Search

Sunday, July 8, 2018

নির্বাচন কমিশন এখন সরকারের দাস - মাহমুদুর রহমান

অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান বর্তমান সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সম্ভব হবে না ব‌লে মন্তব্য ক‌রে‌ছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। আর এজন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য নিজ নিজ এলাকায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার ডাক দিয়েছেন তিনি। 

মান্না বলেন, নির্বাচন কমিশন তো এখন সরকারের দাস। খুলনায় যে নির্বাচন হয়েছে তার ফলাফল দেখেছেন। মৃত ব্যক্তি ভোট দিয়ে চলে যায়! বোঝেন তাহলে কি রকম নির্বাচন হয়েছে? গাজীপুরে কী হয়েছে আপনারা দেখেছেন।

শ‌নিবার, ৭ জুলাই, জাতীয় প্রেসক্লাবে “নতুন রাজনৈতিক দল, গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন বিকাশে নির্বাচন কমিশন ও সরকারই প্রধান বাধা” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

মান্না বলেন, ‘সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কালো আইন ৯০ বি ধারা বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। বর্তমান অবৈধ সরকারের আইন আমরা মানি না।’ 

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের আইন নেই। ৯০ বি ধারা বাতিল হওয়া প্রয়োজন। আমি আপনাদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।’ ছাত্রলীগের গুণ্ডা বাহিনী দ্বারা সরকার কোটাবিরোধী আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি। 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বর্তমান সরকার কোনও রাজনৈতিক দল যাতে গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য যত ধরনের আইন করা দরকার তা করবে। নির্বাচনের পূর্বে ভোটারের অগ্রীম স্বাক্ষর প্রমাণ করে কোনও দল বা ব্যক্তি যাতে করে নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারে। উক্ত স্বাক্ষর সংবিধান পরিপন্থি।’ 

বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধপূর্ব নির্বাচিত ও স্বাধীনতাযুদ্ধে মূল নেতৃত্বদানকারী দলটিই স্বাধীন রাষ্ট্রে সরকার গঠন করার পর প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর একটি সংসদ এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা জাতিকে উপহার দিয়েছে। ৭৫’র পরবর্তীকালে কাগজে-কলমে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা চালু হল বটে, কিন্তু সরকার বিরোধী দল ও মতকে সহজভাবে গ্রহণ করা হল না এবং প্রহসনমূলক নির্বাচন ব্যবস্থাও অব্যাহত থাকল।

বক্তারা আরও বলেন, রাজনীতির প্রতি বিতশ্রদ্ধ ১/১১’র সেনা সমর্থিত অরাজনৈতিক সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে মারমুখী অবস্থান নিয়ে প্রথমদিকে জনগণের কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছিল। কিন্তু তাদের মাথায় ক্ষমতায় স্থায়ী হওয়ার সাধ জেগে ওঠায় তারা দুই নেত্রীকে দেশান্তরী করার মাধ্যমে মাইনাস-টু ফর্মুলা কার্যকরের দূরভিসন্ধিমূলক প্রচেষ্টা চালাতে শুরু করে। এতে দুই নেত্রীর প্রতি গড়ে উঠা গণঅসন্তোষ গণসহমর্মিতায় রূপ নেয়।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডাকসু’র সাবেক জি.এস ও বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মুস্তাক হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক,লেখক ও কলামিস্ট ড. ইসা মোহাম্মদ, সাবেক এম.পি, এড. তাসমিন রানা, পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের সভাপতি খাজা মহিব উল্লাহ শান্তিপুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এড. কাজী রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ দেশপ্রেমিক পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ডা. গোলাম মোর্শেদ হাওলাদার ও রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান আবু হানিফ হৃদয় প্রমুখ।

  • কার্টসিঃ ব্রে‌কিং‌নিউজ বিডি/ জুলাই ৮,২০১৮ 

No comments:

Post a Comment