Search

Wednesday, May 30, 2018

বড় বাজেট এক ধরনের প্রতারণা

একান্ত সাক্ষাৎকারে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ


হামিদ বিশ্বাস 


বাজেট হতে হবে স্বচ্ছ, বস্তুনিষ্ঠ ও বাস্তবায়নযোগ্য। বেসরকারি ব্যাংকের মাত্র কয়েক উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, অর্থ মন্ত্রণালয়; এমনকি সরকারও জিম্মি হয়ে পড়েছে। এভাবে জিম্মিদশা চলতে থাকলে পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবারের মতো কয়েক ব্যক্তিবিশেষের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে ব্যাংকিং খাত, যা অর্থনীতির পরিপন্থী। যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এ সংশয় প্রকাশ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- হামিদ বিশ্বাস

যুগান্তর : বাজেট কেমন হওয়া উচিত?

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ : প্রতি বছর বিশাল বাজেট দেয়া হয়। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয় না। অবাস্তব বাজেট এক ধরনের চাটুকারিতা ও প্রতারণার শামিল। তাই বাজেট হতে হবে স্বচ্ছ, বস্তুনিষ্ঠ ও বাস্তবায়নযোগ্য।

যুগান্তর : বাজেটে জনগণের করের টাকা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের জন্য বরাদ্দ রাখার যৌক্তিকতা কী?

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ : রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে লুটতরাজ করে, বছর শেষে বাজেট থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া অনৈতিক ব্যবস্থা, যা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে। এ ব্যবস্থার বিলোপ চাই। এসব ব্যাংককে মুনাফা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। এর আগে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে সরকারি ব্যাংক কখনও লাভের মুখ দেখবে না।

যুগান্তর : বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকদের একের পর এক সুবিধা দেয়ার বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন?

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ : বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকদের আর কোনো সুবিধা দেয়া ঠিক হবে না। ধীরে ধীরে তারা গ্রাস করে ফেলছে ব্যাংকিং খাত। বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদ টাকা জমার হার (সিআরআর) বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা, সরকারি তহবিলের ৫০ শতাংশসহ চারটি সুবিধা নিয়েছে।

বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ব্যাংক ঋণের সুদ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনতে।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথা তারা শোনেনি। ঋণের সুদ এক টাকাও কমায়নি। উল্টো কোনো কোনো ব্যাংক সুদ আরও বাড়িয়েছে। এখন তারা রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের বিনিয়োগযোগ্য প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা নামমাত্র দেড় থেকে দুই শতাংশ সুদে নেয়ার ফন্দি করছে।

এটা দেয়া কিছুতেই ঠিক হবে না। এর আগে তারা নিজেদের প্রয়োজনে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করেছিলেন। যেখানে একই পরিবারের চারজন পরিচালক এবং টানা ৯ বছর থাকার বিধান রাখা হয়।

এতে করে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো মাত্র কয়েক উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে জিম্মি হয়ে গেল। খুব শিগগিরই আইনটি পরিবর্তন না হলে পাকিস্তান আমলের ২২ পরিবারের মতো গুটিকয়েকজনের হাতে চলে যাবে ব্যাংকিং খাতের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, যা কিছুতেই শোভনীয় নয় এবং বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতির পরিপন্থী।

যুগান্তর : ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম-দুর্নীতিরোধে বাজেটে কী ধরনের নির্দেশনা থাকা দরকার?

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ : এবারের বাজেটে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। এর অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে’ তুলে নিতে হবে। কারণ বিভাগটি চালু হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বেপরোয়া হয়ে যায়।

গত কয়েক বছরে রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডি ও ডিএমডি নিয়োগ দিয়েছিল এ বিভাগ। ওইসব বোর্ড এবং ম্যানেজমেন্টের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়। বিশেষ করে সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারি এবং বেসিক ব্যাংকে ভয়াবহ লুটপাট সংঘটিত হয়। এসব ঘটনায় উল্লেখযোগ্য কারও বিচার হয়নি।

বিচারহীনতার কারণে পরবর্তী সময়ে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতেও দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ব্যাংকিং খাতের আজকের করুণ পরিণতির দায়-ভার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে নিতে হবে। এছাড়া কয়েক বছরে ব্যাংকিং খাতে যে লুটপাট হয়েছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। এজন্য একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা খুব জরুরি। পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতকে ঢেলে সাজানোর জন্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা যেতে পারে।

যুগান্তর : বাজেটে বড় চ্যালেঞ্জ কী?

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ : এবারের বাজেটে বেশ কিছু বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমত, টাকা-পয়সার অপব্যবহার হতে পারে। এর সদ্ব্যবহার নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অর্থের অপচয় রোধে কঠোর নজরদারি বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, সংসদ সদস্যরা নিজ এলাকায় জনতুষ্টির জন্য অনেক প্রকল্প নিতে পারেন। প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই হওয়া উচিত। তৃতীয়ত, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা। চতুর্থত, দেশে আয়-বৈষম্য দূর করা এবং শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

যুগান্তর : সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন?

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ : এবার বাজেটে এমন কিছু ব্যবস্থা থাকা উচিত, যা দুটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সমস্যা লাঘবে অবদান রাখতে পারে। সমস্যা দুটি হল মানুষে মানুষে আয় বৈষম্য হ্রাসকরণ এবং শিক্ষিত বেকারদের জন্য কর্মসৃজন।

এ উদ্দেশ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ধীরে ধীরে জাতীয় আয়ের ৪ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বরাদ্দ অর্থের সুষ্ঠু ও যথার্থ বিতরণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

এছাড়া নিুবিত্তদের মধ্যবিত্তে উত্তরণ এবং মধ্যবিত্তদের উচ্চমধ্যবিত্তে উত্তরণের কৌশল গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে, সাবকন্ট্রাক্টিং পদ্ধতিকে উৎসাহিত করতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্প্রসারণে ফলপ্রসূ প্রণোদনা দিতে হবে। এছাড়া মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করযোগ্য ব্যক্তি আয়ের সীমা বাড়াতে হবে।

আয়হীন বৃদ্ধ ব্যক্তিদেরও পর্যাপ্ত রেয়াত দিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কাজের পরিমাণ ও অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ করে মনিটরিং করতে হবে। যাতে বছর শেষে দুতিন মাসে ব্যয় বৃদ্ধির প্রবণতা রোধ করা যায়।

  • কার্টেসিঃ যুগান্তর/ মে ৩০,২০১৮ 

নির্বাচনের ১০০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে - বি. চৌধুরী

নির্বাচনের অন্তত ১০০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিকল্পধারা সভাপতি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, যাতে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সেজন্য আগেই সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর অল কমিউনিটি ক্লাবে কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বিএনপির মাহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী,গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, শাহ আহম্মেদ বাদল আসাদুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।

বি. চৌধুরী বলেন, যুক্তফ্রন্ট জাতীয় নির্বাচনের পর একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রতিশ্রিুতিবদ্ধ। ফ্রন্ট নিশ্চয়তা দিচ্ছে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মেধাবী লোকদের সাথে নিয়ে দেশেকে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পথে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিশাল বাজেট দেওয়া হচ্ছে এবং যার জন্য দুর্নীতি সর্বোচ্চ শিখরে। কোনো সরকারি অফিস দুর্নীতি থেকে মুক্ত নয়। বি. চৌধুরী আরো বলেন, দেশে রাজনৈতিক নির্যাতন ও নিপীড়ন চলছে এবং গণতন্ত্র নেই। ঢাকায় ২০ ভাগ ভোটারের বসবাস হলেও বিরোধী দলকে সভা সমাবেশ করতে দেয়া হয় না।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, বিনা বিচারে হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে জেলে আটক রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক হয়রানি করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে। যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বলেন, একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া একধিক চ্যানেল সরকার নিয়ন্ত্রিত। তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হয় এবং এর সা¤প্রতিক উদাহরণ খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। পেশী শক্তি ও অবৈধ অস্ত্রের কারণে গনতান্ত্রিক নির্বাচনের সকল সম্ভাবনার অবসান ঘটেছে। বি. চৌধুরী বলেন, কালো টাকার জন্য সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এবং জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সাধারণ মানুষ, ভোটার ও রাজনৈতিক কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। এখন জাতীয় নির্বাচন জনগণের মৌলিক দাবি। কিন্তু তার আগে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।

  • কার্টেসিঃ নয়াদিগন্ত/মে ৩০,২০১৮ 

Most ‘fast-track’ power projects miss schedule

M Azizur Rahman


The government's decision to allow installation of 10 oil-fired power plants under 'fast-track' programme has failed to achieve the desired objectives.

The Power Division under the Ministry of Power, Energy and Mineral Resources (MPEMR) in August last year approved setting up of five diesel-fired power plants and five furnace-oil fired power plants in the private sector. The plants having a total generation capacity of 1,768 megawatt (MW) were selected without any bidding.

All the five diesel-fired power plants failed to initiate electricity generation within their stipulated deadline February 10, 2018, a senior official of state-run Bangladesh Power Development Board (BPDB) told the FE Tuesday.

Only one furnace oil-fired 300 MW power plant owned by Summit Group could meet the deadline, May 10, 2018, he said.

As on May 29, 2018 only four 'fast-track' power plants three diesel and one furnace oil were in operation and their overall generation was hovering around 657 MW.The electricity generated by these plants was around one-third of the targeted output, according to BPDB statistics.

The diesel-fired power plants are now together producing around 371 MW of electricity, less than half of the targeted 800 MW. The lone furnace-oil fired power plant of Summit Group is producing around 286 MW of electricity. The BPDB had a target to get 978 MW from all five furnace oil-based plants.

The government had awarded these diesel and furnace oil-fired power plants to private sector on the basis of unsolicited offers under the Speedy Supply of Power and Energy (Special Provision) Act 2010. The law has a provision for granting immunity to all those involved with the quick-fix remedies.

The government also allowed the private entrepreneurs duty-free import of furnace oil to run their power plants with 9.0 per cent service charge along with recovery of import costs. Besides, there is a provision for capacity payment as incentives, said a senior official of Power Division.

Both the diesel and furnace oil-fired power plants were awarded under the independent power producer (IPP) category. The BPDB is contractually-bound to purchase electricity from the diesel-fired power plants at rates between Tk 19.66 and Tk 19.99 per kilowatt-hour (1 unit). The tariff is almost three-fold of the existing average retail level electricity price Tk 6.84 per unit.

From the furnace-oil fired power plants, the BPDB is pledge-bound to purchase electricity at the tariff rate between Tk 8.25 and Tk 8.37 per unit.

"We awarded the diesel and furnace oil-fired power plants under fast-track to meet the mounting electricity demand from early summer this year," BPDB chairman Khaled Mahmood told the FE. But, unfortunately, many of them could not begin their operations timely, he said.

When contacted, energy adviser of the Consumers' Association of Bangladesh (CAB) Prof M Shamsul Alam said, "These power plants were awarded not to generate electricity but to facilitate a few to launder money abroad."

It is unfortunate that the government is putting thrust on generating electricity without considering the costs, he said. "But it can't be a sustainable policy and it is a wrong one," he said.

  • Courtesy: The Financial Express/May 30, 2018

Death count tops 100 in 15 days

12 more 'drug dealers' killed in 'shootouts'; number of arrestees crosses 10,000 as raids continue



So-called shootouts in the ongoing anti-narcotics drive keep claiming lives with the number of deaths standing at 108 until last night.

Twelve more alleged drug dealers were killed in Dhaka and eight other districts yesterday.

Although the “extrajudicial killings” in the “gunfights”, mostly involving law enforcers, are drawing criticisms from rights activists, the police headquarters yesterday extended their 10-day special anti-drug drive, beginning on the first day of Ramadan on May 18, until further notice.

The Rab drive has also been continuing since May 4, raising concerns that the number of the “shootout victims” may rise.

During the nationwide drive for the last 15 days, law enforcers have arrested around 10,000 people over their alleged involvement in drug peddling while mobile courts have jailed and fined at least 3,276 others.

Of the arrestees, 70 were held by police in drives in Uttara and Lalbagh areas of the capital yesterday. 

Law enforcers also claimed to have seized around 23 lakh yaba tablets, 2,700 kgs of cannabis, 23,000 bottles of phensedyl, 26kgs of heroin, and 2,08,000 litres of local liquor.

Yesterday, two alleged drug dealers were killed in Comilla and two others in Kushtia while one each in Dhaka, Mymensingh, Thakurgaon and Borguna in what law enforcers said were gunfights with them.

Two other “drug dealers” got killed in “gun battles” between rival groups of drug peddlers in Jessore and one each in similar incidents in Brahmanbaria and Satkhira.

Police officials claimed to have seized hauls of phensedyl bottles, hemp, yaba pills, firearms and bullets from the crime scenes.

According to the police, each of the 12 deceased was facing multiple cases filed under the anti-narcotics act. They claimed several cops were also injured during the alleged gunfights in some districts.

The “shootout” narratives remain the same -- law enforcers go for drives taking along arrested drug dealers, or on secret information about gathering of drug dealers or to recover drugs waiting to change hands. However, the law enforcers come under attack and they retaliate by firing back. It triggers a gunfight, leaving the drug dealers dead.

In Comilla, two suspected drug dealers -- Liton alias Kana Liton and Baten Mia -- were killed in a “shootout” with police in Gunjor Beribadh area of Muradnagar upazila.

Police also claimed to have recovered the body of another “listed peddler”, Aktar Hossain, 30, along the Comilla-Chandpur highway in the district yesterday. He was facing at least four drug cases filed with Barura Police Station, according to law enforcers. 

Police claimed that a CNG-run auto-rickshaw was found near the spot and Aktar's head was badly damaged.

The two people killed in Kushtia were identified as Mokaddes Hossain, 30, son of late Reazul Haq, and Fazlur Rahman alias Title, 50, son of late Yakub Ali of Daulatpur upazila.

Suspected drug dealer Sumon Miah alias Khuku Sumon was killed in Dakkhin Khan area of the capital around 12:10am.

In similarly narrated incidents, Md Mizan was killed in Bhaluka of Mymensingh and Harun, 45, in Haripur upazila of Thakurgaon.

Firoz Mridha, 45, was killed in a “gunfight” with Rab in Borguna's Kajirabad Betagi municipality area. 

Jessore police said alleged drug dealers Manik Mia, 35, and Asar Ali, 45, were killed in a “gun-battle” between two groups of drug peddlers in Chachra Raipara area of Sadar upazila.

CONTRADICTORY STORY

Brahmanbaria police claimed that alleged drug dealer Jony Mia, 30, was killed in “gunfight” between two groups of drug peddlers in Khalajora area.

Jony's wife Jotsna Akter, however, said eight to 10 men in plainclothes went to their home on May 21, handcuffed her husband and took him along with them. She said her husband was never a drug trader.

In Satkhira, police recovered the body of one Anisur Rahman from Kolaroa upazila and claimed that he was a drug dealer who got killed in a “gunfight” between two groups of drug dealers.

THE RAIDS IN DHAKA

Around 600 policemen, along with members of the Detective Branch (DB) of police, a special armed force and a dog squad, conducted a three-hour drive in Baunia of Turag area.

Police held 31 people in the drive from 11:00am, said Shafikur Rahman, inspector (investigation) of Turag Police Station, adding that 5,100 yaba pills and around five kgs of cannabis were recovered from there.

Locals said police, divided into groups, gathered in the area around 10:00am and started the drive an hour later.

In another drive in Islambagh area of Lalbagh, police arrested 39 people, said Ibrahim Khan, deputy commissioner of DMP (Lalbagh Division).

Around 500 policemen, along with a special armed force and a dog squad, took part in the two and half hours drive, which started around 2:30pm.

Police claimed to have recovered 370 yaba pills, 800gms of heroin, 2kgs of cannabis and 50 litres of locally-made alcohol from the spot.

  • Courtesy: The Daily Star/ May 30, 2018

Tuesday, May 29, 2018

অার কিছু নয়, নির্বাচনের বছরে ‘প্রতিদান’ চান হাসিনা মোদিজির কাছে একান্তে


মোহাম্মদ আলী বোখারী


শান্তিনিকেতনের ‘বাংলাদেশ ভবনে’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে ‘প্রতিদান’ চেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমনটাই গত ২৬ মে পশ্চিমবঙ্গের বহুল প্রচারিত আনন্দবাজার পত্রিকায় অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় রচিত “দিল্লির পাশে থেকেছে ঢাকা, মোদীর কাছে ‘প্রতিদান’ চান হাসিনা” শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

সূচনায় বলা হয়েছে, “দিয়েছেন অনেক, প্রতিদানে এবার ভারতের সহযোগিতা চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।” তাতে সবিশেষভাবে ‘বাংলাদেশের নির্বাচনের বছরে ভারতের সহযোগিতা চাই’ কথাটি যুক্ত করে বলা হয়েছে। “শুক্রবার ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনের পরে সেখানেই মোদীর সঙ্গে বৈঠকে হাসিনা জানিয়েছেন, তাঁর সরকার উত্তর-পূর্বের জঙ্গিদের দেশছাড়া করেছে, ট্রানজিট দিয়েছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বরাবর দিল্লির পাশে থেকেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনের বছরে এবার তাই ভারতের সহযোগিতা চাই। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, মোদীকে হাসিনা বলেছেন, তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিল পাকিস্তনি শোষণে ছিবড়ে হয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড় করানো। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নেমেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের মতো এই কাজেও ভারতকে পাশে চান।”



প্রতিবেদনটিতে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদীর এক অন্তরঙ্গ আলাপচারিতার ছবিও যুক্ত করা হয়েছে।

পাশাপাশি তাতে আরও বলা হয়েছে, ১৯৭২-এর ৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীকে পাশে নিয়ে কলকাতার জনসভায় সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, “নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি। দেওয়ার কিছু নেই। শুধু বুক ভরা ভালবাসা জানাই ভারতের মানুষকে।’’ ছেচল্লিশ বছর পরে হাসিনার বার্তা, তাঁরা যা দিয়েছেন, ভারত এবার তার প্রতিদান দিক। একই সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে যে, মোদীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি কী বলবেন, উপদেষ্টাদের সঙ্গে আগেই আলোচনা সেরে এসেছিলেন হাসিনা। তাঁর দফতরের এক সূত্র জানান, হাসিনার বার্তা, মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে সরাতে, বাংলাদেশকে ফের পাকিস্তান বানানোর চক্রান্ত চলছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে পশ্চিমে আর পূর্বের দু’দিকেই পাকিস্তান নিয়ে ঘর করতে হবে ভারতকে। তাই ভারতের উচিত বাংলাদেশের বর্তমান সরকারই যাতে ক্ষমতায় ফেরে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা।

তবে সেখানে সুস্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, “মোদীর জবাব জানা যায়নি। ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনের পরে বক্তৃতায় তিনি জানান, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামো খাতে ৮০০ কোটি ডলার সাহায্য দিয়েছে দিল্লি। বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়িয়ে ১১০০ মেগাওয়াট করা হবে। মহাকাশ প্রযুক্তিতেও সাহায্য করতে চায় দিল্লি।”

এছাড়া প্রতিদেনটিতে উল্লেখ রয়েছে, ভবন উদ্বোধনের প্রারম্ভিক বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় অনেক জল গড়িয়েছে। আরও জল গড়াবে। দুই দেশের সুসম্পর্কও এগিয়ে চলবে।’’ দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আলোচনায় তিস্তা প্রসঙ্গ ওঠা স্বাভাবিক বলে অনেকেই মনে করেছেন। যদিও এ নিয়ে কেউই প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে তার আগে বক্তৃতায় হাসিনা বলেন, “অনেক অর্জনের মধ্যে কিছু বকেয়াও রয়েছে, যা উল্লেখ করে এমন সুন্দর অনুষ্ঠানের অঙ্গহানি করতে চাই না আমি!’’

একই সঙ্গে প্রতিবেদনটি বলেছে, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী কালে ভারতের অবদান স্মরণ করতে গিয়ে এদিন গলা ধরে আসে হাসিনার’। তিনি বলেন, “এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন ভারতের মানুষ। যুদ্ধে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে। লড়াইয়ে প্রাণও দিয়েছেন ভারতের সেনারা।’’ ১৯৭৫-এর ১৫ অগস্ট রাতের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু তাঁর বাবা-মা, ভাইদের হত্যা নয়, তাঁর পরিবারের আরও তিনটি বাড়িতে সে রাতে হামলা করে হত্যাকাণ্ড চালায় ‘পাকিস্তানের চরেরা’। “আমরা দুই বোন-সহ পরিবারের যে ক’জন সেদিন বেঁচে গিয়েছিলাম, ভারতের স্নেহচ্ছায়াতেই কাটিয়েছি পরের কয়েক বছর,’’ বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, বাবার স্বভাব ছিল রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি। স্টিমারের ডেক-এ দাঁড়িয়ে ভরাট গলায় উচ্চারণ করতেন, ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই!’ সেই রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে দুই দেশ মিলে একটি ভবন উদ্বোধন করল। দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হল, দু’টিই রবীন্দ্রনাথের লেখা। হাসিনা জানান, বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের জমিদারি অঞ্চল শাহজাদপুরে তাঁর সরকার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছে।
  • লেখক কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক। 


ডুবছে কৃষি ব্যাংক

  • মূলধন ঘাটতি ৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • বাজেটে ভর্তুকি চায় দেড় হাজার কোটি টাকা


রুকনুজ্জামান অঞ্জন


কৃষি খাতের উন্নয়নে নিয়োজিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) এখন ডুবতে বসেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতি, সরকারের ওপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা, কৃষি ঋণের সুদের হার কম ও তহবিল পরিচালন ব্যয় বেশি হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে বিশেষায়িত এই ব্যাংকটির অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যাচ্ছে।  অর্থ মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি পাঠানো এক চিঠিতে ব্যাংকটি বলেছে, তাদের মূলধন ঘাটতি ৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এত বেশি ঘাটতি নিয়ে ব্যাংকটির ব্যবসা পরিচালনা ও ঋণদান কর্মসূচি কঠিন হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী বাজেট থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি চেয়েছে বিকেবি।

ব্যাংকটির এমডি মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া চিঠিতে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের আর্থিক বিবরণীতে প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে পরিচালনগত লোকসান এবং সমন্বিত মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দেশে-বিদেশে স্টেকহোল্ডারদের বিভ্রান্ত করে; এমনকি আমানতকারীদেরও নিরুৎসাহিত করে। যে কারণে ১০৩১টি শাখা সংবলিত একটি ব্যাংকের দীর্ঘ ৪৮ বছরের আমানতের পরিমাণ মাত্র ২২ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের জুন পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী বিশেষায়িত খাতের এ ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের জুনে যার পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা।

ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। নিট লোকসানের পরিমাণ ৯৮১ কোটি টাকা। এ ছাড়া ১ হাজার ৩১ শাখার মধ্যে ১৪৮টি শাখাই পরিচালিত হচ্ছে লোকসানে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অন্য ব্যাংক যেখানে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়, সেখানে কৃষি ব্যাংক-কে ৯ থেকে ১০ শতাংশ সুদে কৃষিঋণ বিতরণ করতে হয়। অথচ তাদের আমানত নিতে হয় বেশি সুদে। ব্যাংকটির তহবিল পরিচালন ব্যয়ের চেয়ে ঋণের সুদের হার কম হওয়ায় বছর বছর মূলধন ঘাটতি বাড়ছে। এ ছাড়া ব্যাংকটির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। এতে কিছু টাকা ব্যাংকের বাইরে চলে যাচ্ছে। ব্যাংকটিকে বাঁচাতে চাইলে এগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিকেবির চিঠিতে বলা হয়েছে, কৃষি ব্যাংকের মোট বিতরণকৃত ঋণের ৮২ শতাংশ সরাসরি কৃষি খাতের অন্তর্ভুক্ত। দেশের কৃষকদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় কৃষিঋণের ওপর অন্যান্য ব্যাংক ও ঋণ খাতের মতো বাজারভিত্তিক সুদ আরোপ না করে সরকার নির্দেশিত হ্রাসৃকত সুদ হারে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে, যা ব্যাংকটির তহবিল ব্যয়ের চেয়েও কম। আর এ কারণেই ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কম সুদে ঋণ দেওয়ার কারণেই কৃষি ব্যাংকের অবস্থা খারাপ হচ্ছে— তেমনটি নয়। ব্যাংকটির সামগ্রিক পারফরমেন্স খারাপ হওয়ার জন্য অদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও দায়ী। কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে গতবছর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পরিদর্শন প্রতিবেদন দেয়। ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির আওতায় গরু মোটাতাজাকরণের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত নিশ্চয়তার বিপরীতে কিছু কিছু শাখায় ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ ধরনের ৪৪৭টি ঋণের বিপরীতে বিতরণকৃত অর্থের প্রায় পুরোটাই চলে গেছে কর্মকর্তাদের পকেটে। কৃষি ব্যাংকের লোকাল প্রিন্সিপাল অফিস ও সাভার শাখার কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে মনো প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিকে প্রায় ৪৩ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে লেটার অব ক্রেডিট বা ঋণপত্রের (এলসি) পণ্য ছাড় করিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই গ্রাহকের কাছে ব্যাংকের পাওনার বিষয়টি কোনো হিসাবে দেখানো হয়নি। কৃষি ব্যাংকের কক্সবাজার, বনানী করপোরেট শাখাতেও কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়ে সেই ঋণ ফেরত পায়নি ব্যাংকটি। এর বাইরে ভল্টের টাকা ও সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাতের মতো ঘটনাও রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিকেবির এমডি আলী হোসেন প্রধানিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অনিয়ম কোথায় নেই, সে তুলনায় কৃষি ব্যাংকে বরং কম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা ভুল ধারণা আছে। তারা বলছে, সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংক ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে ব্যবসা করতে পারলে কৃষি ব্যাংক কেন পারে না। কিন্তু ওসব ব্যাংক ২ থেকে ৩ শতাংশ কৃষি ঋণ দেয়। আর আমাদের কৃষিঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৪ শতাংশ। ঋণের পার্সেন্টেজ বেশি হওয়ায় আমাদের ক্ষতির পরিমাণও বেশি। এমডি জানান, ব্যাংকটিতে তহবিল পরিচালনায় ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ শতাংশ হারে। আর তারা ঋণ দিচ্ছে ৯ শতাংশ হারে। এ ছাড়া সময়মতো ভর্তুকির টাকা না পাওয়ার কারণেও তাদের মূলধন ঘাটতি বাড়ছে। ব্যাংকটির পারফরমেন্স ভালো করতে নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে এমডি বলেন, আগামী জুন থেকে আমাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে।

  • Courtesy: Bangladesh Protidin/ May 29, 2018

মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতের সংখ্যা একশ ছাড়াল

সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতের সংখ্যা একশ ছাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অভিযান শুরুর পর এ নিয়ে গত ১০ দিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৯ জন। সোমবার রাত থেকে মঙ্গরবার ভোর পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের বিভ্ন্নি জেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছে।

এর মধ্য কুমিল্লায় দুজন, কুষ্টিয়ায় দুজন, যশোরে দুজন, ঢাকায় একজন, ময়মনসিংহে একজন, সাতক্ষীরায় একজন, বরগুনায় একজন, ঠাকুরগাঁওয়ে একজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন মারা গেছেন। নিহতরা সবাই মাদক কেনা-বেচায় জড়িত বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। যদিও তাদের বক্তব্য ও ঘটনার বিবরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
  • কার্টেসিঃ বণিক বার্তা/ মে ২৯,২০১৮ 

৪১ দিনেও উদ্ধার হয়নি সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া কয়লাবাহী জাহাজ

গত ১৪ এপ্রিল রাতে সুন্দরবনের পশুর নদের হারবারিয়া এলাকায় ৭৭৫ টন কয়লাসহ ডুবে যায় লাইটার জাহাজ এমভি বিলাস। এ দুর্ঘটনার ৪১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার করা যায়নি জাহাজটি ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আধুনিক উদ্ধারকারী জাহাজের অভাব ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এমভি বিলাস এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে সনাতন পদ্ধতিতে জাহাজটিকে টেনে তোলার চেষ্টা চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব না হলে আশা ছেড়ে দিতে হবে।

মালিকপক্ষের হয়ে জাহাজটি উদ্ধারের কাজ তদারকি করছেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. বাহারুল ইসলাম বাহার। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, আধুনিক জলযানের অভাব, নদীর স্রোত আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জাহাজটি দিন দিন নদীর তলদেশে আরো দেবে যাচ্ছে। জাহাজের উপরে প্রচুর পলি পড়ায় এখন আর কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বর্তমানে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তবে এর আগে ডুবন্ত জাহাজ থেকে পানি ও পলিমাটি মিশ্রিত কিছু কয়লা পাম্পের মাধ্যমে উত্তোলনের পর ৪০০ টনের একটি বাল্কহেডে করে যশোরের নওয়াপাড়ায় নিয়ে গেছেন আমদানিকারকরা।

বাহার আফসোস করে বলেন, যদি খুলনায় বিআইডব্লিউটিএ কিংবা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো উদ্ধারকারী জলযান থাকত, তাহলে জাহাজটি উদ্ধারে এত দেরি হতো না। বর্তমানে জাহাজটিকে সনাতন পদ্ধতিতে দুই পাশে দুটি টাকবোট দিয়ে টেনে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরঞ্জামাদি আনা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব না হলে আশা ছেড়ে দিতে হবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে উদ্ধারকারী জাহাজ কেনা জরুরি হয়ে পড়েছে। শিগগির উদ্ধারকারী জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য আমরা একটি প্রকল্প তৈরি করছি।

এদিকে সুন্দরবনের নদীতে একের পর এক জাহাজডুবি এবং তা উদ্ধার না হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বন কর্মকর্তা ও পরিবেশবাদীরা। তারা বলছেন, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের মধ্যে অবস্থিত পশুর, শ্যালাসহ অন্যান্য নদীতে জাহাজডুবির ঘটনা নতুন নয়। গত সাড়ে তিন বছরে ডুবেছে সাতটি জাহাজ। এসব জাহাজে ছিল ফার্নেস অয়েল, সার, কয়লা ও সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল। তবে খুলনা অঞ্চলে উদ্ধারকারী কোনো জলযান না থাকায় দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হয় না ডুবে যাওয়া জাহাজ ও পণ্য। ফলে এসব পণ্যের রাসায়নিক পদার্থে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জলজ জীববৈচিত্র্য। পানির মাধ্যমে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে বনের মাটিতেও।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, শ্যালা নদী দিয়ে এখন আর পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে না। তবে মোংলা বন্দরের কারণে পশুর নদ দিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। সে কারণে এটি বন্ধ করার সুযোগ নেই। জাহাজডুবির কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়। তাই জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) খুলনার সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল বলেন, একের পর এক জাহাজডুবির ঘটনা উদ্বেগ তৈরি করেছে। আমরা এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তাভাবনা করছি।

  • কার্টেসিঃ বণিক বার্তা/ মে ২৯,২০১৮ 

ব্রেক করলেই উঠে আসছে পিচ

রাস্তা সংস্কার বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী


বড়াইগ্রামের জোয়াড়ী ইউনিয়নে অনিয়মের অভিযোগে রাস্তার সংস্কারকাজ বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। তারা শিডিউল অনুযায়ী মানসম্মত কাজের দাবিতে বিক্ষোভও করেন। এ অবস্থায় গতকাল নাটোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সুভাষ কুমার সাহা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ওই রাস্তা পরিদর্শন করেছেন।

উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জোয়াড়ী ইউনিয়নের রামাগাড়ী শাহপাড়া থেকে হারোয়া রহিমের বটতলা পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৬১০ মিটার রাস্তার সংস্কারকাজ চলছে। প্রায় ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দে এ কাজ করছে মেসার্স খায়রুল কবির রানা কনস্ট্রাকশন। কিন্তু অনিয়মের অভিযোগে গত শনিবার বিকালে রামাগাড়ী ও শ্রীখণ্ডী গ্রামের মানুষ কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করে।

স্থানীয়রা জানান, কার্পেটিংয়ের আগে রাস্তায় পড়ে থাকা মাটি ও ধুলাবালি পরিষ্কার করা হয়নি। কার্পেটিং করা হচ্ছে নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে। ফিনিশিং ভালো না হওয়ায় রাস্তার বিভিন্ন স্থান উঁচু-নিচু হয়ে পড়েছে। নিম্নমানের বিটুমিনের কারণে কার্পেটিং শক্ত হচ্ছে না। ফলে গাড়ি ব্রেক করলে কিংবা খোঁচা দিলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।

কথা হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়ালিউল ইসলাম শিলু জানান, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় রাস্তাটি অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে যাবে। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার প্রতিনিধি দীপ্ত শেখর মিত্র জানান, শিডিউল অনুযায়ীই কাজ হচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ‘আমি কাজ দেখেছি। আমার মতে, সংস্কারকাজ ভালোভাবেই হচ্ছে।’ অন্যদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ রাস্তাটি পরিদর্শন করে কিছু অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারকে সঠিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

  • কার্টেসিঃ বণিক বার্তা/ মে ২৯,২০১৮ 

HC verdict on rape, sexual assault cases

Ministries must ensure implementation of directives


In response to a writ petition filed by rights organisations over the rape of a Garo woman in 2015 and the police's delay in recording her complaint, the High Court has come up with a set of 18 guidelines for ensuring protection and justice for victims of sexual assault and rape, which include some issues in need of critical attention.

The 2015 incident once again highlighted, as we have seen repeated over and over again since then, issues of police negligence and delay in recording complaints, providing victim support, and ensuring a gender-sensitive environment for the victim. The court has ruled that necessary chemical or DNA tests in such cases must be conducted within 48 hours of occurrence and that the police have to record complaints of rape or sexual assault of women and children without any delay and discrimination. The directives also mention that police stations must have a round-the-clock female police official who must be present during the recording of the victim's testimony, among other guidelines for making the victim feel safe and comfortable. Victim support services, interpretation services for those with disabilities, and the issue of discretion have also been covered by the verdict.

We have long stressed for the need for reform of the hostile environment that victims of rape and sexual assault face in trying to get justice—these directives, if properly implemented, should go a long way towards that end. Recently, we also saw the banning of the controversial “two-finger-test”. These are steps in the right direction. We commend the HC directives, and hope that the concerned ministries will take immediate measures for their implementation until the required legislation can be passed.

  • Courtesy: The Daily Star /Editorial/ May 29, 2018