Search

Monday, October 21, 2019

ভেঙে পড়ছে কি সবকিছু?

রুমিন ফারহানা
‘শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ লুটেরাদের আড়াল করে যতই শুদ্ধি অভিযান চালান তাতে কিছুই হবে না। ক্যাসিনো মালিকদের ধরা হচ্ছে, দুর্নীতিবাজদের ধরা হচ্ছে, কিন্তু দুর্নীতির আসল জায়গা নির্বিঘ্নে আছে। সেই দুর্নীতিবাজদের বিচার কবে হবে, তাদের সাজা কবে হবে, তাদের সম্পদ কবে বাজেয়াপ্ত হবে’–কথাগুলো বলেছেন ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। মহাজোটের একজন প্রভাবশালী শরিক দলের শীর্ষনেতা, সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদের একজন সদস্য যখন এই প্রশ্নগুলো তোলেন, তখন সঙ্গত কারণেই সাধারণ মানুষের মনে আরও হাজারো প্রশ্নের জন্ম দেয়।

১) শুদ্ধি অভিযান কি শেষ?
২) শুদ্ধি অভিযান কি শুধু ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান ছিল?
৩) শুদ্ধি অভিযান কি যুবলীগের কেবল  তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে ছিল?
৪) শুদ্ধি অভিযান কি কাউকে বাঁচানোর জন্য কিংবা বিশেষ কোনও ঘটনা এড়ানোর জন্য সরকারের একটি সাময়িক পদক্ষেপ?
৫) ১০ বছর ধরে সর্বক্ষেত্রে অবিরাম লুট করে চলা এই সরকার কেন হঠাৎ শুদ্ধি অভিযানে নামলো?
৬) ক্যাসিনো ছাড়া কি দেশে আর কোনও দুর্নীতি নেই?
৭) দুর্নীতির সঙ্গে কি এমপি, মন্ত্রী কিংবা প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কেউ জড়িত নেই?
৮) যদি জড়িত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?

এসব নানা প্রশ্ন ঘুরছে মানুষের মনে। ক্ষমতায় টানা ১০ বছর থাকার পর হঠাৎ করেই যেন এ সরকারের মনে হলো দেশে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে, যা নির্মূল করা দরকার। অঙ্গসংগঠনগুলোর লাগাম টানা জরুরি।  

ছাত্রলীগের মহাক্ষমতাধর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যখন ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধের ঐতিহ্য বজায় রেখে কাজ করে চলছিল, তখন হঠাৎ করেই বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো তাদের সরিয়ে দেওয়া হলো। বহিষ্কারের পর জানা গেলো তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো নির্মাণের প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে তাদের ‘ন্যায্য পাওনা’ ৮৬ কোটি টাকা দাবি করেছিল। এরইমধ্যে আরও জানা গেলো বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ‘ঈদ সালামি’ বাবদ ইতোমধ্যেই ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়েছিল। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির ক্ষেত্রে এগুলো তো বৃহৎ চিত্রের অতি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ যা প্রকাশিত হয়েছে। শুধু দুর্নীতির কাহিনি নয়, তাদের প্রতাপ, দম্ভ, স্বেচ্ছাচারিতা সবকিছুই ছিল লাগামছাড়া। এই যেমন কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পুরো রাস্তাজুড়ে ছিল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোভনের হাসিমুখের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। অবাক হয়েছিলাম দেখে, কারণ এলাকার এমপি ছাড়া এ ধরনের প্রচারণা দেখা যায় না। আর এমপির প্রচারণাও তার নিজ এলাকায় সীমাবদ্ধ। পরে বুঝলাম, শোভন এই পথ দিয়ে সিলেট গিয়ে পুরো পথকেই ধন্য করে গেছেন। নেতাকর্মীরাও এতটাই ধন্য হয়েছেন যে, আবেগের চাপে তাকে বিদায় দেওয়ার সময় সিলেট বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এলাকা পার হয়ে বিমানের দরজা পর্যন্ত ছুটে গেছেন। 

এমনই এক সময়ে প্রধানমন্ত্রী দলীয় এক সভায় বলেই ফেললেন, ‘ছাত্রলীগকে ধরেছি, এবার যুবলীগকে ধরবো’। আর যায় কোথায়? পরদিন থেকেই পুলিশ, র‍্যাব, প্রশাসন সব ঝাঁপিয়ে পড়লো যুবলীগ এবং আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে দেশে বহু বছর ধরে চলে আসা ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই অভিযানে দেখা গেলো দেশে ২২টি ক্লাব, ৫টি বার, ৮ নেতার বাসা ও প্রতিষ্ঠানে চলা ক্যাসিনো আর যুবলীগের গুটিকয় নেতা বাদে আর কোনও অপরাধ বা অপরাধী নেই। তাহলে বরং অভিযানটির নাম শুদ্ধি অভিযান না দিয়ে যুবলীগের কতিপয় নেতার বিরুদ্ধে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান দিলেই বেশি শুদ্ধ হতো। 

এমনকি এটা একটা সত্যিকারের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানও নয়। যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের বিদেশ গমনে নিষেধ আর গণভবনে প্রবেশ বন্ধ করাই প্রমাণ করে এই অপকর্মে তার সংশ্লিষ্টতা। অথচ তাকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। একইভাবে যে র‍্যাব, পুলিশ, প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় এই ব্যবসা এতদিন ধরে চললো, তারাই বা কোথায়। বিষয়টি তো কেবল পুলিশ প্রশাসন নয়, এই টাকার ভাগ গেছে দলের বহু ওপর পর্যন্ত। সম্রাটের স্ত্রী তো গণমাধ্যমকে পরিষ্কার বলেছেন, তার টাকায় দল চলতো। যুবলীগের ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিছু নেতা ইতোমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের হেফাজতে আছে, তাই তাদের কাছ থেকে আরও বিস্তারিত জানা এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া খুবই সহজ। 

একটু মনে করিয়ে দেই, অভিযান শুরু হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা আগে থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছি, যে ১/১১-এর মতো কোনও ঘটনা দেশে আর ঘটতে না পারে। আমি আপনাদের বলতে পারি, দেশে ১/১১-এর মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তির কোনও সুযোগ নেই’। ১/১১-এর বিষয়ে অতীতেও বহুবার কথা হয়েছে। প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের কথা স্মরণ করিয়ে তীব্র কণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন দেশে ১/১১ করার আর কোনও সুযোগ নেই। যেখানে সংবিধানের ৭(ক) ধারাই এই ধরনের উদ্যোগের শাস্তি মৃত্যদণ্ড রেখেছে সেখানে ১/১১-এর রোধ করতে শুদ্ধি অভিযানের মতো পদক্ষেপের সাহায্য কেন নিতে হয়? 

প্রশ্নগুলো উঠছে কারণ দীর্ঘদিন যারা সরকারের কাছ থেকে পাওয়া নানা সুবিধার বিনিময়ে সরকারের সকল অপকর্মে নীরব ছিল তাদেরই একজন রাশেদ খান মেনন সম্প্রতি বলেছেন, ‘আমিসহ যারা নির্বাচিত হয়েছি, আমাদের দেশের কোনও জনগণ ভোট দেয়নি। ভোটাররা কেউ ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেনি। বিগত জাতীয়, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোথাও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ। আজ দেশের ভোটাধিকার হরণ করেছে সরকার। [...] উন্নয়নের নামে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছ।[...] উন্নয়নের নামে আজ দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে সরকার, তাই কেউ মুখ খুলে মত প্রকাশ করতে পারে না।’

এই কথা বলার একদিন পরেই দেখলাম, পত্রিকায় এসেছে সম্রাট ও খালেদের দেওয়া নামের তালিকায় আছে মেননের নাম। যিনি খালেদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৪ লাখ টাকা চাঁদা নিতেন এবং সম্রাটের কাছ থেকেও অর্থ নিতেন। এমনকি প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর জন্যও নাকি তিনি চাপ দিচ্ছিলেন। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।  

একই রকম সুর আমরা শুনেছি সরকারদলীয় প্রভাবশালী সাংসদ এবং শেখ পরিবারের সন্তান শেখ ফজলে নূর তাপসের মুখে। তিনি একসঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন। সম্রাট যখন গ্রেফতার হননি তখন তাপস প্রশ্ন করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও কেন সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়নি? কাকে বাঁচানোর জন্য? বেসিক ব্যাংকের লুটপাটের মূলহোতা আব্দুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আজও  কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি? এ কারণে তিনি দুদক চেয়ারম্যানের পদত্যাগও দাবি করেছেন। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন রাখেন, মশা মারার অর্থ কাদের পকেটে গেছে, কাদের পকেটে যায়? তিনি যোগ করেন, গণপূর্তের বহুল আলোচিত ‘বালিশ প্রকল্পের’ টাকা ভাগাভাগির পাঁয়তারা করা হয়। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী আবার বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে এই অভিযানে দল ও পরিবারের কেউ পার পাবে না। 

কথায় বলে—‘যত গর্জে তত বর্ষে না’। এই শুদ্ধি অভিযানকে যদি বর্ষণের সঙ্গেও তুলনা করা হয়, তাহলেও এই অভিযানকে বাস্তবের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যায়িত করা হয়। এ ছিল নিছক পর্বতের মূষিক প্রসব। দেশে ব্যাংক, শেয়ারবাজার, মেগা প্রকল্প থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে গত এক দশকে। বিভিন্ন সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হলেও সেটা সরকার প্রকাশও করেনি, কিংবা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বরং সময়ে সময়ে আমরা দেখেছি, আইন পরিবর্তন করে বড় বড় ঋণখেলাপি, জালিয়াত, টাকা পাচারকারীকে নানারকম সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এমনকি সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী অর্থনীতিবিদরাও বিভিন্ন সময়ে বলতে বাধ্য হয়েছেন, এই সরকার ‘ঋণখেলাপিবান্ধব সরকার’। আজ যখন তথাকথিত শুদ্ধি অভিযানের কথা বলা হচ্ছে, তখন এই বিশাল লুটপাটের কোনোটির ক্ষেত্রে এমনকি লোক দেখানো কোনও চেষ্টাও চোখে পড়ে না। 

রাশেদ খান মেননের কথার সূত্র ধরে তাই প্রশ্ন উঠতেই পারে, কাদের আড়াল করতে, কাদের লুটপাটকে নির্বিঘ্ন রাখতে এই শুদ্ধি অভিযান। এই অভিযানের শুরুতেই এক জাতীয় দৈনিকে আমি লিখেছিলাম, শুদ্ধি অভিযান শুদ্ধ করেনি, করেছে উন্মোচন। এই অভিযান আমাদের দেখিয়েছে—কী করে সরকারের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের তৃতীয় বা চতুর্থ স্তরের পদে থেকেও হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়। দেশে-বিদেশে অবিশ্বাস্য সম্পদের পাহাড় তৈরি করা যায়। এই হাজার কোটি টাকা তো একদিনে কিংবা একা করা সম্ভব না। সরকারের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া একজন সম্রাট, জি কে শামীম, সেলিম প্রধান, খালেদ মাহমুদ তৈরি হয় না। ঠিক তেমনি বেছে বেছে দুই একজন চুনোপুঁটি ধরে বিচারের নামে প্রহসন করলেই শুদ্ধি অভিযান হয় না। স্তরে স্তরে বসে যারা একেকজন দানব তৈরি করে এবং নিজেদের স্বার্থে তাদের লালন পালন করে টিকিয়ে রাখে তাদের না ধরলে এসব কিছুই অর্থহীন। 

আলোচিত ঘটনাগুলো থেকেই কতগুলো স্ন্যাপশট দেখে নেওয়া যাক পরপর–একেবারেই চ্যালেঞ্জবিহীন একটি মহাশক্তিধর সরকার দোর্দণ্ড প্রতাপে আর দম্ভে দেশ চালাচ্ছে। বছরের পর বছর পুরো দেশটাকে এমনভাবে লুটপাট করছে, যেমন লুটপাট ঔপনিবেশিক শাসকরাও করেনি। অথচ বর্তমান সরকার তাদের বিরোধী মতকে বাগে রাখতে মানুষকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটাচ্ছে, বিচারবহির্ভূত খুন করছে, গুম করছে। হঠাৎ গৃহদাহ—জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি দলের দুই পক্ষ ছাত্রলীগ আর ভিসি বখরা দাবি আর লুটপাটের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে প্রকাশ্যে জড়িয়ে পড়লো। ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কৃত হলেন। শুরু হলো তথাকথিত শুদ্ধি অভিযান। শুদ্ধি অভিযান নিয়ে যুবলীগ প্রেসিডেন্টের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘আঙুল চোষা’ ও ‘রাজনীতিকীকরণে’র চেষ্টার অভিযোগ—ক্যাসিনো মূলহোতা সম্রাটের নিজ কার্যালয়ে শত শত কর্মীর পরিবেষ্টিত হয়ে শোডাউন, ‘ওপরের নির্দেশের’ অভাবে গ্রেফতার না হয়ে বহাল তবিয়তে থাকার অভিযোগ উঠলো। এরপর বিপর্যয়কর ভারত সফরের পরদিন কাকতালীয়ভাবে তাকে গ্রেফতারে ‘ওপরের নির্দেশ’ আসা—প্রধানমন্ত্রীর এক-এগারোর ইঙ্গিত, ব্যবস্থা নিয়ে সেটা হবে না মর্মে আশ্বস্ত করা। শেখ ফজলে নূর তাপসের হঠাৎ বোধোদয়—সম্রাট, বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি, বালিশ কাণ্ড এবং ওষুধের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হওয়া–সবশেষে রাশেদ খান মেননের মাঠে নামা এবং ঘোষণা দেওয়া, ‘প্রধানমন্ত্রীসহ আমাদের কাউকে জনগণ ভোট দেয়নি।’

স্ন্যাপশটগুলো মিলিয়ে দেখলে বোঝা যায়, এটি একটি হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এই হ-য-ব-র-ল সুকুমার রায়ের রম্য রচনা নয়, এটিকে বরং ব্যাখ্যা করে WB Yates-এর সেই বিখ্যাত কবিতার লাইনটি ‘Things fall apart; the centre cannot hold’। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া একের পর এক মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে সবকিছু কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পাপের বোঝা কি আজ এত বড় হয়ে গেছে যে, কেন্দ্র আর ধরে রাখতে পারছে না সেটা? নিজ পাপের ভারেই কি ভেঙে পড়ছে সবকিছু?

লেখক আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য। 

No comments:

Post a Comment