Search

Thursday, November 29, 2018

মনোনয়ন বাণিজ্যে জাপায় তোলপাড়

সংসদ নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে। মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীরা নিজ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছেন। টাকা দিয়েও মনোনয়ন না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন অনেকে। এনিয়ে তোলপাড় চলছে খোদ দলেই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। এসব ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ওদিকে হঠাৎ করে জাপার কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের অনেকটা অন্তরালে। গত দুই-তিন দিন ধরে তাদের অদৃশ্যপটে থাকা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ওদিকে মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে সোমবার জাপা চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এমপি শওকত চৌধুরী।

তিনি কার্যালয়ে উপস্থিত রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমানের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার টাকা ফেরত দিয়ে স্যারকে (এরশাদ) সৈয়দপুর যেতে বলবেন মোস্তফা ভাই। না হলে পুলিশ তাঁকে রক্ষা করতে পারবে না, বলে গেলাম। আমি তাঁকে দেখে নেবো। তাকে ৬০ লাখ টাকা দিয়েছি। যখন যা চেয়েছে সব দিয়েছি, কোনো অনুষ্ঠানে টাকা দিইনি? মহাজোটে জাপার তালিকায় নিজের নাম না দেখে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এমপি শওকত চৌধুরী। পরে ওই রাতেই ডেকে এনে পার্টির মনোনয়ন ফরম দেয়া হয়। যদিও আরেক প্রার্থী আদেলুর আদেলেরও নাম রয়েছে তার নামের পাশে।

শওকত চৌধুরীর টাকা দেয়ার ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আসার পরেই পার্টির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী মুখ খুলেন। পার্টির কম পক্ষে পাঁচজন নেতার সঙ্গে টাকা লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর অব. খালেদ আখতার এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চেয়ারম্যানের পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায়ের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে। তবে মনোনয়ন বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করেন জাতীয়পার্টি (জাপা) মহাসচিব। 

তিনি জাপায় অর্থ বাণিজ্যের লেনদেনকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বলে অবহিত করেন। জাপার একটি সূত্র জানায়, পার্টির পাঁচ জনে পাঁচ দিক থেকে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন। এ কারণে তালিকাও হয়েছে পাঁচটি। এজন্যই জাপার মহাজোট চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা বলেও সেটা ঘোষণা করেনি। আবার যে তালিকা প্রকাশ পেয়েছে সেটা নিয়েও রয়েছে বিভ্রান্তি। কোনটা সঠিক তালিকা সেটাও কেউ বলতে পারে না। জাপার মনোনয়ন চিঠি না পেয়ে মঙ্গলবার দিনভর পার্টি অফিসের সামনে অপেক্ষা করেন একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা। সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও মনোনয়নের চিঠি না পেয়ে কয়েকজন নেতা টাকা লেনদেনের কথা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, টাকা নেয়া হলেও তাদের মনোনয়ন দিবে না। এ কারণেই পার্টি অফিসে তারা আসছেন না।

কিশোরগঞ্জ-৬ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ভৈরব উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নুরুল কাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাপার জন্য কি করিনি। সবই দিয়েছি। মনোনয়ন পেতে কত টাকা দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি টাকার সংখ্যা না বললেও তিনি যে টাকা দিয়েছেন সেটা জানান। বলেন, যে বেশি টাকা দেয় তার কাছেই সিনিয়র নেতারা বিক্রি হয়ে যায়। আর আমরা পার্টি টিকিয়ে রেখেও মনোনয়ন পাই না।

পরে মঙ্গলবার রাতে জাপা মহাসচিব বনানী চেয়ারম্যানের পার্টি অফিসে এসে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হাতে চিঠি তুলে দেন। তিনি ২০০ এর অধিক চিঠি দেয়ার কথা গণমাধ্যমের কাছে বললেও ১১১ জনের তালিকা দেন। বাকিদের তালিকা তৈরি করা হয়নি খাতায় লেখা রয়েছে এমন বলে এড়িয়ে যান। তবে পার্টি সূত্র বলছে, ওই ১১১ জনের তালিকায় জাপার চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৩২ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের স্বাক্ষর করা হয়নি। এরাই মহাজোটের চূড়ান্ত প্রার্থী হবেন। জাপা গণমাধ্যমে ৪৭ জনের একটা তালিকা দিলেও আওয়ামী লীগ ৩২ জনের বেশি মানেননি।

মহাজোটে জাপার মনোনয়ন তালিকায় নাম থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, জাপা চেয়ারম্যান, মহাসচিব ও কো-চেয়ারম্যানকে হেলিকপ্টারে করে তার নির্বাচনী এলকায় নিয়ে গেছেন। সেখানে সমাবেশে হাজার মানুষের সামনে আমাকে মহাজোটের প্রার্থী পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পার্টির পক্ষ থেকে মহাজোটের যে তালিকা করা হয়েছে সেখানে তার নাম নেই। তিনি মনোনয়নের জন্য কোন টাকা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয় পরে কথা বলবো।

পার্টির আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়ের বিরুদ্ধেও অনেক নেতা কথা বলছেন। জাপা থেকে যশোর-৫ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক নেতা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মানবজমিনকে বলেন, তিনি আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। অথচ এখন তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। আমি এখন মনোনয়ন পেলেও জমা দিতে পারবো না। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই পার্টি অফিসে আসছেন না জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি। তাকে কেউ ফোনেও পাচ্ছেন না। তবে এরই মধ্যে তিনি সোমবার রাতে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মহাজোট থেকে খুলনা-১ এ নিজের মনোনয়ন পাওয়ার কথা জানান। এ কারণে বিক্ষুব্ধ হন অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী।

গাজীপুর-৫ আসনে জাপা থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খানের স্ত্রী কালীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি রাহেলা পারভীন শিশির। এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী গাজীপুর মহানগর জাপা সহসভাপতি গাজী ওবায়দুল কবির মজনু বলেন, আমাকে পার্টির মনোনয়ন দেয়া হয়নি। আমার কাছ থেকে এক কোটি টাকা চেয়ে অন্যের কাছে মনোনয়ন বিক্রি করছে। তাহলে উনার (এরশাদ) মতো নেতার কাছে আমি কেন আসব? দলের এ অবস্থার জন্য চেয়ারম্যানকে দোষারোপ করার পাশাপাশি নিজের আসনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন মজনু।

একই অভিযোগ করেন জয়পুরহাট-২, যশোর-৬, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। মানিকগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা জাপা সহসভাপতি এম হাবিব উল্লাহ হাবিব বলেন, জাপার মতো একটি পার্টির এমনটা করা উচিত হয়নি। যেখানে পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের নিজেই কিছু জানেন না। তাকে কোনো কিছু জানানো হচ্ছে না। জাপার যে ১১১ জনের তালিকা দেয়া হয়েছে সেখানেও আমার আসনে অন্য প্রার্থীর নাম দেয়া হয়েছে। এই তালিকার কোনো ভিত্তি নেই। এটা সম্পূর্ণ ‘আই ওয়াশ’। তবে আমার কাছে টাকা চায়নি, কিন্তু ভিতরে কি এমন ঘটে থাকতে পারে।

তবে গতকাল, জাপা মহাসচিব একটি সংবাদ ব্রিফিং করে সেখানে টাকা লেনদেনের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এটা কোনো একটি স্থান থেকে এসেছে, আমাকে ও পার্টিকে হেয় প্রতিপন্ন করতে। ৪০ বছর রাজনীতি করলাম এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসল না। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কোনো একটি লোক এটা করাচ্ছে। জাপার একাধিক নেতা এ অভিযোগ করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পয়সা খেয়ে, কোনো জায়গা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটা করতে পারেন। মহাজোটে জাপার প্রার্থীদের তালিকার জন্য প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমরা কিছুটা আশা নিয়ে আগাচ্ছি। বেশ ক’টি আসনের ব্যাপারে কথা চলছে। আমাদের আরো আসন বাড়তে পারে।

এসময় তিনি আরো জানান, জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অসুস্থতা তেমন কিছু নয়। অসুস্থতার জন্য আমাদের নিজেদেরই তো হাসপাতালে যেতে হয়। যেটা আপনারা জানতে চাচ্ছেন। তেমন কিছু ঘটেনি। তার স্বাভাবিকভাবে চিকিৎসা চলছে। অথচ মঙ্গলবার রাতে জাতীয় পার্টির তরফ থেকে বলা হয়েছিল, এরশাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে আসায় তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। 

একইদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, এরশাদ সত্যিই ‘অসুস্থ’। তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হতে পারে। তবে এরশাদকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার কথা ‘সম্পূর্ণ গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব। ওবায়দুল কাদের এরশাদের অসুস্থতা নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা তার ‘রাজনৈতিক মহানুভবতা’। বুধবার সকালে আমি সিএমইচে দেখে এসেছি। তাতে মনে করি, তাকে সিঙ্গাপুর নেয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই। তিনি বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরতে পারেন। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও গুঞ্জন। আবার ২০১৪ সালের মতো কোনো নাটকীয় ঘটনা জাপায় দেখতে হয় কিনা সেটা নিয়ে খোদ পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যেও চলছে আলোচনা।

পটুয়াখালীতে জাপা মহাসচিবের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল

পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকী) আসনের এমপি এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে ঝাড়ু ও জুতা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নৌকার সমর্থকরা। মিছিল শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে রুহুল আমিনের কুশ পুত্তলিকা দাহ করে তারা। মিছিল প্রদর্শনকালে শ’ শ’ নারী-পুরুষ তাকে কটূক্তি করে নানা স্লোগান দেয়। বুধবার পটুয়াখালী জেলা শহরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নৌকার প্রার্থীর দাবি জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শাহজাহান মিয়ার পক্ষে স্লোগান দেয়। 

মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হেলিকপ্টারযোগে পটুয়াখালীতে এসে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এমন খবর সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ওইদিনই পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শাহজাহান মিয়ার বাসার সামনে সমবেত হয়ে জাপার এই নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নৌকার সমর্থকরা। একই সঙ্গে স্থানীয় জনসাধারণ পটুয়াখালী-১ আসনের জন্য নৌকা মার্কার প্রার্থীর দাবি জানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবং শাহজাহান মিয়ার পক্ষে তারা স্লোগান দেয়। 

গতকাল সকাল থেকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সহস্রাধিক নারী-পুরুষের জমায়েত ঘটে। এ সময় জাপা নেতা রুহুল আমিন হাওলাদারকে উদ্দেশ করে নানা স্লোগান দেয় তারা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকশ’ নারী-পুরুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ঝাড়ু-জুতা প্রর্দশন করে শহরে একটি মিছিল বের করে। এ সময় লঞ্চ টার্মিটাল চত্বরে জাপা মহাসচিব হাওলাদারের কুশ পুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভকারীরা। মিছিল প্রর্দশনকালে বিক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান দেন, বাকেরগঞ্জের রুহুল আমিন বাকেরগঞ্জে ফিরে যা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অশোভন স্লোগান দেয় নৌকার সমর্থকরা। এ সময় পটুয়াখালী-১ আসনে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শাহজাহান মিয়াকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানায়। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ নভেম্বর ২৮,২০১৮

সাবেক উপসচিব নেয়ামত উল্লাহ আটক

সাবেক উপসচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়াকে আটক করেছে র‌্যাব। ৮৪ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের এ কর্মকর্তাকে গত মঙ্গলবার রাত দুইটায় ধানমন্ডি ৯/এ রোডের নিজ ফ্ল্যাট থেকে আটক করে নিয়ে গেছে র‌্যাব-২ এর একটি দল। গতকাল বিকালে র‌্যাব তার ফ্ল্যাট থেকে ব্যবহার করা কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন জব্দ করেছে। র‌্যাব বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী লেখালেখি ও গুজব-উসকানি ছড়ানোর জন্য তাকে আটক করা হয়েছে। 

সাবেক এই উপসচিবকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ারুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, ঘটনাটি সাইবার ক্রাইমের আওতাধীন। আমরা তার সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। গতকাল তার ব্যবহৃত কম্পিউটার, মোবাইল ফোনসহ আরো কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যদি এসবের সত্যতা পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর যদি সত্যতা না পাওয়া যায় তবে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান মানবজমিনকে বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে আনা হয়েছে। 

প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ড. নেয়ামত উল্লাহ ৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে বেশ কয়েকটি জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের দুই আমলেই তাকে দফায় দফায় পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে। তার ব্যাচমেটরা সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেলেও তিনি উপসচিব পদে থেকেই চাকরি থেকে অবসরে গেছেন। তিনি রাজউকের সচিব, ট্যারিফ কমিশনের পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ নভেম্বর ২৮,২০১৮ 

No move to stem child casualties

EDITORIAL

Let's start by incorporating road safety issues in school textbooks

What many of us do not know is that after drowning, road accident is the second biggest killer of children in our country. Strange that no one in authority is keeping track of the fact that 549 children died in 2018 from road accidents. While the issue of road safety sparked a major movement in the country this year, the issue of children being killed in road accidents has not gotten the attention it deserves from the authorities. Bangladesh Shishu Adhikar Forum (BSAF), a child rights group, has been documenting this little-reported event over the last so many years. From BSAF data (compiled from media reports), we find that over a six-year period, the number of children reported to have died on the road has risen by nearly 5.5 times (99 in 2012 to 549 in 2018).

The issue of road safety has wilfully been ignored in our education system. Children are not taught the basics of road safety, which, if taught at elementary level, would go a long way in making children more conscious about their surroundings. Our roads now have all sorts of vehicles, and with most motorised vehicle drivers lacking knowledge about basic traffic rules, it is hardly a wonder that more and more children are dying on our roads.

Experts tell us that in some countries, these issues are incorporated in textbooks at school. Were we to do the same, it would not only be more cost-effective, but children from a very early age would grow up with the knowledge of what is safe and what is not when travelling on roads (the need to use safe crossings where there are policemen present, using underpasses and foot over-bridges, and so on). Children could even teach their parents about road safety issues because media is awash with pictures of parents crossing very busy roads with little or no regard for safety for themselves or their children. 

  • Courtesy: The Daily Star/ Nov 29, 2018

Who is BB fooling?

Central bank fails in a big way as regulator yet shows no sign of embarrassment in patting itself


Two things come easy in Bangladesh -- getting big bank loans and blissfully failing to repay. The money in the vaults seems to be the easiest prey today. In the last ten years, scam after scam in the banks has rocked our financial sector, each and every scam unique and more spectacular than the previous ones. The banks looked like sandcastles suddenly being washed away by a bevy of businessmen.

There were outcries and warnings from think-tanks to individuals about the state of affairs happening in the banks. Media were awash with the stories hardly to any effect.

When such was the state of the banking sector, a recent Bangladesh Bank report highlighting the central bank's success in the last ten years that completely ignored the lack of governance in the financial world came as a shock for two reasons – either the regulator does not recognise the weakness and malaise plaguing the banks or that it has taken it for granted that such things are commonplace and so deserve no special mention. In other words, the Bangladesh Bank has dusts off its hands.

But from the regulator, a more honest assessment of the situation is expected if the flaws are to be corrected and malaise treated. Sadly, the report seems to be more written with political exigency rather than with real urgency and professionalism.

How the central bank conducts its core business today will explain why the report looks so frail.

Hallmark is truly a hallmark in the banking scam of the last ten years.

The group had taken out Tk 2,686 crore with fake documents from Sonali Bank in collusion with officials. Another about a thousand crore taka was embezzled in similar fashion by five other companies.

The story of BASIC Bank, one of the best in Bangladesh, is known to all. From a very success story, that too in public sector, the bank took a nose dive as over Tk 4,000 crore were robbed from it  through all kinds of irregularities. That the bank was being defrauded was known to all, it was in the air, and in several media reports including in The Daily Star only the Bangladesh Bank remained silent until the whole robbing process was complete.

Bismillah Group had done in five banks by embezzling Tk 1,100 crore and nothing has happened after that.

And then there is the scam of Crescent and AnonTex involving more than Tk 8,000 crore; and the list goes on. There is the case of how cash incentives were taken out with fake documents with the central bank officials' collusion.

And then there was the scam at Farmers' bank, a new entrant. Its chairman Mohiuddin Khan Alamgir stepped down as a result of the Tk 500 crore scam. But matters ended there as if a mere resignation settles the issue.

The central bank is also in a quandary about what to do with the large loans restructured as a special case. Many of these loans have defaulted and rescheduled again and again.

Actually, the lack of governance has led to spiking of non-performing loans (NPL) to 10.41 percent in June, a very high and unsustainable level, from 9.21 in 2009 when the government came to power. This is despite massive write-off of loans.

And all these have taken toll on the borrowers and general shareholders. Banks' cost of fund had gone up leading to a high interest rate regime. 

In the stock market, at least five of the banks are trading below their face values and five others just at face value.  Earning per share of the banks has dropped dramatically, some by 10 times.

The hollowed-out state-owned banks needed capital to survive and we the taxpayers were compelled to fork out crores.

Tk 10,272 cr for cheats

From fiscal 2005-06 to 2016-17, they received Tk 10,272 crore in capital support. In other words, we gave the money to the cheats and swindlers. 

And yet capital shortfall at the banks stood around Tk 22,000 crore in March this year.

The central bank also showed its lack of independence when applying its monetary tools. At the insistence of the bank owners who faced liquidity crunch, the central bank reduced requirement of the banks to keep cash with the central bank by one percentage point. This was no independent conscious decision of the Bangladesh Bank as it should have been.

Defying the market force, the bank owners in return promised that they would reduce lending rate to single digits, something that did not happen yet.

While things were in such a mess, there were talks of bank merger. Even the finance minister had said some smaller banks should get merged with the big ones. That did not happen though, after all bank mergers are done to make banks stronger and not weaker. A strong bank with some lacking in one area merges with another strong bank to make up the deficiency. Why should a strong bank snap up a sick bank? It makes no economic sense.

And just as an oxymoron, the Bangladesh Bank is mulling giving licences to four more banks just on political diktat. With 57 commercial banks in place, Bangladesh has the second highest number of banks second only to Ukraine within the GDP bracket of $114 billion and $198 billion.

There are many more holes showing glaringly in the Bangladesh Bank that need to be plugged standing on a sound assessment of its strengths and weaknesses. A mere back-patting report that serves no other purpose than the political one will not help the case. The Bangladesh Bank is the regulator but as it seems it is turning a blind eye to all irregularities. Being the custodian of banks, it holds all responsibilities if anything bad happens to the banking sector. Its ostrich policy will not exonerate it from the blame. 

  • Courtesy: The Daily Star/ Nov 29, 2018

Govt’s indifference to custodial torture shocking

EDITORIAL

THE police distressingly keep subjecting citizens to violence in the name of keeping law and order. In a recent case, a union council member in Jashore lost one of the legs after being tortured in police custody. The arrest and torture, as victims of police brutality say, are closely linked to arrests taking place after the government began the drive against drug substances. A local young man, reportedly backed by men with the Detective Branch, sold drugs and gave the police the names of buyers only to be held later by the law enforcers to ransom to secure their release. 

On November 8, the informer along with plainclothes men went to their village carrying drugs and sharp weapons when local people manhandled them. The same night, about 45 villagers were arrested and tortured. The union council member, Faruk Hossain, was taken to an unknown location where he was shot in the leg from close range. The police brushed aside allegations of torture and filed a case against the victim on charge obstructing justice. The case has an eerie similarity with the way Rapid Action Battalion shot at college student Limon Hossain in Jhenaidah in 2011. The fate of Faruk and Limon makes it evident that the law enforcement agencies meant to protect the lives have become a major cause of public sufferings.

A review of the cases of Faruk, Limon and others tortured in custody shows how the law enforcement agencies abuse their power and engage in illegal activities. Firstly, many rights organisations have alleged that the police have been running an arrest business since the middle of May when the drive against drug substances began. The events preceding the torture of union council member hint at it. 

Secondly, the long-standing practice that the police personnel in plain clothes raid places and arrest people has made citizens vulnerable to arbitrary arrest. It has been widely reported how the law enforcement agencies have ignored the guideline that ensures that police power to arrest without warrants is consistent with constitutional safeguards on arrest and prohibition on torture. Thirdly, allegations of torture in custody are generally not judiciously investigated and the law enforcers involved in torture are rarely brought to justice under the Torture and Custodial Death (Prevention) Act 2013. Successive governments have blatantly used the police to persecute their political opponents and tolerated the criminal misconduct of the police to the extent that even a ruling party-affiliated union council member has not been spared from their brutality. Therefore, rights organisations are not wrong in their claim when they say that the law enforcement agencies are becoming the mercenary of influential quarters.

According to Ain O Salish Kendra, 53 people lost their lives in custody in 2017. Twenty of them were convicts and 33 were detained. Under the circumstances, the government must realise that by tolerating custodial torture and death of ‘suspects’ without trial, it is allowing miscarriage of justice as evidenced in the brutal treatment of Hossain in Jashore.

  • Courtesy: New Age/ Nov 29, 2018

কিছুই তো বদল হলো না - সড়কে আর কত মৃত্যু

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি যেন এক অপ্রতিকার্য সমস্যা হিসেবে স্থায়িত্ব লাভ করেছে। এত বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, দাবিদাওয়া, সুপারিশ, পরামর্শ, আইন সংশোধন সত্ত্বেও সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হলো না। সরকারের যেসব সংস্থার এ বিষয়ে অনেক কাজ করার আছে, তারা যেন তাদের দায়িত্ব ভুলে গেছে। কিংবা তারা ধরেই নিয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ করার ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই।

গত রোববার ভোরে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় যে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ২ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন, সেই বাসের চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন বলেই যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা ওই চালকের সহকারীর বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়। এর পরের ২৪ ঘণ্টায় দুই ছাত্রসহ সাত জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে নয়জনের। বিভিন্ন সংস্থার সমীক্ষায় বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য যেসব কারণ দায়ী, সেগুলোর মধ্যে এক নম্বরে আছে চালকদের বেপরোয়া ও দায়িত্বহীন যান চালানো। কুষ্টিয়ার এই ঘটনায় চালক চোখে ঘুম নিয়ে বাসটি চালাচ্ছিলেন—এটাকে তাঁর বেপরোয়া আচরণ বলা না গেলেও দায়িত্বহীন আচরণ অবশ্যই বলতে হবে। কারণ, তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় বাস চালানো আইনত নিষিদ্ধ। এই আইন যদি তাঁর জানা না-ও থেকে থাকে, সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানেই তাঁর বোঝার কথা যে কাজটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ: অনেক মানুষের প্রাণ হাতে নিয়ে তিনি গাড়ি চালাচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, এভাবে তাঁকে নিজের জীবনটিও হারাতে হতে পারে।

বেপরোয়া যানবাহন চালানো বন্ধ করতে চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি সংগত কারণেই অত্যন্ত প্রবল। তবে যেসব চালক ইচ্ছা করে বেপরোয়াভাবে যান চালান না, তাঁদের দ্বারাও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যদি তাঁদের শারীরিক অবস্থা যানবাহন চালানোর উপযোগী না থাকে। বিশেষভাবে যেসব চালক রাতের বেলা যানবাহন চালান, তাঁরা যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার অবকাশ না পান, তাহলে তাঁদের দ্বারা দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু যানবাহনের মালিকেরা এবং চালকেরা নিজেরাও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন না। অনেক চালক বেশি আয় করার জন্য তাঁর স্বাভাবিক শারীরিক সামর্থ্যের কথা না ভেবে, পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিয়ে রাতের পর রাত যানবাহন চালান। এ বিষয়ে আইনি নির্দেশনা হলো, কোনো চালক দিনে টানা আট ঘণ্টার বেশি যান চালাতে পারবেন না। কিন্তু এটা মেনে চলা হয় না, দূরপাল্লার অনেক যানবাহনের চালক টানা ১৬, এমনকি ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত যান চালান। বিশেষত দুই ঈদের সময় এই প্রবণতা বেড়ে যায়।

কিন্তু শুধু চোখে ঘুম নিয়ে যান চালানোর জন্যই নয়, আরও অনেক কারণে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। গত রোববার ১৩ ঘণ্টায় দেশের ৭টি জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ১৬ জন মানুষ। প্রথম আলোর হিসাবে গত ৬৪১ দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ হাজার ৬৪৫ জন। এই সব অপমৃত্যু অনিবার্য ছিল না, সড়ক দুর্ঘটনা কোনো প্রাকৃতিক দুর্ঘটনাও নয় যে এ বিষয়ে মানুষের কিছু করার নেই। বিশেষজ্ঞরা সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো চিহ্নিত করেছেন, কী কী উপায়ে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব, সে বিষয়েও তাঁদের অনেক সুপারিশ আছে। কিন্তু বিআরটিএ, ট্রাফিক পুলিশসহ সরকারি যেসব সংস্থার ওই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করার কথা, তারা এ বিষয়ে ফলপ্রসূ কিছু করে না। চালকদের ভুয়া লাইসেন্স দেওয়া কমেনি, চলাচলের অনুপযোগী যানবাহনগুলো সড়ক-মহাসড়ক থেকে তুলে নেওয়ার কোনো পদক্ষেপ নেই। চালকের দোষে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি ঘটলে সেই চালকের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত করা হয় রাজনৈতিক প্রভাবে।

কিন্তু এভাবে অনন্তকাল চলতে দেওয়া যায় না। এই নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই? 
  •  কার্টসিঃ প্রথম আল/নভেম্বর ২৮,২০১৮

Wednesday, November 28, 2018

কাজীর গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই

সম্পাদকীয়

সবার জন্য সমান সুযোগ

গত রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতি যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তার গুরুত্ব কেউ অস্বীকার করবে না। তিনি তাঁদের এ কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের যেহেতু তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেহেতু তাঁদের নির্বাচনী আইনকানুন ও আচরণবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, দণ্ডবিধি পড়া দরকার। কেননা, কোনো প্রার্থী বা তাঁর অনুসারীরা আইন ভঙ্গ করলে ত্বরিত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এর পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার কাজে নিযুক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা দেওয়াও তাঁদের দায়িত্ব। বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেভাবে বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

সিইসি আগের দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দাবি করেছেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারাও তাঁদের অধীনে থেকে কাজ করছেন। সেটাই যদি হবে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা কীভাবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সুলুকসন্ধান করেন। তফসিল ঘোষণার পর স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তাঁরা সেটি করতে পারেন না। সিইসি নিজেও তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সম্পর্কে তত্ত্বতালাশ না করার কথা বলেছেন।

এখানে জরুরি প্রশ্নটি হলো, যে পুলিশ কর্মকর্তারা নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বিষয়ে অযাচিত খোঁজখবর করছেন, তাঁদের সম্পর্কে কে খোঁজখবর নেবেন? সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাঁরা যে চরম পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন, তার কিছু বর্ণনা নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যে উঠে এসেছে।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে বলে সিইসি যে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, সেটি সত্যিই তাঁর চাওয়া থাকলেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন নেই। তাঁর কথা সেই পুরোনো বাংলা প্রবাদ ‘কাজীর গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই’–এর কথাই মনে করিয়ে দেয়। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়ও নির্বাচন কমিশনাররা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে বলে মন্তব্য করেছিলেন, বাস্তবে যার কোনো প্রমাণ মেলেনি।

এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের গোপন বৈঠক সম্পর্কে যে অভিযোগ এসেছিল, নির্বাচন কমিশনের সচিব সেটি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, এ রকম কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। এই ধরনের অভিযোগ আনার জন্য তিনি বিএনপিকে সতর্কও করে দিয়েছেন। আমরাও মনে করি, তথ্য–প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা উচিত নয়। তবে সেই সঙ্গে কমিশনকে এ কথা মনে রাখতে হবে যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে না-হক অভিযোগ যেমন কাম্য নয়, তেমনি সমস্যাগুলো উপেক্ষা করারও সুযোগ আছে বলে মনে করি না। নির্বাচন কমিশন সচিব যে ত্বরিত গতিতে বিএনপির অভিযোগের জবাব দিলেন, অন্যান্য অভিযোগ সম্পর্কে সেটা প্রত্যাশিত। তফসিল ঘোষণার পরও মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের যেভাবে গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে, সেসব বিষয়ে তিনি নিশ্চুপ কেন?

প্রধান নির্বাচন কমিশনার যেদিন ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতি সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার কথা বলেছেন, সেদিনই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন কাজের কঠোর সমালোচনা করেছেন। ক্ষমতাসীন দল বিভিন্ন স্থানে খবরদারি করলেও কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি সিইসির নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া শুরু করেছে। ২৮ নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু হবে। তখনই সিইসি যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সবার জন্য সমান সুযোগের কথা বলেছেন, তার আসল পরীক্ষা শুরু হবে।

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ নভেম্বর ২৮,২০১৭

পণ্য পরিবহন - অন্যতম ব্যয়বহুল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

শামীম রাহমান

দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রধান করিডোর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির তথ্য বলছে, স্বাভাবিক সময়ে মহাসড়কটি দিয়ে প্রতি টন পণ্য পরিবহনে ভাড়া বাবদ ব্যবসায়ীদের গুনতে হয় কিলোমিটারপ্রতি সাড়ে ৫ টাকার বেশি (৬ দশমিক ৭ সেন্ট)। হরতাল, অবরোধের মতো সংকটকালীন সময়ে তা ১৫ টাকা (১৮ সেন্ট) পর্যন্ত উঠে যায়।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ে পণ্য পরিবহনে যে ব্যয়, তাও বিশ্বের সর্বোচ্চ। বিভিন্ন দেশের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভারতে সড়কপথে প্রতি টন পণ্য পরিবহনে কিলোমিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ব্যয় ২ দশমিক ৭ সেন্ট। এছাড়া পাকিস্তানে এ ব্যয় সর্বোচ্চ ২ দশমিক ১ সেন্ট, ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্রে ৪ দশমিক ৮, ব্রাজিলে সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৮ ও অস্ট্রেলিয়ায় ৩ দশমিক ৬ সেন্ট। কিলোমিটারপ্রতি প্রতি টন পণ্য পরিবহনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চেয়ে বেশি খরচ পড়ে কেবল আফ্রিকার কিছু দেশে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে অত্যধিক ব্যয়ের কারণ হিসেবে মহাসড়কটি দিয়ে পণ্য পরিবহনে বাড়তি সময় লাগার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। এর বাইরে বন্দরে পণ্য খালাস করতে অতিরিক্ত সময় ব্যয়কেও আরো একটি কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা যানজটকে প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, যানজটে যেমন ট্রিপের সংখ্যা কমছে, তেমনি বাড়ছে পরিচালন ব্যয়, যা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া হিসেবে আদায় করে নিচ্ছেন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের মালিকরা।

বাংলাদেশের সড়কে সর্বোচ্চ ২৪ টন ধারণক্ষমতার ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান চলতে পারে। যানবাহনের ধরন (ধারণক্ষমতা) অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করেন পরিবহন মালিকরা। তবে ভাড়ার নির্দিষ্ট কোনো তালিকা নেই। দরকষাকষিই ভাড়া নির্ধারণের একমাত্র মাধ্যম।

বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক মকবুল আহমদ বণিক বার্তাকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে আমদানি-রফতানি পণ্যই বেশি পরিবহন করা হয়। স্বাভাবিক সময়ে ১০ টন ধারণক্ষমতার একটি ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান ভাড়া দেয়া হয় গড়ে ১৫ হাজার টাকায়। এ হারকে ভিত্তি ধরে বিভিন্ন ধারণক্ষমতার পরিবহনে ভাড়া আদায় করা হয়। তবে যেহেতু এখানে দরকষাকষির একটা ব্যাপার থাকে, তাই ভাড়ার পরিমাণ সামান্য এদিক-ওদিক হতে পারে।

ঢাকা থেকে সড়কপথে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬৬ কিলোমিটার। এ পথে ১০ টনের একটি ট্রাকের ভাড়া ১৫ হাজার টাকা। এ হিসাবে এক টন পণ্য পরিবহনে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া গুনতে হয় ৫ টাকা ৬৩ পয়সা বা ৬ দশমিক ৭ সেন্ট।

টনপ্রতি পণ্য পরিবহনে কিলোমিটারপ্রতি এ ব্যয় ভারতের যেকোনো করিডোরের চেয়ে বেশি। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি-মুম্বাই করিডোরে প্রতি টন পণ্য পরিবহনে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় হয় ১ দশমিক ৬ সেন্ট। দিল্লি-চেন্নাই করিডোরে এ ব্যয় ২ সেন্ট, দিল্লি-কলকাতায় ২ দশমিক ১, মুম্বাই-চেন্নাইয়ে ২ দশমিক ১, মুম্বাই-কলকাতায় ২ সেন্ট ও চেন্নাই-কলকাতা করিডোরে প্রতি টন পণ্য পরিবহনে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয় ২ সেন্ট।

অন্যান্য দেশের মধ্যে পাকিস্তানে সড়কপথে প্রতি টন পণ্য পরিবহনে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় হয় সর্বনিম্ন ১ দশমিক ৫ ও সর্বোচ্চ ২ দশমিক ১ সেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রে এ ব্যয় ২ দশমিক ৫ থেকে ৪ দশমিক ৮ সেন্ট, চীনে ৪ থেকে ৬ ও অস্ট্রেলিয়ায় ৩ দশমিক ৬ সেন্ট।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় সড়কপথে নিয়মিত পণ্য পরিবহন করে এফএমসিজি কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটির জিএম (সাপ্লাই চেইন) হাবিবুর রহমান বলেন, আমার কাছে মনে হয়, ঢাকা-চট্টগ্রামে পণ্য পরিবহন বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল। এখানে আমাদের দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটারের কম। তার পরও এত বেশি খরচের কারণে আমরা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। অনেক সময় আবার যানবাহন সংকট দেখা যায়। তখন পরিবহন ব্যয় দু-তিন গুণ বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক পার্টনারদের সঙ্গে কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে ব্যবসায়ীরা পরিবহন বাবদ বাড়তি খরচে অনেকটা বাধ্য হন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরে পণ্য পরিবহনে প্রতি টনে ব্যবসায়ীদের কিলোমিটারপ্রতি সাড়ে ৫ টাকার বেশি গুনতে হলেও সংকট দেখা দিলে ১৫ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয় ব্যবসায়ীদের। এর চেয়ে বেশি ব্যয় হয় আফ্রিকার কিছু দেশে। এছাড়া মিয়ানমারের পাহাড়ি এলাকায় প্রতি টন পণ্য পরিবহনে খরচ হয় ১০ সেন্টের মতো। তবে দেশটির আন্তর্জাতিক করিডোরে এ ব্যয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চেয়ে কম, ৫ দশমিক ৮ সেন্ট।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে সবচেয়ে বেশি পরিবহন হয় পোশাকপণ্য। পরিবহন ব্যয় বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানান তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএম মান্নান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, পণ্য পরিবহন বাবদ আমাদের অনেক বেশি ভাড়া গুনতে হয়। এর অন্যতম কারণ পরিবহনে বেশি সময়ক্ষেপণ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পণ্য পরিবহনে যেখানে ৫-৬ ঘণ্টা লাগার কথা, কোনো কোনো সময় তা ১২-১৪ ঘণ্টা লেগে যায়। এর ওপর আছে বন্দরের জট। এ কারণেও পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়ে যায়। দেখা যায়, পণ্য পরিবহন বিলম্বের কারণে বেসরকারি আইসিডিতে অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে পণ্য রেখে দিতে হয়। এ সময় যোগ হয় নানাবিধ চার্জ। বন্দরে পণ্য পৌঁছাতে যদি আট লেনের সড়ক থাকত, তাহলে পোশাক রফতানিতে আরো গতি আসত। সড়কের পাশাপাশি নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা থাকলেও বাণিজ্যের সময় অনেক কমে আসত। সার্বিকভাবে আমি মনে করি, পণ্য পরিবহনে আধুনিক সড়ক, নৌ ও রেলপথ এখন সময়ের দাবি।

শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নয়, সমগ্র বাংলাদেশেই সড়কপথে পণ্য পরিবহন ব্যয় বেশি বলে তথ্য দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে সড়কপথে প্রতি টন পণ্য পরিবহনে কিলোমিটারপ্রতি ব্যবসায়ীদের ভাড়া পরিশোধ করতে হয় ৫ দশমিক ৫ সেন্ট। আর্জেন্টিনায় এ ব্যয় ১ দশমিক ৮ থেকে ৩ দশমিক ৮ সেন্ট, ব্রাজিলে ২ দশমিক ৫ থেকে ৪ দশমিক ৮ এবং ফ্রান্স ও ভিয়েতনামে ৫ সেন্ট খরচ পড়ে।

যানজটকে পণ্য পরিবহন ব্যয় বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. সামছুল হক। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ৫-৬ ঘণ্টার পথ যেতে যদি ১২-১৩ ঘণ্টা লেগে যায়, তাহলে পরিবহন মালিকরা বেশি ভাড়া আদায় করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তখন তাদের পরিবহনের পরিচালন ব্যয় বেড়ে যাবে। সেটা তো তারা পণ্যের মালিকের কাছ থেকেই তুলে নেবেন। বাংলাদেশে গণপরিবহন বলি বা পণ্য পরিবহন বলি, সবই চালাচ্ছেন ছোট ছোট মালিক। তারা একটা-দুটো ট্রাক কিনে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েই ছেড়ে দেন। এগুলোর চালকদের কোনো ট্র্যাকিং ব্যবস্থা নেই। জবাবদিহিতারও অভাব রয়েছে। আবার পেশাদারি মনোভাব নিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। ফলে খাতটিতে অদক্ষতা ও বিশৃঙ্খলা বেড়ে যাচ্ছে।

দেশে পণ্য পরিবহনের ৮০ শতাংশ হয় সড়কপথে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমদানি-রফতানি পণ্যের সিংহভাগই পরিবহন হয় এ মহাসড়ক দিয়ে। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ও পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনা গেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্য পরিবহন ব্যয় কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা-চট্টগ্রামে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষাও হয়েছে। আমরা হিসাব করেছি, এটি নির্মাণে ৭০ হাজার কোটি টাকা লাগতে পারে। পরিকল্পনা করা হচ্ছে পিপিপির ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের।

  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ নভেম্বর ২৮,২০১৮ 

দুই মাসে দুই লাখ কোটি টাকার প্রকল্প পাস

দীন ইসলাম 

বাস্তবে অর্থ বরাদ্দ নেই। তবুও গত দুই মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে দুই লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ‘কাগুজে অনুমোদন’ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩০শে অক্টোবর ২৪টি, ৪ঠা নভেম্বর ৩৯টি এবং ৬ই নভেম্বর ৪১টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। সব মিলিয়ে শেষ তিন একনেক বৈঠকে রেকর্ড পরিমাণ ১০৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে এমন গণহারে প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা কথাবার্তা চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে কোনো প্রকল্প নেয়া হলে সেই প্রকল্পের সমীক্ষা করা আবশ্যক। কিন্তু গত দুই মাসে একনেকে অনুমোদন হওয়া প্রকল্পের অর্ধেকেরই সমীক্ষা করা হয়নি। অনেক প্রকল্পই অনুমোদনের ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হয়েছে।

এ ছাড়া কঠিন শর্তের ঋণ নিয়েও বড় বড় প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এতে দেশ ঋণগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ অর্থবছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)  বৈঠকে ৮-১০টি প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আসছিল। তবে নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্প অনুমোদনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

এর মধ্যে গত ২৯শে জুলাই অনুষ্ঠিত বৈঠকে নয়টি প্রকল্প অনুমোদন হয়। ব্যয় ধরা হয় সাত হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ছয় হাজার ৭৫১ কোটি ৬৬ লাখ, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ২৫৮ কোটি ৫৭ লাখ এবং  বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৫২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা খরচ করা হবে। ৭ই আগস্টের  বৈঠকে উপস্থাপন করা হয় ১১টি প্রকল্প, যার সবগুলো পাসও হয়। ব্যয় ধরা হয় ছয় হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ছয় হাজার ৪১৬ কোটি ১৬ লাখ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে মাত্র সাত কোটি ৯৮ লাখ টাকা খরচ করা হবে। ১১ই আগস্ট প্রকল্প পাস হয় ১৮টি। ব্যয় ধরা হয় ১৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা। গত ২রা সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১৩ হাজার ২১৮ কোটি টাকার ১৫ প্রকল্প অনুমোদন পায়। বৈঠকে ২০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ৩২ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১৫ হাজার ৪৯৪ কোটি ৩৭ লাখ, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১১ হাজার ৬৫৬ কোটি ২৭ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাঁচ হাজার ৩৭৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। 

১১ই সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে ১৮ প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক। এগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৮৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১৩ হাজার ৮১৩ কোটি ৪৪ লাখ, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৪২ কোটি ৬২ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে তিন হাজার ৯৩০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। ৪ঠা নভেম্বর একনেক সভায় ৩৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৬ হাজার ৬৮৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন করা হবে ৬৬ হাজার ৪৬৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে আসবে ৩১৩ কোটি ২১ লাখ টাকা ও ১৯ হাজার ৯০৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে পাওয়া যাবে। সর্বশেষ ৬ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে সংশোধিত ও নতুন মিলিয়ে ৪১টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে নতুন ২৮ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩০ হাজার ২৩৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ২৪ হাজার ৮৫৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো নিজেদের তহবিল থেকে ব্যয় করবে ৫৩৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। 

অবশিষ্ট ৪ হাজার ৮৪০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বিদেশি উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে। গণহারে এসব প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্প দ্রুত ছেড়ে দেয়ার চাপ রয়েছে। এ জন্য যাচাই বাছাইয়ে যথেষ্ট সময় না পেলেও বাধ্য হয়েই প্রকল্পের কাজ সারতে হয়। অনেক সময় বিভিন্ন বিষয়ে কোয়ারি (তথ্যানুসন্ধান) করা যায়নি। ফলে প্রকল্পের অনুমোদন হলেও বাড়তি ব্যয় বরাদ্দের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এদিকে প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য অর্থ ছাড় করা নিয়ে এখন দৌড়াদৌড়ি চলছে। এ জন্য এখন মেয়র ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা পরিকল্পনা কমিশনে ভিড় করছেন। তবে অর্থ না থাকায় বেশিরভাগ প্রকল্পের বিপরীতে প্রশাসনিক অনুমোদন মিলছে না। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ নভেম্বর ২৮,২০১৭ 

অ্যাটর্নি জেনারেলের মন্তব্যে অনেকেই স্তম্ভিত

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মন্তব্যে অনেকেই স্তম্ভিত। কারণ তিনি সাফ বলে দিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য। অথচ খালেদা জিয়া এখন পর্যন্ত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় পাননি। রায় না পেলে তিনি আপিল করতে পারছেন না। জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় তিনি ৭ বছরের দণ্ড পেয়েছেন। সেই দণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেছেন এবং তাতে তিনি স্থগিতাদেশ প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু সেই বিষয়ে আদালত এখনো সিদ্ধান্ত দেননি। 

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টুয়েন্টিফোরডটকম বলেছে, ‘বেগম খালেদা জিয়া এখন খালাস পেলেও নির্বাচনে অংশ নিতে হলে, পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলেও অ্যাটর্নি জেনারেল জানান।তিনি বলেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ আছে, কিন্তু সংবিধানের ধারা কোনো আদালতেরই অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই।’

এ পর্যায়ে  মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহিউদ্দিন খান আলমগীর, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিচারিক আদালতে সাজা হলেও, আপিল চলমান অবস্থায় তারা নির্বাচন করেছেন, সেটা বেআইনি কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। প্রবীণ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার এর আগে সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশে প্রাকটিস হলো আপিল করেই নির্বাচন করা যাবে। কারণ আপিলকে ধরা হয় চলমান বিচারের অংশ।   

অভিজ্ঞ আইনজীবীরা বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এমন কিছু বলছেন, যা আদালতে এর আগে কাউকে বলতে শোনা যায়নি। প্রবীণরা বলেছেন, তারা নতুন কিছু শুনছেন। কারণ আপিল বিভাগের রায় আছে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর কে যোগ্য বা অযোগ্য সেটা ঠিক করবে ইসি। আর সেখানে যদি কোনো সংবিধান লংঘনের ঘটনা ঘটে তখন তা কেবল উচ্চ আদালতে আসতে পারে। এখন তিনি যা বলেছেন, তা ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেয়ার শামিল। এমনকি তার বক্তব্য আপিল বিভাগের রায় দ্বারা সমর্থিত নয়। আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী যেকোনো রিটার্নিং অফিসার বেগম খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নপত্রই বৈধ বলে ঘোষণা দিতে পারেন। তারা দেবেন কিনা সেটা ভিন্ন প্রশ্ন। কিন্তু আইন তাকে বাধা দিবে না। কেউ তা মনে করলে তার বৈধতা ইসিতে আপিলে চ্যালেঞ্জড হবে।

ইসির নেয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা রিটে পরীক্ষা না করতেও আপিল বিভাগের নির্দেশনা আছে। বৈধতা পরখ করতে চাইলে ভোটের পরে করতে হবে, ভোটের আগে নয়। তফসিলের পরে এগুলো নির্বাচনী বিরোধ হিসেবে বিবেচিত হবে। বিষয়টি দেখবেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। হাইকোর্টের বিচারকদের নিয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল অনধিক ৬ মাসের মধ্যে রায় ঘোষণা করবেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অতীত নজির হলো একই দণ্ডিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে সকালে একরকম আবার বিকেলে বিপরীত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এভাবে তিনি জিতেছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। টানা ৫ বছর দিব্যি কেটে গেছে, আর সেটাই বর্তমান অ্যাটর্নি  জেনারেল নিজেই অবলোকন করেছেন।

এবার হাইকোর্টে আপিল করা বিএনপির পাঁচ নেতা হলেন আমানউল্লাহ আমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মো. মশিউর রহমান ও মো. আবদুল ওহাব। এই পাঁচ নেতার নির্বাচনে অংশ নেয়াও এখন অনেকটাই অনিশ্চিত। 

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যারা আবেদন করেছিলেন তারা সবাই দণ্ডপ্রাপ্ত। তারা তাদের দণ্ড থেকে মুক্তি লাভ করেনি। তাদের ৫ বছর সময় অতিবাহিত হয়নি। এমতাবস্থায় যদি তাদের দণ্ড স্থগিত করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয় তা হবে আমাদের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। কাজেই আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো সুযোগ থাকলো না বলে আমি মনে করি।’

খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, এটি সাংবিধানিক বিধিবিধান। যে কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিংবা সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে থাকতে পারবেন না যদি কিনা ওই ব্যক্তি ২ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন এবং মুক্তিলাভের পর ৫ বছর সময় অতিবাহিত না হয়। এখানে শর্ত ২টি। তাহলো- তিনি যদি দণ্ডিত হন তাহলে পারবেন না। আর মুক্তিলাভের পর ৫ বছরের আগে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কাজেই খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে দুইটি প্রতিবন্ধকতাই রয়েছে। কোনো আদালত তার রায় দিয়ে এই সাংবিধানিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করতে পারেন না।’   

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইনবিদরা বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল যা বলেছেন, সেটা  যেকোনো মীমাংসিত আইন নয়, তার জ্বলন্ত প্রমাণ তিনি নিজেই। কারণ সরকারদলীয় দণ্ডতিদের সংসদ সদস্যপদ টেকাতে তিনি যা খালেদা জিয়ার বিষয়ে বলেছেন, ঠিক তার উল্টা অবস্থান নিয়েছেন। এখন তিনি আকস্মিক তার অবস্থান পরিবর্তন করছেন। কিন্তু বড় কথা হলো, সাবজুডিশ বিষয়ে নির্দিষ্ট এবং স্পষ্ট বক্তব্য রেখে তিনি সংবিধান ও আদালতের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন বলেই প্রতীয়মান হয়। 

বিচারিক আদালতে দণ্ডিত হওয়ার পর আপিল করে সংসদ সদস্যপদ বহাল থাকার নজির আছে। দুর্নীতির মামলায় ২০০৮ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি আদালত ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন। আর সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় ২০১৬ সালের ৩রা নভেম্বর সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির তিন বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মওদুদ আহমদ প্রথম আলো অনলাইনকে গতকাল বলেছেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কারণ, নিম্ন আদালতের দণ্ডই চূড়ান্ত দণ্ড নয়। নিম্ন আদালতের দেয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করবেন। আবার হাইকোর্টের দেয়া দণ্ড বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করবেন খালেদা। মওদুদ আহমদ মনে করেন, খালেদার আপিল চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি না হওয়ায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। বিচারিক আদালতে দণ্ডিত হওয়ার পরও আপিল করে সংসদ সদস্যপদ বহাল থাকার নজির আছে। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ নভেম্বর ২৭,২০১৮