ইলিয়াস আলী
নিখোঁজ হবার
পর বহুবার
সন্তানদের নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থিত
হয়েছেন স্ত্রী
তাহসিনা রুশদীর। ফাইল
চিত্র।
|
ইলিয়াস আলী ছিলেন
বিএনপির সিলেট
থেকে নির্বাচিত
এমপি এবং
দলটির কেন্দ্রীয়
নেতা।
বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয়
নেতা ইলিয়াস
আলী নিখোঁজ
হওয়ার চার
বছর পূর্ণ
হচ্ছে আজ। ২০১২
সালের ১৭ই
এপ্রিল রাতে
মি. আলীর
ব্যবহৃত গাড়িটি
ঢাকার মহাখালী
এলাকা থেকে
পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। সেই
থেকে আজ
অব্দি কোনো
হদিস মেলেনি
মি. আলীর।
নিখোঁজ হওয়ার পর
থেকেই স্বামীকে
খুঁজে পাওয়ার
আশায় বিস্তর
থানা-পুলিশ
করেছেন তার
স্ত্রী তাহসিনা
রুশদীর।
এমনকি প্রধানমন্ত্রীর
কাছে পর্যন্ত
গেছেন।
“ওই সময়
উনি (প্রধানমন্ত্রী)
আমাদেরকে আশ্বস্ত
করেছিলেন যে
অবশ্যই উনি
আন্তরিকতার সাথে বিষয়টা দেখবেন এবং
ইলিয়াস আলীকে
উদ্ধারের চেষ্টা
করবেন”, বলছিলেন
মিসেস রুশদীর। কিন্তু
পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ
থেকে এ
ব্যাপারে কোনো
সহযোগিতা পাওয়া
যায়নি বলে
উল্লেখ করেন
তিনি।
তিনি বলেন, “চেষ্টা
তো অবশ্যই
করেনি।
এটা একটা
লোক দেখানো। কারণ
তখন আন্দোলন
শুরু হয়েছিল
দেশে।
সম্ভবত আন্দোলনটাকে
বন্ধ করার
জন্যই একটা
লোক দেখানো
প্রচেষ্টা”। এই নিখোঁজের ব্যাপারে
থানায় একটি
সাধারণ ডায়েরি
করা হয়েছিল
এবং হাইকোর্টে
একটি রিটও
করা হয়েছিল। সেই
রিট অনুযায়ী
হাইকোর্ট পুলিশকে
প্রতিমাসে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে
বলেছিল।
কিন্তু মিসেস
রুশদীর জানাচ্ছেন,
কোনো অগ্রগতি
পরবর্তীতে তারা জানতে পারেননি।
“দেশবাসী এমন কিছু
প্রত্যক্ষ করেনি যাতে দেখা গেছে
যে ইলিয়াস
আলী গুমের
ব্যাপারে কাউকে
অ্যারেস্ট করা হয়েছে বা জিজ্ঞাসাবাদ
করা হয়েছে। ওনারা
শুধু বলেছেন
ওনারা চেষ্টা
করেছেন।
ওনারা চেষ্টা
করলে ওনারা
খুঁজে বের
করতে পারবে। কিন্তু
এটাতে তাদের
যদি আগ্রহ
না থাকে
তাহলেতো আর
খুঁজে বের
করবে না”। স্বামী
বেঁচে আছেন
বলে বিশ্বাস
করেন তাহসিনা
রুশদীর এবং
তাকে ফিরে
পাবেন বলে
আজও আশা
আছে তার। বিবিসিকে
তিনি বলেন,
“ফিরে পাব
এই আশাটা
যেমনি থাকবে
তেমনি দাবীটাও
থাকবে যে,
আমার স্বামীকে
ফিরিয়ে দেয়া
হোক।
সেই দাবীটা
শেষ পর্যন্ত
থাকবে”।
উৎস: বিবিসি বাংলা
No comments:
Post a Comment