— রোকেয়া গাজী লিনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এর সামনে হামলার শিকার ঢাবি শিক্ষার্থী রোকেয়া গাজী লিনা জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক ফেসবুকে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছে দিয়েছেন।
নিচে তার স্ট্যাটাসটির পূর্ণপাঠ তুলে দেয়া হলো —
শনিবার, জুলাই ১৪, ২০১৮
বিকেল ৫টা ৩০
আমি আর আমার বন্ধু আসাদ রিকশার জন্য সূর্য সেন হলমূখী রোড থেকে সামনে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এর বিল্ডিং গেট এর দিকে যাচ্ছি। ঠিক তখন সামনে থেকে আগত ১০/১২ জন ছেলে আমাদের পথ আটকায়। হকচকিয়ে গেলেও আমরা দাঁড়ালাম। প্রথমে একটা ছেলে ক্ষিপ্র ভংগিতে এসে জানতে চাইলো আমরা এই ক্যাম্পাসের কিনা। বললাম হ্যাঁ আমরা দুজনেই ক্যাম্পাসের।
আসাদ কে তখন বলল কোন ইয়ার তুই,কোন হল এ থাকিস? আমি বললাম আমরা অর্থনীতি ৩য় বর্ষের। ইভেন আমি আমার হল আইডি কার্ড দেখিয়ে বললাম ভদ্রভাবে কথা বলো। কোনো তোয়াক্কা না করেই আবারো আসাদ কে বলল তুই কোন হল এর। আইডি কার্ড দেখা।
আসাদ পোলাইটলি জানতে চাইল তোমরা কোন ইয়ার, কোন হল, কেন চার্জ করছো এভাবে?
তারা নিরুত্তর এবং মারমুখী ছিল তখন।
আসাদ আইডি কার্ডটা দেখানোর পর আইডি কার্ডটা দিয়েই ছেলেটা বলল, "প্রথম বর্ষের ছেলে কি তোরে চার্জ করতে পারে না? ১ম বর্ষের পোলাপানের হাতে মাইর খাইতে খুব মজা লাগব", বলেই ঠাস করে আসাদ কে থাপ্পড় মারে। আমি যখন জানতে চাই কি করলে এটা তখন বাকিরাও চড়াও হয় এবং আমাকে সহ হ্যারাস করে ফেরাতে গেলে।
যখন আসাদকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকে আমি আমার এক পরিচিত বন্ধুকে বলি আসতে। আমাদের অপরিচিত কয়েকটা ছেলে আক্রমণ করছে।
প্রশ্ন থাকতে পারে প্রক্টোরিয়াল টিম কে কেনো কল দিলাম না। প্রথমত আমার কাছে নাম্বার ছিল না। আর তারা তখনই খুব জোরে হেঁটে সূর্য সেন হল এর গেট এর ভিতরে চলে যায়।
আর আমরা ঘটনার আকস্মিকতায় মেন্টালি শকড ছিলাম। আসাদ তাদের পেছন পেছন হল গেট এর ভিতর এ গিয়ে যখন জানতে চাইলো, "আমি এই ক্যাম্পাসের পরিচয় দেয়ার পর, আইডি কার্ড দেখানোর পর ও আমাদের গায়ে কেনো হাত তুললে তোমরা?
তখন তারা মোটেই অনুতপ্ত না হয়ে বলছে, "তুই হল এর ভিতরে আসলি কেন আবার?"
আসাদকে আবার মারতে আসে। তখন ওরা ১৫-২০জন। অনেক মানুষ-ই ছিল। মজা নিচ্ছিল না ঘটনার আকস্মিকতায় তারাও চুপ জানিনা! আমি তখন আসাদকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সময় ওরা গেস্ট রুম থেকে স্ট্যাম্প, কাঠ নিয়ে আসে মারতে। আসাদ এর মাথায়, মুখে, কঁঁাধে, পায়ে সমস্ত শরীরে আঘাত করা হয়েছে।
আমি বাধা দিতে যাওয়ায় আমার গায়েও লাঠির আঘাত, তাদের জোরাজুরি আসাদকে আলাদাভাবে নিয়ে মারার জন্য। আমার পায়ে জুতা দিয়ে পিষে দেয়ায় আমার নখ উঠে গেছে। ব্লিডিং হচ্ছিল।
তখন ও তারা থামে নাই। এফবিএস, সূর্য সেন ক্যাফেটেরিয়া এই তিন রাস্তার মোড়ে এসে আসাদ এর হল এর কিছু পরিচিত মানুষ জন আসতে দেখায় তারা চলে যায় কিন্তু ফিরে আবার মারমুখী হয়ে হুমকি দেয়।
আমরা দুজনেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। নিজের ক্যাম্পাসে এরকম #শারীরীক #মানসিক #হ্যারাসমেন্ট #হামলার শিকার হব সেটা মেনে নেয়া অসম্ভব।
আজকে পরিচয়পত্র দেখানোর পর তাদের সিনিয়র জানার পরও হ্যারাস করল।
আমার যে জুনিয়র বোন বা ভাই মাত্রই ক্যাম্পাসে আসল তাদের নিরাপত্তা কি তাহলে? আমার ক্যাম্পাসে আমি অতর্কিত হামলার শিকার হব কেনো?
আমরা সূর্য সেন হল এর প্রভোস্ট স্যার এর সাথে কথা বলেছি। স্যার আমাদেরকে আগামিকাল লিখিত দিতে বলেছেন। এবং প্রক্টোরিয়াল টিম ও আমাদের ন্যায্যবিচার এর আশ্বাস দিয়েছেন এই পর্যন্ত। আমরা লিখিত দিব।
আসাদ এর শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো না। আমার পায়ে ড্রেসিং করতে হয়েছে। মাথা আর ঘাড় এ প্রচণ্ড ব্যথা।
অনেকের অনেক প্রশ্ন মনে জাগছে বা বিষয়টার সাথে অন্য কোনো কিছু যুক্ত কিনা জানতে চাইছে। #i_am_clearing_on_this_point
আমাদের যারা চিনেন তারা নির্দ্বিধায় বলতে পারবেন আমাদের এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কিছুর সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাদের অসম্মান করা হয়েছে. We have enough respectable and clean image on our university campus to our senior and junior classmates. So, it was just unexpected attack from some morally destroyed boys.
নিজ মুখে নিজ ক্যাম্পাসের ভয়াল বিভীষিকাময় ঘটনার কথা বর্ণনা করতে যেয়ে আজ আমি ঢাবিয়ান বলতেই এক অসামান্য লজ্জায় কুঁকড়ে যাচ্ছি।
I AM IN TRAUMA. BUT I HOPE FOR JUSTICE BY LEGAL APPROACH. ONLY THEN I WILL TAKE BREATHE IN PEACE. IT'S NOW A QUESTION OF DHAKA UNIVERSITY'S SELF RESPECT. NO ONE CAN DENY THAT.
#justice #no_harrasement_in_campus #never_again
সম্পাদিত।
- সূত্র — https://bit.ly/2mjpmdJ
No comments:
Post a Comment