Search

Monday, May 14, 2018

রেন্ট সিকিং স্যাটেলাইট


—  ফাহাম আবদুস সালাম 



ছোটোবেলা থেকে একটা জিনিস আমি বুঝে উঠতে পারি নাই। যে জিনিস অর্জনে আমার বিন্দুমাত্র পার্টিসিপেশান নেই, সেই জিনিস অর্জিত হোলে যারা খুব গর্ব বোধ করেন - এরা কোন মাত্রার গর্দভ।
ইউটিউবের প্রথম চারজনের একজনের বাবা বাংলাদেশী ছিলেন (স্ত্রী সম্ভবত জার্মান) জাওয়েদ করিম সারা জীবনে সম্ভবত ৪ মাসও বাংলাদেশে কাটাননি কিন্তু বহু বাঙালির জাওয়েদ করিমের নাম শুনলেই গর্বে বুক ফুলে যায়।

সালমান খান একটা জিনিয়াস, কিন্তু তাতে আপনার কী?

স্যাটেলাইট বানালো এক দেশ, পাঠালো আরেক দেশ - আপনি করছেন শুধুমাত্র রেন্ট সিকিং। সেই ব্যবসাও আপনি করবেন শুধুমাত্র এই কারণে যে তিন মাসের মধ্যেই প্রত্যেক চ্যানেলের কাছে কেউ ফোন করে বলবে, আপনি যদি বেক্সিমকোর থেকে স্যাটেলাইট সার্ভিস না কেনেন তাহলে আপনাদের চ্যানেলের লাইসেন্স থাকবে না ( অথবা আপনাদের মালিক যুদ্ধাপরাধী হয়ে যাবে নেক্সট শুক্রবারে) আপনি প্লেইন এন্ড সিম্পল বাবার তৈরী করা এপার্টমেন্ট ভাড়া দেয়ার ব্যবসা করছেন। সেই ব্যবসাও করবেন মাফিয়া স্টাইলে। শুধু ব্যবসার লোগোটা লাল-সবুজ বলে যাদের বুক ফুলে চাল-কুমড়া হয়ে গেছে তারা অন্ধকারেই বাস করছেন।

উৎস  — Faham Abdus Salam 

ভালো নেই পুলিশের টিয়ারশেলের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারানো সিদ্দিকুর

মারুফ কিবরিয়া


‘চাকরি আছে, স্থায়ী নয়। বেতন খুবই সামান্য। যা দিয়ে দিনাতিপাত করা কঠিন। যে বাসাটি ভাড়া নিয়ে থাকি সেটা খুব ছোট। এক রুমে মা আর ভাগনে সেলিমকে নিয়ে থাকতে হয়। নিরাপত্তাও নেই।
একবার মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা চুরি হয়ে গেছে। তাছাড়া ঘরটি বসবাস অযোগ্য। মাকে নিয়ে এই বাসাটিতে খুব কষ্টে আছি। প্রতিটি মুহূর্ত খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়’। কথাগুলো বলছিলেন গত বছরের ২০শে জুলাই রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজের পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশের দাবিতে আন্দোলনে নেমে পুলিশের টিয়ারশেলের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারানো সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান। মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, মাকে নিয়ে মোটেও ভালো নেই তিনি। যে বেতন পান তা দিয়ে দিনযাপন করা সিদ্দিকুরের জন্য কষ্টসাধ্যে হয়ে উঠেছে। বেগুনবাড়িতে যে বাসায় থাকেন সেটি থাকার উপযুক্ত নয়।

গত বছরের ওই ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশ্ন ওঠে, কে নেবে তার দায়িত্ব? তার সহপাঠীরা সিদ্দিকুরের একটি চাকরির দাবি জানায় সরকারের কাছে। সরকারের পক্ষ থেকে সে দাবিও মানা হয়। গত ১৩ই সেপ্টেম্বর রাজধানীর সাত রাস্তায় অবস্থিত সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে অস্থায়ী ভিত্তিতে টেলিফোন অপারেটর পদে নিয়োগ দেয়া হয় তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এ ছাত্রকে। এ সময় তার বেতন ধরা হয় ১৩ হাজার টাকা। অস্থায়ী এ চাকরিতে ‘নো ওয়ার্ক, নো পেমেন্ট’ ব্যবস্থা। অর্থাৎ যেদিন কাজ করবেন সেদিনের টাকাই দেয়া হয়। অনুপস্থিত থাকলে ওইদিনের টাকা দেয়া হয় না। 

বর্তমানে সিদ্দিকুর তার মা ছুলেমা খাতুনকে নিয়ে তেজগাঁওয়ের মধ্যে বেগুনবাড়িতে একটি বাসার নিচতলার একটি ঘরে ভাড়া থাকেন। ওই রুমের ভাড়া বিদ্যুৎ বিলসহ প্রতিমাসে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। তাই বেতনের টাকা দিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সিদ্দিকুরকে। মা ও এক ভাগনেসহ ওই বাসায় থাকেন তিনি। কিন্তু থাকার মতো ভালো পরিবেশ নেই। যে বেতন পান তা দিয়ে ভালো কোনো বাসায় উঠতেও পারছেন না । সিদ্দিকুর বলেন, প্রত্যেক সন্তান চায় তার মা-বাবাকে নিয়ে যেন ভালোভাবে বেঁচে থাকে। আমার তো বাবা নেই। মা-ই সব। কিন্তু সারাজীবন কষ্ট করে আসা এই মায়ের কষ্ট আমি কিছুতেই দূর করতে পারছি না। এক ঘরের মধ্যে তিনজন থাকতে হয়। আর ওই ছোট্ট ঘরের যে অবস্থা তাতে আমারই দম বন্ধ হয়ে আসে। মায়ের জন্য আলাদা একটি রুম দরকার হয়। আমার জন্য একটি। এরকম একটি ভালো বাসা ভাড়া নিতে গেলে মাস শেষে প্রচুর টাকা গুনতে হবে। সেটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আর এই বাসায় কোনো নিরাপত্তা নেই। একবার মা ছিলেন না। আমি একা। এই সুযোগে চোর এসে আমার মোবাইল, টাকা পয়সাসহ কিছু মালামাল নিয়ে গেছে। 

দৃষ্টিশক্তি হারানোর পর থেকে চাকরি পেলেও কষ্ট পিছু ছাড়ছে না উল্লেখ করে সিদ্দিকুর বলেন, চাকরি পেয়েছি। এটা তো সরকারের দেয়া। এতে আমার কষ্ট কোনো অবস্থাতেই লাঘব হচ্ছে না। বরং দিনকে দিন চিন্তা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে মায়ের জন্য। মা প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। চিকিৎসার খরচ চালাতে হয়। মাঝে একবার অসুস্থ হয়ে গেলে ময়মনসিংহ নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। কারণ ঢাকায় করাতে গেলে অনেক টাকা পয়সার হিসাব করতে হবে। এখন আমার একটাই চাওয়া- মাকে নিয়ে যদি একটি ভালো বাসায় উঠতে পারতাম।

চাকরির স্থায়ী হওয়া প্রসঙ্গে সিদ্দিকুর বলেন, এখানে তো এক বছরের কথা আগেই বলা হয়েছে। এক বছর আগে চাকরি স্থায়ী হবে না। তারপর স্যারকে বলেছি। বলেছে দেখবেন। তবে আশাবাদী হওয়ার মতো তেমন কিছু নেই। সিদ্দিকুর আরো বলেন, এ চাকরিটা সরকার তো আমাকে দিয়েছে। আমি অর্জন করে পাইনি। পড়ালেখা শেষ করে একটি ভালো চাকরির জন্য 
আবেদন করবো। 

অফিসে আসা যাওয়ায় অসুবিধার কথা বলতে গিয়ে সিদ্দিকুর বলেন, চলাফেরায় খুব কষ্ট। আমার যদি দৃষ্টিশক্তি থাকতো তাহলে বাসে চলাফেরা করতে পারতাম। কিংবা হেঁটে হলেও অফিসে আসতে যেতে পারতাম। কিন্তু আমাকে চলতে ফিরতে রিকশা কিংবা অটোরিকশা নিতে হয়। আর কেউ একজন না থাকলে আমি পারি না। ভাগনে সেলিমই আমাকে অফিসে আনা নেয়া করে। এখন রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করতে গেলে অনেক টাকা চলে যায়। প্রতিদিন আমার আসা যাওয়ায় একশ টাকার মতো খরচ হয়। সব গুনতে গেলে মাস শেষে কোনো টাকা থাকে না। বড় ভাই বাড়িতে কৃষি কাজ করে। সে খাত থেকে চালটা আসে। নয়তো আরো বড় সমস্যায় পড়ে যেতাম। 

অর্থনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে থাকলেও সিদ্দিকুর শারীরিকভাবে বেশ সুস্থ আছেন বলে জানান। তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ আছি। কিন্তু মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে খুব টেনশন কাজ করে। আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন। 

পড়ালেখা আর চাকরির পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য গড়া একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিদ্দিকুর। বাংলাদেশ ভিস্যুয়েলি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস)-এ প্রতি শুক্র ও শনিবার প্রশিক্ষণ নিতে যান তিনি। সিদ্দিকুর বলেন, চাকরির পাশাপাশি এ প্রশিক্ষণটি নিয়ে রাখছি। ভবিষ্যতে কোনো কাজে লাগানো যেতে পারে। এখানে আমার মতো অনেক দৃষ্টিশক্তি হারানো তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। মিডিয়ারই এক আপু এখানে নিয়ে এসেছেন। আমি তার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।
  • মানবজমিন/মে ১৪, ২০১৮

দুই বছরেও কিনারা হয়নি মিতু হত্যার রহস্য

এক বিন্দুুতেই ‘স্থির’ রয়েছে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুন মামলার তদন্ত। প্রায় দুই বছরেও উদ্ঘাটন হয়নি রহস্য। এমনকি কিলিং মিশনের কথিত মাস্টারমাইন্ড কামরুল ইসলাম ওরফে মুছা সিকদারকেও ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে মিতুর পরিবারের দাবি, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারই এ খুনের মাস্টারমাইন্ড। তাকে রক্ষা করতেই পুলিশ তদন্তের নামে মামলা এক জায়গায় স্থির রেখেছে। তোলপাড় করা এ মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশ মিতুর পরিবারও। মিতুর মা সাহেদা মোশারফ অভিযোগ করে বলেন, ‘এ মামলার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কিছুই করতে পারেনি। তারা উল্টো ঘটনার মাস্টারমাউন্ড বাবুল আকতারকে রক্ষার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট প্রদান করুক পুলিশ।’ 

অন্যদিকে মিতুর পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশন ও ক্রাইম) আমেন বেগম। তিনি বলেন, ‘কাউকে ফাঁসাতে কিংবা রক্ষা করতে তদন্ত করে না পুলিশ। বরং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই তদন্ত ধীরেসুস্থে করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারই সংশ্লিষ্টতা থাকবে, তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’ তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএমপির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডের কোনো কিছুই এখন পুলিশের কাছে অজানা নয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশের কারণে মামলাটি এক জায়গায় স্থির রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন মহল থেকে নির্দেশ এলে স্বল্প সময়ের মধ্যে চার্জশিট দিতে পারবে পুলিশ।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পর বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।

সেই ভোলার জামিন : মিতু হত্যার ঘটনায় অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। গতকাল তার জামিন আদেশ চট্টগ্রাম আদালতে পৌঁছেছে। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন, গত ৬ মে বিচারপতি শওকত হোসেন ও নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৭ জুন নগরের বাকলিয়া এলাকা থেকে মিতু হত্যায় ব্যবহূত অস্ত্র-গুলিসহ ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

  • Courtesy: Bangladesh Protidin/May 13, 2018

$5b flies out as remittance annually: Muhith

Minister inundated with calls for skills development


As much as $5 billion is sent out of Bangladesh every year by foreign nationals working mostly in the export-oriented garment industry, said Finance Minister AMA Muhith.

“This $5 billion is taken mostly by Indians, Sri Lankans and nationals from our neighbourhood,” he said at a discussion on Friday on the budget for fiscal 2018-19.

Private television channel Maasranga and the Metropolitan Chamber of Commerce and Industry jointly organised the event at the capital's International Convention City Bashundhara.

Businesses, economists, politicians and analysts from various sectors spoke at the programme, which was broadcasted live. Muhith, who will unveil the national budget for 12th time as a finance minister, said the issue of skills development has got the highest importance in the pre-budget discussions that took place over the last couple of months.

To enhance the skills of Bangladesh's human resources, the government took a project in 2011 under the finance ministry. There are 7-8 schemes under the project and the finance ministry provides funds to implement them.

Even though the schemes were established with a definite result in mind, they cannot bring the desired outcome in all cases. In this regard, Muhith mentioned the outflow of remittance from the country.

“It is true that we get quite a good amount of remittances from abroad. But $5 billion is also sent out of our country as remittance every year.”

The money is taken by foreigners in the absence of adequate human resources for conducting negotiations and marketing of Bangladesh's apparel abroad.

The government took a project after noticing the remittance outflow and devised a course to develop skilled resources for the garment industry with the help of some industries and selected an institute to run the course.

In response to a request from MCCI President Nihad Kabir to reduce supplementary duty on hybrid and electric cars, Muhith said: “Electric cars are our future, so we have to do something for facilitating their imports.”

“There is no plan to do anything new in the upcoming national budget in view of the national election at the end of the year.”

  • Courtesy: The Daily Star/ May 13, 2018

Quota Demo: Protesters go on indefinite strike

The deadline for issuing a gazette notification abolishing the quota system in government jobs was over with the demand of the students and jobseekers remaining unmet.

In response, the quota reformists from today (Monday) would boycott classes and examinations in all universities and colleges across the country for an indefinite period.

“As the government failed to publish the gazette by the given timeframe, we will observe strike sine die and boycott all academic activities at the colleges and universities countrywide,” Nurul Haque Nur, joint convener of Bangladesh Sadharan Chhatra Adhikar Sangrakkhan Parishad, told The Daily Star.

Earlier, the protesters set the deadline to 5:00pm to publish the gazette and threatened to go on an indefinite strike. They made the announcement while talking to reporters at TSC.

They also observed a two-hour strike from 11:00am to 1:00pm at different universities and colleges yesterday by boycotting classes.

In Dhaka University, more than 3,000 protestors -- mostly from DU and other colleges in the capital -- brought out a procession from in front of DU Central Library around 11:30am. The procession ended at Raju Sculpture on the campus after marching different roads including Nilkhet, Dowel Chattar, Shaheed Minar and High Court areas, witnesses said.

The protesters continued their demo during rain and were chanting slogans in favour of their demand. They did not attend the classes, but examinations were held as per schedule.

After the procession Nurul Huq Nur said, “We responded whenever the government called us. We were told that the gazette would be published by May 7, but the students became frustrated as that did not happen.”

Another joint convener Muhammad Rashed Khan alleged that the government did not keep its promise made to them.

“They [government] are staging a drama with us. The students will take to the streets if they do not stop the drama and publish the gazette soon,” Rashed threatened.

Awami League General Secretary Obaidul Quader has meanwhile said threats of further protests were unrealistic.

He asked the protesters to keep trust on the prime minister's words.

“Sheikh Hasina is the prime minister. She stood before parliament and announced that there would be no quotas. Why are there concerns about publication of the gazette then?”

Quader, also road transport and bridges minister, said they were considering the case of ethnic minorities, the disabled, those from less-developed districts, freedom fighters and women. “Besides, the premier was abroad for some time. The initiative has not stopped. The quota will be removed in response to the demand,” he added

The minister asked the protesters to show a little patience. “The situation will be resolved soon,” he added.

As per yesterday's programme, around 500 students at Rajshahi University brought out a procession around noon and paraded different points of the campus. At Jahangirnagar University, around 200 students brought out a procession and at Chittagong University around 150 students formed a human chain at Sholoshohor Railway Station around 11:00am.

The students also condemned the attack on the house of a central committee joint convener, Jashim Uddin Akash, and demanded immediate arrest and punishment of the attackers.

Convener Hasan Al Mamun demanded security of the protesters as well.

Earlier on Wednesday, the protesters threatened to begin demonstrations from Sunday if the government failed to publish the gazette by Thursday.

They announced launching of fresh demonstrations after Cabinet Secretary Mohammad Shafiul Alam on May 7 said there was no progress regarding the gazette publication.

Mozammel Haque Khan, senior secretary of the public administration ministry, somewhat repeated the same statement the next day. On Thursday, he said a proposal for forming a committee was sent to the Prime Minister's Office.

Earlier, AL Joint General Secretary Jahangir Kabir Nanak on April 27 met the protesters and assured them that the government would publish the gazette once the prime minister, who was in Australia at the time, returned.

Following the assurance, the leaders of the quota reform movement postponed their agitation until May 7.

In April, students of public and private universities across the country took to the streets with the demand. Police charged truncheons and fired tear gas shells on the demonstrators on DU campus, injuring at least 163.

The protesters blocked key points in the capital and roads and highways elsewhere.

In the wake of mass protests, Prime Minister Sheikh Hasina in parliament on April 11 declared that the quota system would be scrapped.

In another development, Chhatra League activists allegedly vandalised a bus carrying students of Comilla University yesterday afternoon.

Mazharul Islam Hanif, convener of Bangladesh Sadharan Chhatra Adhikar Sangrakkhan Parishad's Comilla unit, said while the students were leaving the university in the bus around 5:00pm. Some BCL men asked them to get off the vehicle.

As they did not do so, the BCL men vandalised the bus.

The BCL men thought that the students would gather at Kandirpar for quota reform demonstration; that was why they were trying to prevent them from joining, he alleged.

However, Naimul Haque, BCL's joint convener of Comilla city unit, said members of Bangladesh Sadharan Chhatra Adhikar Sangrakkhan Parishad threw brick chunks at the BCL men first.

Tanvir Salehin Emon, additional superintendent of Comilla police, told our Comilla correspondent over phone that they were investigating the incident.

  • Courtesy: The Daily Star /May 14, 2018

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ দিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি!

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য পদের দাম দুই লাখ টাকা! ওই পদের জন্য চুক্তিও হয়েছে। কিন্তু টাকা পাননি বড় নেতা। এ জন্য মুঠোফোনে বেশ গালিগালাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এই মুঠোফোন কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ।

প্রায় ১৮ মিনিটের কথোপকথনে মুঠোফোনের এক প্রান্তে কথা বলেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্কুলবিষয়ক উপসম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মাদ আরাফাত। অন্যপ্রান্তে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আরিফ।

মুঠোফোনে কথোপকথনের সত্যতা এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন আরাফাত। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীরাই এসব ভাইরাল করেছে।’

অন্যদিকে মো. আরিফ ছাত্রলীগ নেতা আরাফাতকে ট্যাগ করে গতকাল তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপ-স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জনাব সৈয়দ আরাফাত ভাই ও আমাকে জড়িয়ে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এটা আরাফাত ভাইয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস মাত্র। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

ওই অডিও রেকর্ডিং শুনে জানা যায়, আরাফাত চট্টগ্রাম দক্ষিণ ছাত্রলীগের আরিফকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ দিতে চুক্তি মোতাবেক দুই লাখ টাকা দাবি করছেন। তবে এই টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান আরিফ। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। টাকা দিতে না চাওয়ায় আরিফকে হুমকিও দেন আরাফাত। আর ১১ মে (শুক্রবার) দেখা করে টাকা দেওয়ার কথা বলেন আরাফাত। তবে টাকা দিতে বার বার অপারগতা প্রকাশ করেন আরিফ। তিনি আরাফাতকে আশ্বস্ত করেন, তাঁকে ব্যবসায়ের অংশীদার করবেন। নতুন ব্যবসা করার জন্য ব্যবস্থা করবেন। এসব কথা শোনার পরেও আরাফাত দুই লাখ টাকা দাবি করেন।    

আরাফাত বলেন, আমি যে আপনাকে (আরিফকে) নেতা বানাইছি এ জিনিসটা কি করব এখন? এখন তো আমাকে দুই লাখ টাকা দিতে হবে। এই টাকা কে দেবে? তখন আরিফ বলেন, এ নিয়ে আপনার সাথে কোনো কথা হয়নি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে আরাফাত বলেন, আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে।

কারা করেছে জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, ‘আমি জানি না।’ তিনি বলেন, ‘আমার এন্ট্রিগ্রুপ (বিরোধী পক্ষ) সবার ম্যাসেঞ্জারে পাঠাচ্ছে।’

এই কল রেকর্ডিং আরিফ ছড়িয়েছে কিনা জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, ‘আরিফ আমাকে বলেছে, ও এই কাজ করেনি।’

  • Courtesy: NTV News/ May 12, 2018

‘মহালুটের’ স্যাটেলাইটের সেবা পাবে না দেশ - মান্না


নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এই স্যাটেলাইটটি বানানো হয়েছে মহা লুটপাটের জন্য।  

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাব এক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মান্না। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৫৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এর আয়োজন করে ‘জাতীয় স্মরণ মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন।

মান্না বলেন, ‘স্যাটেলাইট আমাদের দরকার। কিন্তু এই স্যাটেলাইট কীভাবে হলো? সেটা কত টাকা দিয়ে বানানো হলো? সেটা জনগণ জানতে চায়।’ স্যাটেলাইটের ইজারা দেয়া দুটি সংস্থাকে এর মালিক প্রতিষ্ঠান আখ্যা দিয়ে নাগরিক ঐক্যের নেতা বলেন, ‘মহালুটের ব্যবস্থা করার জন্য এই স্যাটেলাইট বানানো হলো। ওই স্যাটেলাইটের সার্ভিস (সেবা) বাংলাদেশ নিতে পারবে না।’

বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেসব সাফল্য সামনে নিয়ে আসছে তার সব কটিকে নাকচ করেন মান্না। বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ, সাগর বিজয় করা হয়েছে, নীল অর্থনীতির কথা বলা হচ্ছে, গুণকীর্তন করা হচ্ছে। এসব প্রতারণা; মিথ্যার রাজত্ব চলছে। এসবের জন্য প্রতিবাদের সাহস দরকার।’

সারা দেশে মহাসমারহে লুটপাট হচ্ছে দাবি করে মান্না বলেন, ‘কিন্তু কথা বলার কোন সুযোগ নেই। ব্যাংক থেকে লক্ষ কোটি টাকা চুরি হলো, গভর্নর পদত্যাগ করলেন, জবাব দেয়ার দরকার লাগলো না। অথচ মাত্র দুই কোটি টাকার জন্য একজন জনপ্রিয় নেত্রীকে জেলে দেয়া হলো।’

নাগরিক ঐক্যের নেতা বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপি জিতবে বলে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হলো, খুলনায় দিনের বেলায় নেতাকর্মীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এই হচ্ছে আমাদের দেশের গণতন্ত্র।’

সামনে নির্বাচনের আগে ‘ব্যাপক জাতীয় ঐক্য’ দরকার বলেও মনে করেন মান্না। বলেন, ‘কৃষক, শ্রমিকের মুক্তির কথা বলেন। লড়াই কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়। পুলিশ লীগের বিরদ্ধে করতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে।’

Courtesy: শীর্ষনিউজ/ May 13, 2018

সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন দিলে অনেকে অংশগ্রহণ করবে

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব:) মো: আখতারুজ্জামান বলেন, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে  ডিসেম্বরের পর থেকে মার্চের মধ্যে নির্বাচন দিলে আমরা অনেকে অংশগ্রহণ করব। আর ডিসেম্বরের আগে সংসদ বহাল রেখে যে নির্বাচন হবে সেখানে কিছু ছাগল-পাগল অংশগ্রহণ করবে। ছাগল-পাগল দিয়ে কি আর দেশ চলবে।

জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত অনুষ্ঠান তৃতীয় মাত্রায় তিনি একথা বলেন। এছাড়া ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি।

মেজর (অব:) মো: আখতারুজ্জামান বলেন,ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে সংসদ সদস্যদের পদ বহাল রেখে নির্বাচন করা  নৈতিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে। যেখানে অনেক রাজনৈতিকদের গণতন্ত্রের প্রতি অনেকের অনীহা আছে সেখানে নির্বাচনের প্রতি অনীহা থাকতে পারে। ক্ষমতাসীনরা যেটা বলবে সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে। পিছনে বন্দুক ধরে কিছু বললে যাই বলুক তাই ঠিক বলছে বলতে হবে।

কিন্তু বন্দুক না থাকলে কি হবে সেটাও কিন্তু গবেষণার বিষয় মো: আখতারুজ্জামান এই কথার প্রেক্ষিতে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, কেনো বন্দুক থাকবে না প্রশ্ন রাখেন?

মেজর (অব:) মো: আখতারুজ্জামান বলেন, কেনো বন্দতুক থাকবে না তা তো আমরা দেখেছি। শেষ মুহূতে বন্দুক থাকে না। আমরা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা প্রয়োগ নিয়ে নিয়ে হাসি টাট্টা করছি। কারণ চার বছর ক্ষতায় আছে তারপরে আর তাকে ভোট দিবে না তার দেশের জনগণ। সেজন্য তাদের তেমন এর্লাজি নাই। তবে আপনি ক্ষমতার মসনদে বসে সিন্দাবাদের দৈত্যের মত ঘাড়ে চেপে থাকবেন। আপনে কবে যাবেন ঠিক। নির্বাচন দেওয়ার কথা বলছেন সেখানে সংসদ বহাল থাকবে। একজন রানিং এমপি থাকতে আরেকটা এমপি নির্বাচন করতে যাবেন। সাধারণ মানুষের কি হবে তখন?তাই আমি একটা কথায় বলবো নির্বাচন হওয়ার পূর্ব শর্ত হল সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া।

  • Courtesy: AmaderShomoy.com/ May 14, 2018

পছন্দের কাজ পাচ্ছেন না ৬৬ লাখ নারী-পুরুষ

  • বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপ
  • কর্মক্ষম বিশাল জনগোষ্ঠীর ২৭ লাখ এখনো পুরোপুরি বেকার
  • পছন্দের কাজ না পেয়ে নানা ধরনের খণ্ডকালীন কাজ খুঁজে নিয়েছেন অনেকে



দেশের প্রায় ৬৬ লাখ মানুষকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অথচ তাঁরা স্থায়ী চাকরি বা কাজের জন্য উপযোগী। কিন্তু নিজেদের পছন্দমতো কাজ পাচ্ছেন না কিংবা পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে কাজ করতে পারছেন না। তবে ভালো কাজ পেলে করবেন। তাই পরোক্ষভাবে তাঁদের বেকার বলা চলে।

এই বিশাল জনগোষ্ঠীর কেউ এখন পুরোপুরি বেকার, কেউবা টিউশনি কিংবা খণ্ডকালীন কাজ করেন। আবার অনেক শিক্ষিত নারী-পুরুষ আছেন, যাঁরা কাজের উপযোগী হলেও কোনো কাজ করেন না। তাঁদের মধ্যে শিক্ষিত গৃহিণীই বেশি। সংসারের নানা চাপে কিংবা অন্য কোনো কারণে তাঁরা হয়তো আপাতত কাজ করছেন না।

অর্থনীতির ভাষায়, এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে কর্ম–উপযোগী সম্ভাবনাময় শ্রমশক্তি বলা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রকাশিত ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ প্রতিবেদনে এই চিত্র পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থনীতিতে উপযুক্ত কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা যাচ্ছে না। ফলে সম্ভাবনাময় জনশক্তির অপচয় হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমশক্তির বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তারা কাজের বাইরে থাকছে। এটি জনসম্পদ অপচয়ের মতো। তাঁর মতে, শিক্ষিত ব্যক্তিরা যেনতেন কাজ করতে চান না। একদম মেশিন চালানোর মতো কাজে তাঁদের অনীহা আছে।

জাহিদ হোসেন আরও বলেন, এ দেশে কাজের চাহিদা আছে, কিন্তু দক্ষ লোক নেই। চাহিদা ও জোগানের মধ্যে একধরনের ফারাক আছে। যেসব কাজের চাহিদা আছে, সেসব ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে হবে।

বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, দেশে ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী আছে, যারা স্থায়ী কোনো কাজ করে না। তাদের মধ্যে নারীই বেশি। কর্মক্ষম নারীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৫৬ হাজার। আর পুরুষের সংখ্যা ৩২ লাখ ১৯ হাজার। এ জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশের বয়স আবার ১৫ থেকে ২৯ বছর, অর্থাৎ বয়সে তরুণ-তরুণী।

বিবিএসের জরিপ তথ্য অনুযায়ী, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রতি তিনজনের দুজনই কমপক্ষে মাধ্যমিক ডিগ্রিধারী। শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনা করলে দেখা যায়, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬ লাখ ৬৫ হাজার নারী-পুরুষ আছেন, যাঁরা কমপক্ষে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও পছন্দমতো কাজ পাচ্ছেন না। আর মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাস এমন নারী-পুরুষের সংখ্যা সাড়ে ৩৭ লাখ।

বিবিএসের জরিপে, কর্মক্ষম বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে বেকার, খণ্ডকালীন কর্মজীবী এবং সম্ভাবনাময় জনগোষ্ঠী—এ তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।

সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার কম কাজ করেন, এমন ব্যক্তিদের খণ্ডকালীন কর্মজীবী হিসেবে ধরা হয়েছে। বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, খণ্ডকালীন কাজ করেন ১৪ লাখ ৬৫ হাজার জন। মূলত টিউশনি, খণ্ডকালীন বিক্রয় প্রতিনিধি, ফাস্ট ফুডের দোকানের বিক্রয়কর্মী, কল সেন্টারের কর্মী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন তাঁরা। পছন্দের কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে তাঁরা এসব খণ্ডকালীন কাজের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন। তাই নিজেদের এ কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন তাঁরা।

অন্যদিকে কোনো ধরনের কাজ খুঁজেও না পেয়ে পুরোপুরি বেকার রয়েছেন এমন নারী-পুরুষের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। তাঁরা সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করারও সুযোগ পাননি। এ বেকার শ্রেণিতে নারী ও পুরুষ প্রায় সমান সমান।

সম্ভাবনাময় কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বলতে বোঝানো হয়েছে, যখন বিবিএস জরিপটি করেছে, তখন কোনো কারণে কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না, কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কাজ খোঁজা শুরু করবেন। আবার অনেকে বিশেষ কারণে কাজ করতে চান না, কিন্তু যেকোনো কাজ দিলে করতে পারবেন, এমন ব্যক্তি আছেন ২৪ লাখ ৩৪ হাজার। এই শ্রেণিতে প্রায় ১৭ লাখই নারী। সংসারের ঝুট-ঝামেলায় তাঁদের অনেকেই চাকরি করেন না। কিন্তু ভবিষ্যতে সময় ও ভালো সুযোগ পেলে কাজ করার ইচ্ছা আছে তাঁদের।

  • Courtesy: Prothom Alo/ May 12, 2018

খুলনায় নৌকা না ধানের শীষ?

সোহরাব হাসান


খুলনার সিটি করপোরশেনর স্থানীয় নির্বাচনটি আর স্থানীয় থাকছে না। এটি রূপ নিয়েছে জাতীয় নির্বাচনের প্রাকমহড়া হিসেবে। গাজীপুরে ১৫ মে ভোট বন্ধ হওয়ার পর পুরো দেশের দৃষ্টি এখন খুলনার দিকে। 

নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভির ছুড়ছে। বিএনপির আশঙ্কা ভোট ডাকাতি হতে পারে। আওয়ামী লীগের ভয়, বিএনপির বহিরাগত সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস করতে পারে। এরই মধ্যে গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত শেষ মুহূর্তের প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক ও বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জুর। 

খুলনার নির্বাচনে মেয়র পদে এবার পাঁচজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা এবং বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুজ্জাম্মিল হক হাতপাখা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু কাস্তে এবং জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান লাঙল প্রতীকে মেয়র প্রতীকে লড়বেন।

বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এবারের নির্বাচন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি পরীক্ষা হলেও ইতিমধ্যেই তারা ফেল করেছে। ভোট নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও সরকারের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজনে সবকিছুই ভেস্তে যেতে বসেছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের ‘অতি উৎসাহী ভূমিকা এবং নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততার’ সমালোচনা করেন তিনি। বিভিন্ন এলাকায় ভোট ডাকাতির আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে মঞ্জু বলেন, এরই মধ্যে চরমপন্থী-সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে। তিনি সব কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সব জায়গাতেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সব ধরনের নাশকতা এড়াতে আজ রোববার দুপুর থেকে ১৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে।
খুলনায় আজ মধ্যরাত থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রচারে। ভোটারদের কাছে আরজি জানাচ্ছেন ভোটের জন্য।

তবে ভোটারদের ভেতরও একধরনের আশঙ্কা রয়েছে। দলীয় কর্মীরা মন খুলে ভোটের প্রচারে থাকলেও সাধারণ ভোটাররা যেন অনেকটাই সতর্ক। কেউই ভোটের বিষয়ে মুখ খুলতে চান না। তবে প্রথম আলোর কাছে অনেকেই বলেছেন, ভোটকেন্দ্র যাওয়ার মতো সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। তবে কোনো ঝুঁকি দেখলে ভোটকেন্দ্র যাবেন না।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৫ জন নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। এবারের নির্বাচনে ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। ভোট হবে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে। দুটি ওয়ার্ডের দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সেখানে মেয়র প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক এবং সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীকে বোতাম চেপে ইভিএমে ভোট দেবেন ভোটাররা।

  • Courtesy: Prothom Alo/ May 14, 2018