---------------------------------
মারুফ কামাল খান
---------------------------------
রাষ্ট্রপরিচালনা, রাজনীতি, সাংবাদিকতা এগুলো অনেক বড় মাপের মহৎ কাজ। খুব ছোট ও নিকৃষ্ট মনের মানুষদের এসব কাজ সাজে না। খুব ক্ষোভের সঙ্গে কথাগুলো বলছি। মাথায় ঘুরছে এক জ্বলন্ত প্রশ্ন: রুচি, শোভনীয়তা সবই কি শেষ হয়ে গেলো এদেশ থেকে?
|
আসল রিপোর্ট
|
খালেদা জিয়া কে তা বিস্তারিত বলবার দরকার নেই। তাঁর মতন একজন প্রবীণ মানুষ গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার আবেদন আইনের মিথ্যে অজুহাতে এবং রেওয়াজ নেই বলে ভুল তথ্য দিয়ে খারিজ করা হয়েছে। অথচ অনৈতিক এই সরকারের পদস্থ লোকদের অনুকূল বিবেচনার আশ্বাস পেয়েই এ দরখাস্ত করা হয়েছিল বলেই জেনেছি। দরখাস্ত হাতে পেয়ে বিশ্বাসভঙ্গ করে উলটো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। বলার কিছু নেই। যারা যে স্ট্যান্ডার্ডের লোক তাদের কাছ থেকে তেমন সিদ্ধান্তই আসা স্বাভাবিক।আরো জানলাম, দরখাস্তের সঙ্গে চিকিৎসাধীন ম্যাডাম খালেদা জিয়ার যে ছবিগুলো সরকারের কাছে জমা দেয়া হয়েছিল সেই ছবিগুলো এখন ফেসবুকে ঘুরছে। পাব্লিক ডোমেইনে এমন ছবি দেয়া অনুচিত। অথচ তারা সে ছবিগুলো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। রুচিহীন, সংকীর্ণ ও মানবিক মূল্যবোধ বর্জিত লোক ছাড়া আর কেউ এমন করতে পারেনা।
|
এডিটেড ফেইক রিপোর্ট |
আর সব শেষে ওরা এই পবিত্র রমজান মাসে গুরুতর অসুস্থ মানুষকে হেয় করতে যে জঘণ্য জালিয়াতি করে কুৎসিত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে তার নিন্দে করার ভাষা নেই। তৃতীয় দফায় বেগম জিয়ার কোভিড নাইনটিন টেস্টের ল্যাব রিপোর্ট এডিট করে সেখানে জন্মতারিখ পালটে দিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। একজন অসুস্থ মানুষকে নিয়ে নোংরা, কুরুচিপূর্ণ ও চরম অমানবিক এই জালিয়াতির প্রচারণায় সরকারের উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও সাংবাদিক নামধারী ওদের দলীয় প্রচারবিদেরাও নেমে পড়েছে। অথচ এ রিপোর্ট কেবল রোগ-নির্ণয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য কেবলই চিকিৎসকদের জন্য। সেটিকে বিকৃত করে মিথ্যাপ্রচারের উপকরণে পরিণত করা হয়েছে। এডিট করা ফেইক রিপোর্ট ও অরিজিন্যাল রিপোর্ট পাশপাশি দিয়েছি। দেখে মিলিয়ে নিন। বুঝুন কত ঘৃণিত মানুষ এরা!এদেরকে ধিক্কার জানাতেও ঘৃণা হয়। কিন্তু বেদনার সঙ্গে বলতে হয়, এই স্ট্যান্ডার্ডের প্রতারক লোকদের হাতে এখন দেশ! এ জাতির ললাটে আরো অনেক দুর্ভোগ আছে নিঃসন্দেহে!
- লেখক সাংবাদিক, বিশ্লেষক ও বিএনপির চেয়ারপার্সন এর সাবেক প্রেস সেক্রেটারি।
No comments:
Post a Comment