Search

Wednesday, January 9, 2019

Address RMG workers' grievances

EDITORIAL

These agitations could have been avoided


The Dhaka-Mymensingh highway near the Hazrat Shahjalal International Airport has been the flashpoint for ongoing workers' protest the last two days. Authorities had stepped in after 5,000 workers from around 20 garment factories located in the Azampur and Abdullahpur areas started protesting on January 7 about the wage disparity in the seventh wage board and its implementation. Though factory workers' demands are justified, in the sense that the new wage board has been gazetted and its implementation was supposed to start from December 1, there remains much confusion amongst workers about how much raise they are entitled to under which grade. For instance, in the new wage structure, a seventh grade salary has been increased to Tk 8,000 from Tk 5,300 but the rate of increase for other grades did not increase at the same rate.

RMG owners have told us that they are implementing the new wage board, but it seems that there is both a gap in information about what is owed at the various salary grades and of course the nonpayment of salaries under the new wage board by a section of factories. While protesting is a democratic right, when protest turns violent and there is damage done purposefully to vehicles plying the highway, such protest becomes unacceptable. People were stuck near Uttara for around five hours and goods-laden vehicles could not reach their respective destinations because of this disruption. The confusion over salaries and the issue of non-payment of salaries under the new structure are serious issues that have to be cleared up by BGMEA, the labour unions and the government immediately. The frustrations and grievances of the RMG workers must be addressed.

  • Courtesy: The Daily Star /Jan 09, 2019

BB Heist: Court wants CID probe report by Feb 10


A Dhaka court today directed Criminal Investigation Department (CID) to submit by February 10 the probe report on the case filed over the cyber heist of $101 million from the account of Bangladesh Bank in 2016 -- one of the biggest cyber crimes in the world.

Metropolitan Magistrate Sadbir Yeasir Ahsan Chowdhury passed the order after the investigation officer of the case failed to submit the probe report yesterday.

THE HEIST

Unidentified hackers stole $101 million from Bangladesh's central bank account with the Federal Reserve Bank of New York by using fake orders on the SWIFT payments system in February 2016.

Later, $81 million was sent to accounts in Manila-based Rizal Commercial Bank Corporation (RCBC), from where it disappeared into the casino industry in the Philippines. 

So far, Bangladesh was able to retrieve $15 million from the Philippines. $20 million was sent to a bank in Sri Lanka which Bangladesh also recovered.

  • Courtesy: The Daily Star /Jan 09, 2019

RMG unrest: Journo hurt in ‘cop action’ in Gazipur


A journalist of a private television channel was allegedly beat up by police during a chase and counter chase with protesting garment workers on Dhaka-Mymensingh highway in Gazipur today.

The injured journalist Monirul Islam is a Gazipur correspondent of Somoy TV, our district correspondent reports.

“Despite repeatedly saying that I am a journalist of Somoy TV, police attacked me with iron rods while they were dispersing the protesters at Signboard area,” Monirul Islam said.

He is undergoing treatment at a local clinic till last reported at 12:45pm.

As a part of the ongoing unrest in Savar and Gazipur, the workers today blocked different points of the highway several times from 9:00am to 11:00am which created severe traffic congestion, said Inspector Rofiqul Islam of Gazipur Industrial Police.

“We dispersed the workers using tear-gas shells,” he told The Daily Star.

WHAT ARE THE WORKERS DEMANDING?

The workers have alleged that the monthly wage in the seventh grade increased to Tk 8,000 from Tk 5,300 as per the latest gazette published by the government last year. But, the salary of the workers in other grades did not increase at the same rate.

The salary hike for the entry-level workers was more than that of their senior operators, who have been working for more than seven to eight years. The new wage has been effective from December 1. Major disparity in the salary hike was noticed in the third and fourth grades as their salaries were not raised like that of entry-level workers.

In most of the grades, other than the seventh, only Tk 500 was raised in the new salary structure, whereas an entry-level worker's salary had increased by Tk 2,700 at one go.

  • Courtesy : The Daily Star/ Jan 09, 2019

আটকে গেল এপিআই শিল্প পার্কের কর অবকাশ সুবিধা - শিল্পের স্বার্থেই দ্রুত বিরোধ নিষ্পত্তি জরুরি

সম্পাদকীয়

তৈরি পোশাক, চা কিংবা চামড়াজাত পণ্যের সমান্তরাল রফতানি পণ্য হয়ে উঠছে দেশে উৎপাদিত ওষুধ। ৯৭ শতাংশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে ১৪৪টি দেশে এখন রফতানি হচ্ছে। ওষুধ উৎপাদন ও রফতানিতে সাফল্য থাকলেও এ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ, কাঁচামালের (এপিআই) দুর্বল সরবরাহ ব্যবস্থা। কাঁচামাল সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় উন্নতি করতে পারলে ওষুধ শিল্পের দ্বিতীয় বৃহৎ রফতানি পণ্য খাত হয়ে ওঠা কঠিন হবে না। এক্ষেত্রে অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এপিআই শিল্প পার্ক বাস্তবায়নের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এদিকে নারায়ণগঞ্জে স্থাপিত এপিআই শিল্প পার্কে চলছে নানা ঝামেলা। গতকালের বণিক বার্তায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে কারখানা স্থাপনকারী নয়টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে দেয়া কর অবকাশ সুবিধা আটকে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। উল্লেখ্য, ওষুধ শিল্প মালিকদের আরেকটি সংগঠন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাতিল করা হয় সম্প্রতি কর অবকাশ সুবিধা চাওয়া বাংলাদেশ এপিআই অ্যান্ড ইন্টারমেডিয়ারিজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধন। এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন বাতিল করায় আপাতত কর সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সংস্থাটি। বিরোধ নিরসন করে একক সংগঠনের অধীনে আবেদন করা হলে বাণিজ্য বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আলোকে ফের কর অবকাশ সুবিধার নিশ্চয়তা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাজেই শিল্পের সার্বিক উন্নতি বেগবান করতে দ্রুত ব্যবসায়ীদের দুই শিবিরের বিরোধ নিরসন জরুরি।



লক্ষণীয়, সম্ভাবনা অনুযায়ী এখনো আমাদের ওষুধ শিল্পের কাঙ্ক্ষিত বিকাশ হয়নি; কাঁচামাল উৎপাদনে তৈরি হয়নি স্বয়ংসম্পূর্ণতা। সুখবর হলো, বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য ট্রিপস চুক্তির অধীনে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধের মেধাস্বত্বে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ছাড়ের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড় আমাদের জন্য ভীষণ দরকার ছিল। এটা না হলে বর্তমান বাজারে ওষুধের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যেত। এমনটি হলে দরিদ্র শ্রেণীর জন্য ওষুধ কেনা কষ্টসাধ্য ছিল। উন্নত দেশে ওষুধের দাম বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ সেখানে পেটেন্টধারী কোম্পানিকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয় উৎপাদক কোম্পানিকে। উল্লিখিত সময় পর্যন্ত মেধাস্বত্বে ছাড়ের কারণে আমাদের এ বাবদ বিপুল অর্থ বেঁচে যাবে। সুতরাং এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের ওষুধ শিল্পকে কাঁচামাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট শিল্প পার্ক সচলে যেভাবে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে, সেটি অত্যন্ত হতাশাজনক। দেশের অর্থনীতিতে বাড়তি মূল্য সংযোজনের স্বার্থেই এক্ষেত্রে গতি আনা দরকার।



বাংলাদেশের ওষুধ মানের দিক থেকে এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এ স্বীকৃতি পাওয়া মোটেই সহজ হয়নি। ইউরোপ ও আমেরিকায় ওষুধের মতো স্পর্শকাতর পণ্য বাজারে যায় যথাযথ মান যাচাইয়ের পর। তাদের মান যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার ওপর সবাই আস্থাশীল। সেই মান যাচাইয়ের পরীক্ষায় পাস করেই আমাদের ওষুধ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। এটি কম প্রাপ্তি নয়। সুতরাং কেবল বিদেশ নয়, দেশের অভ্যন্তরেও কম মূল্যে মানসম্মত ওষুধ সরবরাহের কাজ আরো বেগবান করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা কাম্য।

Courtesy: Banikbarta Jan 09, 2019

সড়কে বিশৃঙ্খলা - মামলাতেই সমাধান খুঁজছে পুলিশ


  • বছরের প্রথম সপ্তাহের প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার হাজার মামলা
  • প্রতিদিন জরিমানা আদায় হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা


চলতি বছরের প্রথম সাত দিনে রাজধানীর সড়কে পুলিশ মামলা করেছে ২৬ হাজার ৫৭১টি। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার হাজার মামলা করেছে পুলিশ। প্রতিদিন জরিমানা আদায় করেছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা। উল্টো পথে গাড়ি চালানো, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার, মাইক্রোবাসে কালো গ্লাস লাগানো, গাড়ি চালানোর সময় মুঠোফোন ব্যবহারসহ কাগজপত্র ঠিক না রাখার কারণে এসব মামলা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের আগস্টে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এর মধ্যে ঢাকা শহরে গণপরিবহন চলার সময় দরজা বন্ধ রাখা এবং নির্ধারিত বাস স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানো-নামানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা ছিল অন্যতম। বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিআরটিএ এবং ঢাকা মহানগর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ রাজধানীর শতাধিক স্থানে বাস থামার জায়গা চিহ্নিত করে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সামছুল হক প্রথম আলোকে বলেন, যত দিন পর্যন্ত সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো দায় নেবে না, তত দিন সড়কের পরিস্থিতি বদলাবে না, বরং আরও খারাপ হবে। সংস্থাগুলো দায় এড়ানোয় নির্দেশনাগুলো কাগজে–কলমেই রয়ে গেল। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরে সরকারের কাছ থেকে অনেক আত্মসমালোচনা, সুন্দর সুন্দর কথা শোনা গেল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজ হলো না। সড়কের নিরাপত্তার সঙ্গে সরকারের ভাবমূর্তির বিষয়টি যুক্ত। এরপরও নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলো না, সেটির উত্তর খুঁজে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। সেদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে ও নৈরাজ্য বন্ধে পুলিশ, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), সিটি করপোরেশন, পরিবহন মালিক সমিতি বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেয়। ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হয়।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ প্রতিদিন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সড়কে পুরোপুরি শৃঙ্খলা আনা গেছে এই দাবি করব না। এখনো যত্রতত্র বাসের যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ করা যায়নি। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে সংস্থাগুলোকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে।’

বছরের প্রথম দিনেই রাজধানীর সড়কে ঝরে প্রাণ। মালিবাগের চৌধুরীপাড়ায় বাসচাপায় মারা যান দুই নারী। সদরঘাট থেকে গাজীপুরগামী সুপ্রভাত পরিবহনের বেপরোয়া একটি বাস তাঁদের দুজনকে চাপা দেয়। বাসচালকের শাস্তির দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাসচালকেরা যত্রতত্র যাত্রী ওঠাচ্ছেন-নামাচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে চলন্ত অবস্থায় বাস থেকে যাত্রীদের নামতে বাধ্য করা হচ্ছে। বাসের পাদানিতেও যাত্রীদের ঝুলতে দেখা যায়। মাঝে কিছুদিন বাসের দরজা বন্ধ রাখা হলেও সেটি এখন আর মানা হচ্ছে না।

সাভার থেকে যাত্রাবাড়ী পথে চলাচলকারী এম এন লাভলী পরিবহনের একটি বাসের চালকের সহকারী মো. ইলিয়াস বলেন, ‘এখন আর গেট লাগাই না। মাঝে পুলিশ ঝামেলা করত। এখন আর কিছু বলে না। মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ আদালত) বসলে গেট লাগাই।’

বাসের ভেতরে দৃশ্যমান দুটি জায়গায় চালক ও চালকের সহকারীর ছবিসহ নাম, চালকের লাইসেন্স নম্বর এবং মুঠোফোন নম্বর প্রদর্শন করার নির্দেশনা ছিল। এই নির্দেশনাটি একেবারেই বাস্তবায়িত হয়নি। গতকাল অন্তত ১০টি বাসে উঠে দেখা যায়, কোনো বাসেই চালকের ছবিসহ লাইসেন্স, মুঠোফোন নম্বর ঝোলানো হয়নি।

পদচারী–সেতুর উভয় পাশে ১০০ মিটারের মধ্যে সড়ক পারাপার বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গতকাল শ্যামলী এলাকায় দেখা যায়, পদচারী–সেতুর নিচে সড়ক বিভাজকে কোনো প্রতিবন্ধকতা বসানো হয়নি। পথচারীরা যানবাহনের মাঝ ও সামনে দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছে।

রাজধানীর ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে থাকায় পথচারীরা অনেকটা বাধ্য হয়েই মূল সড়কে হাঁটে। ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া গত বছরের সেপ্টেম্বরে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট থেকে ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত ‘মডেল করিডর’ চালুর কথা জানিয়েছিলেন। এ পথটুকুতে স্বয়ংক্রিয় সংকেতের মাধ্যমে যানবাহন চলাচল করার কথা। গতকাল পর্যন্ত এই পথের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়নি।

তবে মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী দুজনই হেলমেট ব্যবহারের নির্দেশনা অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ যথেষ্ট তৎপর। ডিএমপি কমিশনারের ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর অধিকাংশ প্রধান সড়কে লেগুনা বা হিউম্যান হলার চলাচল বন্ধ আছে। তবে কিছু পথে এখনো লেগুনা চলাচল করছে।


  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ জানু ৯,২০১৯ 

চালের বাজার অস্থির কেন?

গওহার নঈম ওয়ারা  
ভোটের পরপরই চালের ‘জ্বর’ বাড়তে শুরু করেছে। প্রথমে মনে হয়েছিল ভোটের তালে রাস্তা রুখে দেওয়ায় ট্রাক পরিবহন সাময়িক বন্ধ ছিল, এ কারণে সরবরাহের শিকলে টান পড়েছে। এখন ভোট শেষ। সবকিছু কবজায়। কিন্তু চালের দাম বাড়ছে। ভোটের হাওয়া বইবার আগে আমন ধানে বাজার সয়লাব হয়েছিল। আবহাওয়া বিরূপ না থাকায় বাম্পার ফলন ছিল। কিন্তু চাষি ধানের দাম পাননি। হাটে হাটে ঘুরেও চালান ওঠেনি তাঁর।

বগুড়ার আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রামের হাটে গত ২০ নভেম্বর ধানচাষি কদম সরকার গিয়েছিলেন ধান বেচতে। তাঁকে সেদিন বাধ্য হয়ে এক মণ ধান ৬৫০ টাকায় বেচতে হয়েছিল। তাঁর মতো প্রায় সব চাষিকেই তখন কম দামে ধান বেচতে হয়েছে। তখন দেশের নানা হাটবাজারে নতুন আমন ধান বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬৫০ থেকে ৬৯০ টাকায়। অথচ ২০১৭ সালের একই সময় আমন ধান বিক্রি হয়েছিল ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। সেটাও কিন্তু তেমন লাভজনক ছিল না। এক মণ ধান ফলাতে কৃষকের কমবেশি ৮০০ টাকা খরচ হয়।

ধানের বাজার মন্দা কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সংবাদকর্মীরা দেশের অন্যতম ধান উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ এলাকা নওগাঁর ধান ও চাল পাইকার সমিতির সভাপতি নীরদ বরণ সাহার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি সেদিন জানিয়েছিলেন ধানের অতিরিক্ত ফলন হয়েছে। আড়তে–গোলায় ধান রাখার জায়গা নেই। তাই পাইকারেরা আর কিনছেন না। তা ছাড়া সরকার রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ৩৮ লাখ ৯২ হাজার টন চাল আমদানি করে সব গুদাম–আড়ত ভরে ফেলেছে। এখন ক্রেতা নেই, তাই দাম নেই। অর্থনীতির সহজ পাঠ—সরবরাহ বেশি, চাহিদা কম— তাই দাম কম। এতে পাইকারদের কী করার আছে? তাঁরা পুতুলমাত্র, বাজারের দাস। নীরদ বরণ সাদামাটা ভাষায় সেটাই বলেছিলেন।

বাজার অর্থনীতিতে বাজার চলে বাজারের গতিতে। যেমন ‘আইন চলে আইনের গতিতে’। দুষ্ট লোকেরা যদিও বলেন, এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে আইন চলে পুলিশের হাত ধরে, যেমন পুঁজিবাদী বাজার চলে পুঁজির হাত ধরে। আমাদের ধান–চালের পুঁজির মালিক আড়তদার, পাইকার আর তাঁদের রাজনৈতিক দোসররা। ফলে তাঁদের হাতেই বাজার।

আমনের আগে আউশ, বোরো দুটোর ফলনই ভালো ছিল ২০১৮ সালে। আগের বছরের (২০১৭) হাওর ট্র্যাজেডির ধকল দেশ কাটিয়ে ওঠে মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকা প্রান্তিক কৃষক আর ভাগচাষিদের পরিশ্রম ও উদ্ভাবনী প্রচেষ্টায়। প্রকৃত উৎপাদক তঁারাই। বলা বাহুল্য, কথিত বাজার অর্থনীতির উৎপাত সামলানোর কোমরের জোর তাঁদের নেই। মাড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে ধান বেচতে না পারলে তাঁদের ভাত জোটে না। যে ধারদেনা করে তাঁরা জমি বর্গা রাখেন, সার নেন, বীজ, কলের লাঙল, পানি, নিড়ানি কীটনাশকের দাম মেটান; তা সুদে-আসলে শোধ করতে হয় ফসল ওঠার সঙ্গে সঙ্গে। এই সহজ হিসাবটা ধানের মূল ক্রেতা আড়তদার-পাইকারেরা জানেন বলেই ধান উঠলে তাঁরা হাত গুটিয়ে নেন। চাষি বাধ্য হন কম দামে ধান ছেড়ে দিতে। লোকসানি দামে না বেচে হাট থেকে ধান বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো গাড়িভাড়াও তাঁর থাকে না। তাঁকে আড়তদারের হাওলায় রেখে যেতে হয় রক্ত-ঘামে ভেজা ধান।

এসব কি শুধুই ভবিতব্য ভাগ্যের লিখন, না এর মধ্যে কোনো কারসাজি আছে? লোকসানি দামে ধান বেচে বেশি দামে চাল কিনতে হবে কেন কৃষককে? দেশের সব প্রান্তে একই সঙ্গে একইভাবে হঠাৎ কেন দাম বাড়বে চালের? ঢাকার পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, নির্বাচনের তিন দিন আগে পরিবহনব্যবস্থায় কড়াকড়ির কথা বলে চাল সরবরাহ বন্ধ রেখেছিলেন মিলাররা। নির্বাচনের পর চাল সরবরাহ শুরু হলেও মিলগুলো থেকেই প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) দুই ধাপে ১০০ টাকা করে দাম বাড়ানো হয়েছে। কারওয়ান বাজার, মিরপুর ১, উত্তর বাড্ডা, সাতারকুল পাইকারি বাজার, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, বরগুনা সব জায়গায় একই কাহিনি। পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি দুই টাকা বাড়ায় খুচরা ক্রেতাকে কেজিপ্রতি চার থেকে পাঁচ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।

তিন তিনটা ভালো ফসলের রেকর্ড আর যথেষ্ট আমদানি মজুত থাকার পরও এবার দাম বাড়া শুরু হয়েছে স্বাভাবিক সময়ের অনেক আগে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার এক খুচরা বিক্রেতা জানালেন, আড়তদার, পাইকার বলেছেন ıধরে ধরে বেচতে, বাজারে টান আছে। তার মানে দাম আরও বাড়বে। কৃষিতে ভর্তুকির কথা বেতার, তার, কাগজে, টিভিতে আর বাজেট বক্তৃতায় হামেশাই শোনা যায়। কিন্তু এর কতটুকু আসল চাষির কাছে পৌঁছায় তার হিসাব কেউ দিতে পারবে কি? বেচার সময় দাম না পাওয়া চাষি চাল কেনার সময় কোনো ভর্তুকি পান কি?

আসল চাষির তো বলতে গেলে জমিই নেই। তিনি জমি নেন নগদ টাকায় সনভিত্তিক বরাদ্দ। জমির মালিকের হাতে আগাম টাকা না দিলে জমি তিনি পান না। তেভাগার দিন এখন জাদুঘরে। ফসল হোক না হোক, জমির মালিকের হক তাঁকে আগাম আদায় করতে হয়। আবার ভর্তুকি, সহজ শর্তের ঋণ, সার, বীজ, অনুদান সহযোগিতা সবই যায় জমির মালিকের কাছে। যাঁর জমি নেই কিন্তু হাড়ভাঙা পরিশ্রমে চাষ করেন, তাঁকে দেখার কোনো চশমা নেই সিদ্ধান্তের মালিকদের কাছে।

এখনো দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৬ ভাগ কৃষিতেই যুক্ত, তারপরও আনুপাতিক হারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেট বরাদ্দ প্রতিবছর ধাপে ধাপে কমছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৮ দশমিক ৪ শতাংশ, আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ২ দশমিক ২ শতাংশ ছিল এই মন্ত্রণালয়টির জন্য। ২০১৭-১৮–তে বাজেটের মাত্র ৩ দশমিক ১২ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়ের জন্য।

অন্যদিকে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে কৃষির জন্য বরাদ্দ মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ। আমাদের পেঁয়াজ, রসুন, আদা, তেল, চালের ঘাটতি হলে আমরা যে বন্ধুর দিকে হাত বাড়াই, সেই ভারতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লি উন্নয়নের জন্য বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। নতুন মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক নিশ্চয় একবার চেষ্টা করবেন কৃষির আসল চালিকাশক্তি প্রান্তিক চাষির মুক্তির জন্য কম দামে ধান বেচে বেশি দামে চাল কেনার দুষ্ট চক্র ভাঙতে।

  • গওহার নঈম ওয়ারা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মী
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ জানু ৯,২০১৯ 

‘বেগম জিয়ার জীবন নিয়ে গভীর চক্রান্তে মেতে আছে সরকার’ — রুহুল কবির রিজভী


বুধবার, জানুয়ারি ০৯, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা পাবার অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে সরকার। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ পরে গতকাল নিকটাত্মীয়রা দেখা করার অনুমতি পায়। এখনও বেগম জিয়া অসুস্থ। সম্পূর্ণ চিকিৎসা শেষ না হতেই তাঁকে বিএসএমএমইউ থেকে কয়েকদিন পরেই কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁর প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা পাবার অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে সরকার। এভাবেই মানসিক নিপীড়নের সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে সরকার। দেশনেত্রীকে নির্যাতন করে প্রতিহিংসার যেন শেষ হচ্ছে না। বেগম জিয়ার জীবন নিয়ে এক গভীর চক্রান্তে মেতে আছে সরকার।’


সংবাদ সম্মেলনের পূর্ণপাঠ নিচে দেওয়া হল 

সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ পরে গতকাল নিকটাত্মীয়রা দেখা করার অনুমতি পায়। এখনও বেগম জিয়া অসুস্থ। সম্পূর্ণ চিকিৎসা শেষ না হতেই তাঁকে বিএসএমএমইউ থেকে কয়েকদিন পরেই কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁর প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা পাবার অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে সরকার। এভাবেই মানসিক নিপীড়ণের সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে সরকার। দেশনেত্রীকে নির্যাতন করে প্রতিহিংসার যেন শেষ হচ্ছে না। বেগম জিয়ার জীবন নিয়ে এক গভীর চক্রান্তে মেতে আছে সরকার।  
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বারবার বাধাগ্রস্ত করছে সরকার। যে মিথ্যা মামলায় ইতোপূর্বে অনেকেই জামিন পেয়েছেন, অথচ সেই মামলাগুলোতেই আদালতকে ব্যবহার করে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বিত করা হচ্ছে। কুমিল্লার মিথ্যা নাশকতার মামলায় বারবার তারিখ পিছিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। আদালতে ন্যায় বিচার পেলে কুমিল্লায় দায়ের করা মিথ্যা নাশকতা মামলায় বিচারিক আদালতেই বেগম জিয়া জামিন পেতেন। আদালত জামিনও দিচ্ছে না আবার জামিন নামঞ্জুরও করছে না। ফলে বেগম জিয়াকে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পথও রুদ্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সরকারের নির্দেশেই নিন্ম আদালত বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে বলে দেশবাসী মনে করে। শুধুমাত্র বেগম খালেদা জিয়াকে হয়রানী করার জন্যই তা করা হচ্ছে। আওয়ামী সরকার জুলুমের যতো পথ-পদ্ধতি আছে সবই প্রয়োগ করছে বেগম জিয়ার ওপর।   
সাংবাদিক বন্ধুরা,শাসকশক্তির পৃষ্ঠপোষণার দ্বারা মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর এখন সারাদেশে ব্যাপক নির্বাচনী সহিংসতা চালাচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। রাষ্ট্রের সব শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের দমন করে  বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, খুন, ধর্ষণ, হামলা থেকে শুরু করে এখন নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করছে। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার অপরাধে গ্রামের মানুষজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ত্ব নিশ্চিত করতে একতরফা নির্বাচনের জন্য প্রচার মাধ্যমগুলোকে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে, যাতে সত্য ঘটনা প্রকাশ হতে না পারে। একদিকে হামলা-মামলা ও আটক করা অন্যদিকে নিজেদের প্রচারের আতিশয্য বজায় রেখে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে বিষোদগার বেগবান করা হয়েছে। নির্বাচনোত্তর সহিংস সন্ত্রাসের প্রকোপে জনজীবন গভীর শঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যে পতিত হয়েছে। 
বিরামহীন সন্ত্রাসের প্রসারে দেশজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অবৈধ শাসনের শৃঙ্খল থেকে মানুষের মুক্তির আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে। নিপীড়ণ-অত্যাচারের সংবাদও গণমাধ্যম যাতে প্রকাশ না করে সেজন্য ভয়ংকর সেন্সরশীপ চালানো হচ্ছে। টিভি টকশো, সংবাদপত্রের নিবন্ধ, ফেসবুক ইত্যাদি যাতে সরকারের পক্ষে থাকে তারজন্য আগেভাগেই গণবিরোধী আইনে-বেআইনের সব কালো পথ গ্রহণ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তার একটি। আবার একইসাথে স্বৈরশাসনের অংশীদার কিছু মিডিয়ার পক্ষপাতিত্বও সবার কাছে পীড়াদায়ক। বন্ধুরা, এদেশে গণতন্ত্রের ভীত সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে গেছে, নিষ্ঠুর দমনে গণতন্ত্র এখন পীড়িত।  
বন্ধুরা,দেশজুড়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পুলিশি হয়রানি ও মামলা হামলার পর দুদককে দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে আবারও মামলা দায়ের করেছে দুদক। গত দশ বছরে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা লাখ লাখ কোটি টাকা লুট করে নিলেও, সমস্ত ব্যাংক লুট হয়ে গেলেও দুদক চোখ বন্ধ করে বসে আছে। গণমাধ্যমে মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে সাগর চুরির খবর প্রকাশ করলেও খোদ সংসদে দাঁিড়য়ে সরকারের মন্ত্রীরা সাগর চুরির কথা বললেও দুদক কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের প্রতিনিয়ত হয়রানী করছে দুদক। মূলত: দুদক বিরোধী দল নির্যাতনের যাঁতাকল হিসেবে কাজ করছে। আমি মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। 
সুহৃদ সাংবাদিকবৃন্দ , * শুধুমাত্র বিএনপি করার অপরাধে ঢাকা-হাতিয়া ও ঢাকা-চরফ্যাশন নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী নৌযান এমভি তাসরিফ-১, ২, ৩ ও ৪ লঞ্চের ক্যান্টিন, পানের দোকান ও চায়ের দোকানগুলো ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর জোর করে দখল করে নিয়েছে পুরান ঢাকার ছোটন কমিশনার ও তার সহযোগী যুবলীগ ক্যাডার বাবু। উল্লেখ্য, প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীদের সুবিধার্থে ক্যান্টিন, পানের দোকান ও চায়ের দোকানের ব্যবস্থা থাকে। আর এজন্য ফেয়ারী শিপিং লাইন্স লিমিটেড এর মালিক পক্ষ এমভি তাসরিফের লঞ্চগুলোর ক্যান্টিনের অগ্রিম বাবদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ, পানের দোকানের অগ্রিম বাবদ দশ লক্ষ ও চায়ের দোকানের অগ্রিম বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা জমা নিয়ে চুক্তির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদেরকে বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। এমভি তাসরিফ এর লঞ্চগুলোর ক্যান্টিন, পান ও চায়ের দোকানগুলো গায়ের জোরে দখলকারিদের কবল থেকে মুক্ত করে যথাযথ ব্যবসায়ীদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর আহবান জানাচ্ছি। 
* পিরোজপুর জেলাধীন মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী রুহুল আমিন দুলালসহ ২২ জন নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় গতকাল পিরোজপুর কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন পূর্বসময়ে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এলিজা জামান, পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র দফতর সম্পাদক তোহিদুল করিম এবং নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক লাহেল মাহমুদসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। 
* পাবনার চাটমোহরে বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার ভোর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বাঙ্গাল্লা গ্রামে ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা মোতাহার হোসেনের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের দেয়া আগুনে তার বসত ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র, জমির দলিলপত্রসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে অল্পের জন্য পরিবারের সদস্যরা প্রাণে রক্ষা পেলেও প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কতটা অমানবিক ও নিষ্ঠুর হলে এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটাতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।

ডাকসু নির্বাচন - এখানেও মাঠ সমতল করাই চ্যালেঞ্জ

সম্পাদকীয়

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ডাকসু নির্বাচনের ওপর বিধিনিষেধ উঠে যাওয়া একটি ভালো অগ্রগতি। সেই হিসাবে আগামী মার্চের মধ্যে এই নির্বাচন হতে হবে বলেই ধরা যায়।  

কিন্তু সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন থেকে আজকের প্রেক্ষাপটের তুলনা করলে মানতে হবে যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরাট পরিবর্তন ঘটে গেছে। বিশেষ করে সেই পরিবর্তনের প্রভাবে ক্যাম্পাসের চিরচেনা ‘ছাত্ররাজনীতি’ আমূল পাল্টে গেছে। নব্বইয়ের গণ–আন্দোলনে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর ছাত্ররাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা জরুরি মনে করা হলেও এর সংজ্ঞায় পরিবর্তনের দাবি উঠেছিল। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে নির্বাচনী আইনে প্রধান দলগুলো এই বিধান অন্তত কাগজে-কলমে মেনেছে যে ছাত্রসংগঠনগুলো এখন আর ‘অঙ্গ’ নয়, ‘সহযোগী’ সংগঠন। তবে বাস্তবে এই পরিবর্তনের কোনো প্রভাব দেখা যায় না। রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রসংগঠনগুলোকে আগের মতোই মূল দলের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে অথবা ছাত্রসংগঠনগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্যদিকে গায়েবি মামলায় দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি যেভাবে জাতীয় রাজনীতিতে জেরবার, সেভাবেই বিরোধী দল সমর্থিত ছাত্রসংগঠনগুলোও ক্যাম্পাসে কোণঠাসা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং মহাজোটের শরিক দলের সমর্থিত ছাত্রসংগঠনগুলো ছাড়া ছাত্রদল এবং অধিকাংশ বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি ও পরিবেশ ডাকসু নির্বাচনের জন্য অনুকূল আছে বলে মনে করে না। নব্বই সালে সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে এই নির্বাচনটি ঝুলে ছিল। এর সপক্ষে বহু দাবিদাওয়া জানানো হয়েছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনায় নেয়নি। সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়ের পর এখন এই নির্বাচন অনুষ্ঠান একটি বাধ্যবাধকতায় পরিণত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনকে অর্থপূর্ণ করার অন্যতম শর্ত ছিল বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় নির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধির অংশগ্রহণ। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করে চলেছি যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বায়ত্তশাসনের ধারণায় ব্যাপক ধস নেমেছে। সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধিদের নির্বাচন নিয়েও নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। সুতরাং বহুপ্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটা উদ্বেগজনক যে বিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলো অব্যাহতভাবে বলছে যে ডাকসু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই। এর সপক্ষে তাদের বক্তব্য হচ্ছে যে সবগুলো আবাসিক হলের নিয়ন্ত্রণ ছাত্রলীগের হাতে। সেখানে আর কারও কিছু করার সুযোগ নেই। তাদের দাবি, ছাত্রছাত্রীদের কে কোন কক্ষে থাকবে, সেটি পর্যন্ত ছাত্রলীগ নির্ধারণ করে দেয়।

এমন অভিযোগ ছাত্রলীগ অস্বীকার করলেও বাস্তবতা এটাই যে ছাত্রদল সমর্থিত নেতা-কর্মীদের ক্যাম্পাসে উপস্থিতি খুবই কম। এবং তাদের কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা নেই বললেই চলে। এমনকি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ছাত্রদল ও তার সমর্থকেরা ক্যাম্পাসে চা খেতে এসেও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।

জাতীয় রাজনীতিতে নির্বাচনের আগে যেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না, এ ক্ষেত্রেও সেই একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা অব্যাহতভাবে নির্বাচনের মাঠ সমতল কারার কথা বলে এসেছি। ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখেও আমরা সেই একই দাবি জানাতে চাই। সব ছাত্রসংগঠন যাতে ক্যাম্পাসে সমভাবে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা চালাতে পারে, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করব দীর্ঘ বিরতির পর যে ডাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তা উৎসবমুখর পরিবেশে সবার অংশগ্রহণে ও কোনো রকম অনিয়ম ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে।

  • কার্টসিঃ প্রথম আল/জানু ৯, ২০১৯ 

কক্ষ দখল নিয়ে ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের ওই হল শাখার অনুসারী নেতা-কর্মীদের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।

হলের প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্র বলেন, গতকাল মধ্যরাতে সূর্য সেন হলের ২০৭ নম্বর কক্ষটি নিয়ে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। কক্ষটি এত দিন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হকের অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ওই কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের হল শাখার অনুসারীরা তাঁদের কর্মীদের ওঠানোর চেষ্টা করলে এ নিয়ে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে সাদ্দাম হোসেনের অনুসারীরা হলের অতিথিকক্ষে আর রেজওয়ানুল হকের অনুসারীরা দোকানের সামনে জড়ো হন। জড়ো হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পরস্পরের ওপর চড়াও হন। আধা ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলে। পরে রেজওয়ানুল হক ও সাদ্দাম হোসেনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

হল শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, সূর্য সেন হলে সাদ্দাম হোসেনের অনুসারীরা হল শাখা ছাত্রলীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক সিয়াম রহমান এবং রেজওয়ানুল হকের অনুসারীরা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খ. ম. মুহতাসিম মাহমুদ হাসিবের সঙ্গে রাজনীতি করেন। এই দুই পক্ষের মধ্যেই গতকাল রাতে কথা-কাটাকাটি ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের কেউ হতাহত হননি।

ঘটনার বিষয়ে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমিও ছিলাম। ঘটনা তদন্তে হলের আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছি। যারা বিবাদে লিপ্ত হয়েছিল, তাদের ডেকে নিয়ে তাদের বক্তব্য শুনছি। কমিটি আজ প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

ঘটনার পর গতকাল রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, তিনি এখনো ঘটনাটি ভালোভাবে জানেন না। আজ বুধবার সকালে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

সংঘর্ষের এই ঘটনায় গ্রুপিংয়ের কোনো ব্যাপার নেই দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সূর্য সেন হলে মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীদের একটা সংঘবদ্ধ অশুভ চক্র আছে। তারা হলের পরিবেশ অশান্ত করার জন্য রুম দখলের পাঁয়তারা করছিল। হল শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা এ ব্যাপারে সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছে।’

দুই পক্ষই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী হিসেবে পরিচিত উল্লেখ করলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘কারও আশীর্বাদপুষ্ট হলেই কেউ ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে যায় না। দেখতে হবে সে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কমিটিতে আছে কি না। কমিটিতে না থেকেও তারা সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমরা চাই, হলের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাক। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ জানু ৯,২০১৯ 

রাজনৈতিক বিবেচনায় এপিএস নিয়োগ বন্ধ হচ্ছে

দীন ইসলাম 

রাজনৈতিক বিবেচনায় সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) নিয়োগ বন্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। ক্যাডার সার্ভিস বা নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এপিএস নিয়োগ দিতে হবে। এ ছাড়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা তাদের পছন্দমতো একান্ত সচিব (পিএস) নিয়োগ দিতে পারবেন না। সরকারের তৈরি করা প্যানেল তালিকা থেকে পিএস নিয়োগ করতে হবে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

সারসংক্ষেপ অনুমোদনের আগে কাউকে পিএস বা এপিএস নিয়োগ দেয়া যাবে না। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল একাধিক মন্ত্রী তাদের পছন্দসই কর্মকর্তাকে (সিনিয়র সহকারী সচিব/উপসচিব) একান্ত সচিব পদে নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) পাঠান।

এছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় এপিএস নিয়োগ করার অনুরোধ জানিয়ে ডিও লেটার দেয়া হয়। পাশাপাশি মন্ত্রিসভার কয়েক জন সদস্য জনপ্রশাসন সচিবকে ফোন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিসভার সদস্যদের জানানো হয়, পিএস পদে নিয়োগ দিতে একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানোর কথা রয়েছে। এতে পিএস বা এপিএস পদে নিয়োগ দেয়া যায় এমন কর্মকর্তাদের নাম থাকবে। 

ওই তালিকায় কারও নাম না থাকলে পিএস বা এপিএস করা যাবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরের অভিজ্ঞতায় সরকার দেখেছে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অভিপ্রায় থাকায় স্বাধীনতাবিরোধীদের পরিবার থেকে পিএস বা এপিএস পদে অনেকেই নিয়োগ পান। ভবিষ্যতে পোস্টিং, পদোন্নতি বা নানা সুবিধার জন্যই এসব কর্মকর্তা পিএস বা এপিএস হয়ে থাকেন। এমন চিন্তা মাথায় রেখেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, স্বচ্ছ ইমেজ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কর্মকর্তা ছাড়া কাউকেই মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীদের একান্ত সচিব (পিএস) বা সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) পদে নিয়োগ করা যাবে না।

এজন্য বিভিন্ন ধরনের যাচাই বাছাই শেষে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকায় ক্যাডার সার্ভিসের বিভিন্ন ব্যাচের কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে। এদিকে গত সোমবার শপথের পরই পিএস/এপিএস হতে আগ্রহী বিভিন্ন ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। তারা নিজের নাম তালিকাভুক্ত করতে চেষ্টা তদবির শুরু করেন। গতকাল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনেই পিএস ও এপিএস পদে নিয়োগ দিতে বেশ কয়েকটি ডিও লেটার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে যায়। তবে আপাতত এসব ডিও লেটারের বিপরীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না।   
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ জানু ৯, ২০১৯