Search

Saturday, August 15, 2020

ঢাকাবাসির কেন বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা দরকার…

—  রেজাউল করিম রনি


একটা বিষয় খেয়াল করা দরকার। ঢাকার পরিবেশ করোনার সময়ে বরং  ভাল ছিল। এখন আবার আগের মতো হতে চলেছে। এই ঢাকার পরিবেশ এক সময় এমন ছিল, রাস্তায় বের হলে, চোখ জ্বলা শুরু হতো। প্রায় সবই ছিল, তেলে বা ডিজেলে চালিত যানবাহন। বিশেষ করে ছোট ছোট অটোতে ঢাকা ছেয়ে গিয়েছিল। ধোঁয়াতে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির রোগীদের আতঙ্ক হয়ে উঠেছিল- ঢাকা। ঢাকা হয়ে উঠেছিল- কালো ধোঁয়ার একটা দ্বিপ।  


২০০৪ সালে ঢাকা শহরে ব্যাপকহারে
পরিবেশ বান্ধব যানবাহন চালু হয়

আমি অনেক আওয়ামী মানসিকতার সাংবাদিকদের কাছ থেকেই পারসোনাল  আলাপে বলতে শুনেছি, বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিষয়টির ভয়াবহতা জানানো হলে তিনি, পরিবেশ বিষেশজ্ঞদের সাথে কথা বলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেন। তারেক রহমান’র উদ্যোগে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়কে দিয়ে ঢাকাতে ডিজেল চালিত যানের পরির্বতে সিএনজি চালিত পরিবহন ব্যবস্থা চালু করার ব্যবস্থা নেন এবং  তা বাস্তবায়ন করতে নানান রকম পদক্ষেপ নেয়া হয়। পরে বাসগুলোও কিছু কিছু সিএনজি চালিত হওয়া শুরু করে। খরচ কম হওয়াতে প্রাইভেট গাড়িগুলো গণহারে সিএনজি চালিত হতে শুরু করে। ২০০৪ সালের দিকে সিএনিজি চালিত যানবান চালুর জোয়ার শুরু হয়। 

ঢাকাতে যে পরিমান গাড়ি ও লোক বেড়েছে, এই উদ্যোগ না নিলে ঢাকা আরও আগেই হতো মৃত্যুপুরি। এখন, যেমন উন্নয়নের গজবে তলিয়ে যায়, তখন ধুকে ধুকে মরার মতো রোগির সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকতো। যদিও এখনও এই ঢাকা দুনিয়ার অন্যমত নিকৃষ্ট জায়গা। কিন্তু সেই উদ্যোগটা না নেয়া হলে, ঢাকা শশ্মানভূমি হয়ে থাকতো।  

তখন যারা সারাদিন রাস্তায় থাকতো হাচি-কাশির সাথে কালো ময়লা বের হতো। এখনও তেমন থাকলে - ঢাকার অবস্থা কি হতো কল্পনা করতেও ভয় লাগে। 

কিন্তু আজ এইসব কথা বলার কোন উপায় নাই। এই দেশকে যারা গোরস্থান বানাতে চায়। যারা ভয়ের সংষ্কৃতি দিয়ে সব অর্জন নিজেদের করে নিতে চায়। যারা মিথ্যাকেই একমাত্র সত্য হিসেবে চর্চার পথ পরিস্কার রেখেছে তাদের সব কুকর্মও আজ মহান ইতিহাস হিসেবে চর্চা করা হয়। অথচ পলিথিন নিষিদ্ধসহ এই বিরাট উপাকারটি যে দলটি করলো, যেই নেত্রীর হাতে এই বিষয়টি কার্যকর হলো তার প্রতি কোন মনোযোগ নাই। আর তারেক রহমানের নাম নিলে তো ওদের গায়ে মনে হয় ফোস্কা উঠে। বরং এই দরকারী উদ্যোগে তারেক রহমান যুক্ত থাকার বিষয়টি নিয়ে লীগ ও তাদের পোষ্য মিডিয়া রসগল্প রচনা করেছে। তার পরেও তিনি কোন কথা বলেন নাই। নিজের নাম জাহির করার জন্য মিডিয়াকে ব্যবহার করেন নাই। মিথ্যা রটনারও প্রতিবাদ করেন নাই।  উনার কাজ উনি করে গেছেন। 

অন্যদিকে যে, বামরা পরিবেশ রক্ষার নামে সক্রিয় থাকে আর লীগের স্বার্থ ছাড়া আর কিছু রক্ষা করার যোগ্যতা রাখে না, তারাই  বিএনপির নাম মুখে আনাকে একটা চেতনা ও প্রগতীবিরোধী ব্যপার মনে করে।

তাদের কারণেই দেশে এমন অবস্থা হয়েছে যে, লীগের নাম নিলে সেটা হয়, ইতিহাস চর্চা। আর বিএনপি নাম নিলে সেটা হয়, দেশবিরোধী বা অ-ইতিহাসসুলভ ব্যাপার। এই যে দৃষ্টিভঙ্গিটা, এটা মিডিয়াও ফলো করে এবং ইতিহাসের দখল যার, ক্ষমতাও তার। তাই এই ফ্যাসিবাদ এতোটা আহ্লাদ নিয়ে আরামে টিকে থাকতে পারে। এটার জন্য দায়ি আমাদের  ইতিহাসের আওয়মী করণ। যা আমাদের দেশের মূলধারার মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবীরা জারি করেছে।    

কোন লোক স্বীকার না করলেও এই অবদান সদকায়ে জারিয়া হিসেবে থেকে যাবে। এর উপকারিতা জনগন পাচ্ছে। মানুষ না বললেও এই অবদান থেকে যাবে বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে। 

জুলুমের কালে, খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্যা ও দীর্ঘ জীবন কামনা করি।


No comments:

Post a Comment