবারের সদস্যদের হিসাবগুলোতে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয়। পরে ওই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪নং ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

দুদকের মামলায় ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ব্যাংকটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত প্রভাবশালী কাউকে আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের মানুষ কমিশনের নেতিবাচক সমালোচনাও করেছেন। 

ব্যাংকটির পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতি, ঋণের কমিশন নেওয়া, গ্রাহকের হিসাব থেকে নিজের হিসাবে অর্থ স্থানান্তর ও অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এই ব্যাংকে ঋণ অনিয়ম, জালিয়াতি, সন্দেহজনক লেনদেন, ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে উঠে আসে। কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হওয়ায় অবশেষে তোপের মুখে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর পদত্যাগ করেছেন। 

চিশতীসহ সংশ্নিষ্ট ১৭ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মহীউদ্দীন খান আলমগীর এই নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত। 
  • Somokal/may12 2018

Saturday, May 12, 2018

সুস্থ যুবককে ঢাকার মিন্টো রোডে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’, পরে মৃত্যু


আহমেদ জায়িফ



বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল যখন গাড়িচালক আশরাফ আলীকে ধরে নিয়ে যায়, তখনো দিব্যি সুস্থ তিনি। কিন্তু ঢাকার মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এক দিন ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করার পরই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার তিন ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর শরীরজুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন। স্বজনেরা বলছেন, ডিবি পুলিশের মারধরেই আশরাফের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ মে বিকেলে আশরাফের মৃত্যুর পর তাঁর পরিচয়, কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এসব বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে চাননি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উল্টো হাসপাতালে ভর্তির সময় আশরাফের পরিচয় গোপন করতে নাম লেখা হয় ‘আসলাম’। এ ছাড়া ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ বলে চিকিৎসকের কাছ থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার চেষ্টা চলে। কিন্তু আশরাফের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়।

প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা যায়, গাড়িচালক আশরাফের (৪২) বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকের দহন গ্রামে। ছয় ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। তাঁর তিন স্ত্রী। ছোট স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরের মির্জাপুরের পশ্চিম ডগরি এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। ‘ডেকর ওয়েট প্রসেসিং লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানির কাভার্ড ভ্যান চালাতেন তিনি। ৪ মে মধ্যরাতে আশরাফ, তাঁর স্ত্রী রিপা ও দুই সন্তানকে ওই বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। আশরাফ একসময় আশুলিয়া এলাকায় ডিবির তথ্যদাতা (সোর্স) হিসেবেও কাজ করতেন বলে স্বজনেরা জানান। তুলে নিয়ে যাওয়ার ৩৮ ঘণ্টার মধ্যেই মারা যান আশরাফ।

হেফাজতে থাকা অবস্থায় সুস্থ আশরাফের হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন প্রথম আলোকে বলেন, নিয়ামুল নামের কাতারপ্রবাসী এক নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিলেন আশরাফ। মুঠোফোন নম্বর ধরে তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে আশরাফ ও তাঁর স্ত্রীকে তাঁরা ডেকে আনেন। একপর্যায়ে আশরাফ অসুস্থ বোধ করেন। তখন তাঁর স্ত্রী ডিবিকে জানান, আশরাফ হার্নিয়া রোগী। হাসপাতালে নেওয়ার পর একপর্যায়ে তিনি মারা যান।

মৃত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্নের বিষয়ে আবদুল বাতেন বলেন, ‘আপনি বললে তো হবে না। ময়নাতদন্ত হবে। সেখান থেকে জানা যাবে কী হলো।’ হাসপাতালে ভর্তির সময় আশরাফের নাম কেন ‘আসলাম’ লেখা হলো, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তাঁর আসল নাম কী আপনারা জেনে নিন।’

নিয়ামুল নিখোঁজের ঘটনাটি তদন্ত করছিলেন ঢাকা মহানগর ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাহমুদ নাসের। আশরাফের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

ময়নাতদন্তের পর আশরাফের লাশ তাঁর ভাই আবদুর রশিদের কাছে হস্তান্তর করেন ডিবির সদস্যরা। আশরাফের শরীরের আঘাতের চিহ্নের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা শরীরে মাইরের দাগ ছিল। এ রকম মারলে কেউ বাঁচার কথা না।’

আশরাফ সুস্থ ছিলেন

গাজীপুরের পশ্চিম ডগরি এলাকার আবদুল হালিমের বাড়িতে থাকতেন আশরাফ। গত ২২ এপ্রিল সেখানে ওঠেন তিনি। ৯ মে বাড়ির মালিক এবং অন্য ভাড়াটেদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। বাড়ির মালিক আবদুল হালিম বলেন, সেদিন (৪ মে) রাত একটার দিকে দুটি গাড়িতে করে ডিবির ১৫-২০ জন সদস্য আসেন। তাঁরা সব ভাড়াটের কক্ষে তল্লাশি চালান। আশরাফের কক্ষে গিয়ে আশরাফ ও তাঁর স্ত্রীর চোখ বেঁধে ফেলেন। তাঁকে কিছুক্ষণ মারধর করা হয়। ডিবি নিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফ স্বাভাবিকভাবেই হাঁটছিলেন।

আশরাফের ভাড়া বাসার কাছেই তাঁর কর্মস্থল। তিনি যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালাতেন, তার পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে আশরাফ তাঁদের গাড়ি চালান। এর মধ্যে কখনো অসুস্থতার কথা বলেননি, ছুটিও নেননি তিনি।

আশরাফের রোগ থাকার কথা পুলিশ বললেও তাঁর ভাই আবদুর রশিদ জানান, আশরাফের কোনো রোগ থাকার কথা তাঁরা জানতেন না।

সুরতহালে আঘাতের চিহ্নের প্রকৃত বর্ণনা নেই

আশরাফের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন সংগ্রহ করে দেখা যায়, স্বজনদের বর্ণনা অনুযায়ী তাঁর শরীরের আঘাতের বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। তাঁর দুই হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত পুরোটাই রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। তাঁর ভাই আবদুর রশিদ ও দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমার বর্ণনামতে, শরীরের অন্যান্য স্থানেও ছিল আঘাতের চিহ্ন। কিন্তু শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হরিচাঁদ হাজরা ও মোশাররফ হোসেন লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে এসবের কিছুই উল্লেখ করেননি। আঘাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে তাঁরা শুধু লিখেছেন, ‘দুই পায়ে হালকা কালচে দাগ পরিলক্ষিত হয়েছে।’

৭ মে সন্ধ্যা সাতটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আশরাফের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের তিন সদস্যের বোর্ড ময়নাতদন্ত করে। সোহেল মাহমুদ বলেন, মৃত ব্যক্তির দুই পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁর পেটে নাড়ি পেঁচিয়ে ছিল। ভিসেরা পরীক্ষার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

পরিবারের সদস্য ও লাশবাহী গাড়িকে ডিবির পাহারা

আশরাফের লাশ নিতে ৭ মে সকালে তাঁর ভাই আবদুর রশিদ উত্তরা থেকে এবং বড় দুই স্ত্রী আশুলিয়া থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন। তাঁদের আসার তথ্য জেনে ডিবির কয়েকজন সদস্য হাসপাতালে আসেন। পরে তাঁদের মাইক্রোবাসে তুলে মিন্টো রোডে ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আবদুর রশিদ বলেন, ডিবির ‘বড় বড়’ কর্মকর্তারা তাঁদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। খাওয়াদাওয়া করান। এরপর বেলা দুইটার দিকে তাঁকে এবং আশরাফের তৃতীয় স্ত্রী রিপার বাবাকে ডিবির গাড়িতে করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত আটটা পর্যন্ত হাসপাতালের বাইরে ডিবির সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা ওই গাড়িতে ছিলেন। তিনি বলেন, কিছু কথা লেখা আছে এমন একটি কাগজে এবং একটি সাদা কাগজে ডিবির সদস্যরা তাঁর সই নেন। এরপর আশরাফের লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

আবদুর রশিদ বলেন, ডিবির সদস্যরা তাঁদের সামনেই ছয় হাজার টাকা দিয়ে একটি মাইক্রাবাস এবং সাড়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন। এর একটিতে লাশ অন্যটিতে তাঁদের উঠিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন তাঁরা। ডিবির সদস্যরাও একটি গাড়িতে করে তাঁদের সঙ্গে রওনা হন। গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ডিবির গাড়ি তাঁদের অনুসরণ করে।

নিখোঁজ কাতারপ্রবাসী
২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর শাহ আলী থানায় নাজমুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি তাঁর ভাই নিয়ামুল হোসেন নিখোঁজ হয়েছেন বলে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিটি তদন্ত করছিলেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনুজ কুমার সরকার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জিডির বর্ণনা অনুযায়ী নিয়ামুল মিরপুর ১ নম্বরে তাঁর চাচাতো বোনের বাসায় বেড়াতে যান। ২৫ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে ওই বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ।

এসআই অনুজ কুমার বলেন, ৩০ এপ্রিল ডিবির এডিসি মাহমুদ নাসের তাঁর কাছ থেকে নিয়ামুলের মুঠোফোনের কললিস্টসহ অন্যান্য তথ্য নেন। এরপর তিনি আর কোনো তদন্ত করেননি।
এদিকে আশরাফের মৃত্যুর পর ৬ মে রাতে শাহ আলী থানায় অপহরণের মামলা করেন নিখোঁজ নিয়ামুলের ভাই নাজমুল হোসেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। নিয়ামুলের মুক্তিপণ বাবদ ১০ লাখ টাকা চাওয়ার তথ্য উল্লেখ করেছেন বাদী।

আশরাফের অপরাধ

নিয়ামুলের ভাই নাজমুল বলেন, আশরাফ আসলে তাঁর ভাইকে অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে জানতেন না। প্রতারণা করার জন্য ফোন করে দাবি করেছিলেন, নিয়ামুল কোথায় আছেন, তা তিনি জানেন। তিনি মুক্তিপণও চেয়েছিলেন।

আশরাফকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে তাঁর তৃতীয় স্ত্রীর বাবা মো. খলিল কোনো মন্তব্য করতে চাননি। এই প্রতিবেদক আশরাফের তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, এটি এখন সম্ভব নয়।
আশরাফের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবার। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা বলেন, অপরাধ করে থাকলে আশরাফের বিচার হতে পারত। তা না করে পিটিয়েই আশরাফকে মেরে ফেললের ডিবি পুলিশ।
  • Source —  প্রথম আলো/ শনিবার, মে ১২, ২০১৮।