ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য পদের দাম দুই লাখ টাকা! ওই পদের জন্য চুক্তিও হয়েছে। কিন্তু টাকা পাননি বড় নেতা। এ জন্য মুঠোফোনে বেশ গালিগালাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এই মুঠোফোন কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ।
প্রায় ১৮ মিনিটের কথোপকথনে মুঠোফোনের এক প্রান্তে কথা বলেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্কুলবিষয়ক উপসম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মাদ আরাফাত। অন্যপ্রান্তে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আরিফ।
মুঠোফোনে কথোপকথনের সত্যতা এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন আরাফাত। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীরাই এসব ভাইরাল করেছে।’
অন্যদিকে মো. আরিফ ছাত্রলীগ নেতা আরাফাতকে ট্যাগ করে গতকাল তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপ-স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জনাব সৈয়দ আরাফাত ভাই ও আমাকে জড়িয়ে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এটা আরাফাত ভাইয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস মাত্র। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
ওই অডিও রেকর্ডিং শুনে জানা যায়, আরাফাত চট্টগ্রাম দক্ষিণ ছাত্রলীগের আরিফকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ দিতে চুক্তি মোতাবেক দুই লাখ টাকা দাবি করছেন। তবে এই টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান আরিফ। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। টাকা দিতে না চাওয়ায় আরিফকে হুমকিও দেন আরাফাত। আর ১১ মে (শুক্রবার) দেখা করে টাকা দেওয়ার কথা বলেন আরাফাত। তবে টাকা দিতে বার বার অপারগতা প্রকাশ করেন আরিফ। তিনি আরাফাতকে আশ্বস্ত করেন, তাঁকে ব্যবসায়ের অংশীদার করবেন। নতুন ব্যবসা করার জন্য ব্যবস্থা করবেন। এসব কথা শোনার পরেও আরাফাত দুই লাখ টাকা দাবি করেন।
আরাফাত বলেন, আমি যে আপনাকে (আরিফকে) নেতা বানাইছি এ জিনিসটা কি করব এখন? এখন তো আমাকে দুই লাখ টাকা দিতে হবে। এই টাকা কে দেবে? তখন আরিফ বলেন, এ নিয়ে আপনার সাথে কোনো কথা হয়নি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আরাফাত বলেন, আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে।
কারা করেছে জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, ‘আমি জানি না।’ তিনি বলেন, ‘আমার এন্ট্রিগ্রুপ (বিরোধী পক্ষ) সবার ম্যাসেঞ্জারে পাঠাচ্ছে।’
এই কল রেকর্ডিং আরিফ ছড়িয়েছে কিনা জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, ‘আরিফ আমাকে বলেছে, ও এই কাজ করেনি।’
- Courtesy: NTV News/ May 12, 2018
No comments:
Post a Comment