---------------------------------
— জাকারিয়া চৌধুরী
---------------------------------
শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এর ঐতিহাসিক ১৯ দফা কর্মসূচিতে ১০ নম্বরে বলা ছিল ‘সকল দেশবাসীর জন্য ন্যূনতম চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা’। অর্থাৎ দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা তিনি নিয়েছিলেন সেই প্রায় সাড়ে চার দশক আগে!সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি কয়েকটি কার্যকর উদ্যোগ হাতে নিয়ে ছিলেন। তিনি বেয়ারফুট ডাক্তার বা গ্রামডাক্তার কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। প্রতিটি গ্রামে সাধারণ মানুষ যাতে ন্যূনতম প্রাথমিক চিকিৎসা পায় তার জন্য লাখ লাখ গ্রাম ডাক্তার প্রশিক্ষণ ও পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করেন।
স্বাস্থ্য ক্যাডার প্রবর্তন করেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদার করেন। ইউনিসেফ-এর সহযোগিতায় শিশুদের ঘাতক ব্যাধি নির্মূলে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি ইপিআই প্রবর্তন করেন। ওরস্যালাইন বিতরণকে একটা সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিয়ে কলেরা-ডায়রিয়ার মহামারি রোধ করা হয় সেই সময়ে।
নার্স, মিডওয়াইফ ট্রেনিং এর ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রতি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র স্থাপন এবং প্রতি থানায় (এখন উপজেলা) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপন করেন। বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা হোমিও ও ইউনানি শিক্ষার ব্যবস্থা প্রসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। প্যারামেডিক্স ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ জোরদার করেন। নতুন হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন, বেড বৃদ্ধি, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংযোজন করেন। জনস্বাস্থ্য, চিকিৎসা সেবাকে গুরুত্ব দিতে ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও এম এ মতিনের মতন লোকদের রাষ্ট্রক্ষমতা ও নীতিনির্ধারণের শীর্ষস্তরে নিয়ে আসা।
এই কথা আজ নিশ্চিত বলা যায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভিত্তি তিনি শক্তিশালীভাবে স্থাপন করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল প্রতিটি নাগরিকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা। জিয়াউর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে সেই অভিযাত্রাকে থামিয়ে দেয়া হয়।
কোভিড নাইনটিন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার চরম দূর্বলতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে যাচ্ছে। শহীদ জিয়ার অভাব অনুভব করছি।
- লেখক চিকিতসক ও ব্লগার।
No comments:
Post a Comment