Search

Saturday, November 17, 2018

বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি কতিপয় সুপারিশ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের করণীয় নিয়ে বেশ কিছু সুপারিশ উত্থাপন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের থিংক ট্যাংক টম ল্যান্টোস হিউম্যান রাইটস কমিশনে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এই সংকটে ভূমিকা আছে কংগ্রেসের। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক জন সিফটন কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছেন। ১৫ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের টম ল্যান্টোস হিউম্যান রাইটস কমিশনে বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে এক শুনানি হয়। তাতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন জন সিফটন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও সঙ্কটময়। তাই চিঠির মাধ্যমে হোক, একপক্ষীয় উপায়ে হোক বা অন্য যেকোনো পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা উচিত কংগ্রেস সদস্যদের। তাতে বাংলাদেশকে জানানো উচিত, তারা বাংলাদেশে দমনপীড়ন নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

তার চেয়েও বড় কথা হলো, বাংলাদেশ সরকারকে আরো পরিষ্কার করে বলে দিতে হবে, তারা যদি ব্যাপক আকারে মানবাধিকারের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন অব্যাহত রাখে তাহলে কংগ্রেসের আর কোনো বিকল্প সুযোগ থাকবে না। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সেনাবাহিনী-সেনাবাহিনীর ভবিষ্যত সম্পর্ক ও সহযোগিতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও নতুন শাস্তি আরোপ করার আশঙ্কা আছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা যে মানবাধিকার ভয়াবহভাবে লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রিপোর্ট দিয়েছে, তা কংগ্রেস সদস্যদের বিবেচনায় নেয়া উচিত। গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি অ্যাক্টের অধীনে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও অর্থমন্ত্রণালয়কে তাদের কর্তৃত্ব ব্যবহার করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে টার্গেটেড অর্থনৈতিক অবরোধ (স্যাংশন) আরোপ করার আহ্বান জানান জন সিফটন। তিনি আরো বলেন, এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভ্রমণ ও ব্যাংকিং খাতেও বিধিনিষেধ দেয়ার আহ্বান জানাতে হবে। এক্ষেত্রে একই রকম পদক্ষেপ নিতে অন্য দেশগুলো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। 



জন সিফটন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও সঙ্কটময়। দেশটির বর্তমান সমস্যা বুঝতে হলে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা দ্রুততার সঙ্গে পর্যালোচনা করতে হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় রয়েছেন ২০০৯ সাল থেকে। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে। ওই নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু এটা হয়েছে শুধু তখনই, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বর্জন করার পর। নির্বাচনের আগে বিরোধীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে। তারা চেয়েছিল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। কিন্তু তাদের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন হাসিনা। এর ফলে তারা নির্বাচন বর্জন করে। ফলে জাতীয় সংসদের অর্ধেক আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় আওয়ামী লীগ। তারপর থেকে দেশটি কার্যত একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। 

আরো একবার এ বছর ৩০শে ডিসেম্বর জাতীয় সংসদম নির্বাচন। আবারো নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিরোধীদলীয় দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। তবে এবার বিরোধী দলগুলো নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। তারা নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের আহ্বান জানাচ্ছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে। তবে সরকার তাতেও রাজি হচ্ছে না। 

নির্বাচন যে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে হবে এমনটা চিন্তাভাবনা করার কোনো কারণ নেই। গত বছরে কর্তৃপক্ষ বিরোধীদলীয় অনেক সিনিয়র নেতাকে আটক করেছে অথবা জেল দেয়া হয়েছে। বিরোধীদলীয় হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছে। মিডিয়া ও নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড আছে তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিদেশি তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তার পরিপ্রক্ষিতে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো রয়েছে চাপে। সরকারের বিরুদ্ধে যেকোনো সমালোচনা থামিয়ে দিতে সাংবাদিকদের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের খবর পাওয়া গেছে। 

দমনপীড়ন সম্পর্কে জন সিফটন বলেন, বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে জেলে। দীর্ঘদিনের দুর্নীতির মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফেব্রুয়ারিতে তাকে জেল দিয়েছে সরকার। বিরোধীদলীয় সমর্থকরা মনে করেন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক এজেন্ডা। খালেদা জিয়ার সমর্থকরা যুক্তি দেখান, অনেক বছর আগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দুর্নীতির মামলা করেছিল সেনা সমর্থিত সরকার। সেটা ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগের ঘটনা। এ ছাড়া বিগত সরকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছিল। আওয়ামী লীগ যখন ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে তখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। কিন্তু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকে। 

দমনপীড়ন খালেদা জিয়ার আটকের চেয়েও বেশি কিছু। সরকার সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরোধী দলীয়  কয়েক হাজার সিনিয়র নেতা ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ এনেছে। বিএনপির অভিযোগ, নতুন কমপক্ষে ৫০০০ গ্রেপ্তারের তথ্যপ্রমাণ আছে তাদের কাছে। গ্রেপ্তারের বাইরেও আদালতের ডকুমেন্টে এমন ব্যক্তিদের সংখ্যা এতটাই বেশি, কিছু মিডিয়া দেখতে পেয়েছে ওই তালিকায় এমন সব নাম আছে যারা মৃত অথবা অসুস্থতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন এবং তারা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মোট কত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা জানা অসম্ভব। তবে দৃশ্যত তা ব্যাপক। দেশের জেলখানাগুলোতে আসামির সংখ্যা বেড়ে গেছে। সেপ্টেম্বর থেকে নতুন জেলবন্দির সংখ্যা এখন ১৪ হাজারের ওপরে। এর ফলে বলা যায়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দমনপীড়নের কারণে কারাবন্দিদের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে। এতে মনে হয়, গত দু-এক মাসে হাজার হাজার মানুষকে ধরা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। 

তবে সব কারাবন্দিকেই সরকারি জেলখানায় নাও রাখা হতে পারে। বিরোধীদলীয় বহু সংখ্যক সমর্থককে সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস আটক রাখা হয়েছে। আটক রাখা হয়েছে অজ্ঞাত স্থানে। বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জামায়াতে ইসলামির দু’জন নেতার ছেলে আহমাদ বিন কাসেম ও আবদুল্লাহি আজমান আজমী। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিএনপির ১৯ জন সমর্থকের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি প্রামাণ্য হিসেবে উপস্থাপন করছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। যারা এর প্রত্যক্ষদর্শী তারা বলেছেন, এসব মানুষকে আটক করেছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। এ ছাড়া আরো বাড়তি ঘটনা থাকতে পারে। 

জন সিফটন আতঙ্কের পরিবেশ অংশে লিখেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে বর্ণনা করতে গিয়ে বেশির ভাগ মানুষই যে শব্দটি ব্যবহার করেন তা হলো আতঙ্কজনক। বিরোধীদলীয় একজন নেতা বলেছেন, হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। তারা কোথায় আমরা জানি না। একটি পত্রিকার সম্পাদক তার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে। তিনি বলেছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি আতঙ্ক, সংশয়, উত্তেজনা ও হুমকির অভিজ্ঞতা অনুধাবন করেন। আরেকজন সম্পাদক ‘আমাদের বলেছেন আতঙ্কের সংস্কৃতি ও আতঙ্কের পরিবেশ’ বিষয়ে। তিনি আরো স্বীকার করেছেন সেলফ সেন্সরশিফ চর্চার কথা। হাতে থাকা সব রিপোর্টই কি প্রকাশ করা উচিত কিনা এ বিষয়ে তার ভাষায় ‘একজন সম্পাদক হিসেবে আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ভীতি প্রদর্শন থেকে আমার প্রতিবেদকদের বাঁচাতে পারবো না আমি।’ 

জন সিফটন আরো বলেন, নাগরিক সমাজের মধ্যেও আপনি আতঙ্ক দেখতে পাবেন। একজন বলেছেন, তারা অনেক কট্টর (এক্সট্রিম) হয়ে উঠেছে। তারা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমার বন্ধু ও পরিবার আতঙ্কে আছে যে, আরো হামলা হতে পারে। আরেকজন বলেছেন, আমরা একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি। তিনি আরো বলেছেন, এখানে কোনো মানবাধিকার নেই। গণতান্ত্রিক জায়গা নেই। 

অনেক মানুষ পূর্বাভাস করেছেন আসন্ন নির্বাচন নিয়ে। তারা বলেছেন, ডিসেম্বরের এই নির্বাচন হতে পারে জালিয়াতির। তাতে সুবিধা পেতে পারে আওয়ামী লীগ। বিএনপির প্রতিবাদ বিক্ষোভের ফলে দেখা দিতে পারে ব্যাপক সহিংসতা। 

জন সিফটন বলেন, রাজনৈতিক কোনো গ্রুপের দ্বারা যেকোনো এবং সব রকমের সহিংসতার নিন্দা জানাই আমরা। প্রতিবাদ বিক্ষোভকালে বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই সহিংস আচরণে যুক্ত না হতে। তবে নিরাপত্তা রক্ষাকারী ও আওয়ামী লীগ পন্থি গ্রুপগুলোর অতিমাত্রায় সহিংসতার বিষয়ে আমাদের বড় রকমের উদ্বেগ আছে। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে ‘এক্সট্রাঅর্ডিনারি’ নৃশংসতার বহু ঘটনা প্রামাণ্য আকারে উপস্থাপন করেছে হিউম্যান রাইট ওয়াচ। এ বছর জুলাইয়ে ঢাকায় দু’জন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর হাজার হাজার স্কুলগামী শিক্ষার্থী নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ করে। এ সময় তাদের ওপর যে দমনপীড়ন হয়েছে সে সময়কার নৃশংসতা আমরা দেখেছি বলে মন্তব্য করেন জন সিফটন। তারা ক্রমাগত জনসমর্থন পাচ্ছে এবং তাদের সমর্থন দিচ্ছে বিরোধীরা এমন আশঙ্কায় আওয়ামী লীগের যুব শাখা ওই বিক্ষোভকারীদের ওপর চাপাতি ও লাঠিসহ আক্রমণ চালায়। 
প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকরা রিপোর্ট করেছেন, স্কুল শিক্ষার্থীদের ওপর যখন আওয়ামী লীগের সমর্থকরা হামলা চালায়। তখন অনেক স্থানেই পুলিশ ছিল দাঁড়িয়ে। হামলাকারীদের অনেকে ছিলেন হেলমেট পরা। পরিচয় লুকানোর জন্য তারা এসব পরেছিলেন। হামলার এ দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। তাতে অনেককে চিহ্নিত করা গেছে। এ হামলা ও শিক্ষার্থীদের ওপর দমনপীড়নের বিষয় যারা প্রামাণ্য আকারে ধারণ করেছিলেন এবং সমালোচনা করেছিলেন তার মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক শহিদুল আলম। তার এ কাজে দৃশ্যত ক্ষুব্ধ হয়েছে সরকার। সরকারের কর্মকাণ্ডেড় বিষয়ে তিনি আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে। তবে সরকার তাকে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে যায়। আদালতে শহিদুল আলম বলেছেন, তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে প্রহার করা হয়েছে। ওই বিক্ষোভ প্রতিবাদ কভার করছিলেন এমন আরো অনেক সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। 

জন সিফটন মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে এসেছে সরকার মানবাধিকারবিষয়ক গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে দমনপীড়ন তত কড়া করেছে। বিদেশি উৎস থেকে অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেছে অধিকার-এর। আরেকটি অধিকারবিষয়ক গ্রুপ সুজনও সম্প্রতি হয়রান ও তদন্তের শিকার হয়েছে। মিডিয়ার ক্ষেত্রে সরকারের আরো একটি নতুন আইন নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এ আইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মারাত্মক খর্ব হতে পারে। সেপ্টেম্বরে সরকার এই আইন পাস করে। এর নাম দেয়া হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এর উদ্দেশ্যই হলো সব ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে মনিটর করা। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধের আওতায় নেয়ার মতো আইসিটি আইনের মতো একই রকম বিধান আছে এতে। সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়ায় মন্তব্যের জন্য এরই মধ্যে আইসিটি আইনের অধীনে কয়েক শ মানুষ অভিযোগের মুখোমুখি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জন সিফটন বলেছেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পরিণতি নিয়ে আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ কয়েক শ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। সম্ভবত এটা প্রদর্শন করা হচ্ছে নির্বাচনকে সামনে রেখে। মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের জন্য অনিরাপদ। তারা সবাই তাদের বাড়িতে যেতে পারবেন না। তাদের যেতে হবে ট্রানজিট ক্যাম্পে, যা বেড়া দিয়ে ঘেরা। সেখানে তারা চলাচলের কোনো স্বাধীনতা পাবেন না। পাবেন না সামাজিক ও অর্থনৈতিক কোনো সুযোগ। 

  • সূত্র — মানবজমিন। লিঙ্ক — https://bit.ly/2Pw3Nb3 

No comments:

Post a Comment