সাতক্ষীরার সদর উপজেলায় গতকাল শনিবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকেলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পুলিশ বলছে, এ দুজন আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সদস্য ছিলেন।
নিহত দুজন হলেন কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৪৫) ও সদর উপজেলার বাঁশদাহ গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৪১)।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুফ আহমেদের ভাষ্য, মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ ও দেলোয়ার হোসেনকে গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে বাঁশদাহ এলাকা থেকে দুই কেজি গাঁজা, ১৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হয়। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁরা স্বীকার করেন, আন্তর্জাতিক মাদক দলের সঙ্গে তাঁরা জড়িত। ভারত থেকে মাদক নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। গতকাল রাতেই তাঁদের একটি বড় চালান আসার কথা ভারত থেকে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাঁদের নিয়ে সীমান্তসংলগ্ন বাঁশদাহ এলাকায় কয়ারবিল এলাকায় যান। কয়ারবিল সেতুর পাশে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগে থেকে ওত পেতে থাকা মাদক চক্রের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এ সময় গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদ ও দেলোয়ার হোসেন পালানোর চেষ্টা করেন। গোলাগুলির একপর্যায়ে মাদক চক্রটি কয়ারবিলের পাটখেত থেকে হাওয়ালখালীর দিকে চলে যায়। পরে পুলিশ এলাকা তল্লাশি করে কয়ারবিলের বেড়িবাঁধের ওপর থেকে আবুল কালাম আজাদ ও দেলোয়ার হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। তাঁদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে তিন কেজি গাঁজা, ২০ বোতল ফেনসিডিল, একটি ওয়ান শুটারগান ও একটি গুলি পাওয়া যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ইকবাল মাহমুদ জানান, মৃত অবস্থায় দুজনকে আজ রোববার ভোর পাঁচটার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। একজনের কপালে ও একজনের গলায় গুলির চিহ্ন রয়েছে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। গুলি বিনিময়কালে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শেখ সুমন হাসান, মাজেদ আলী, কনস্টেবল তুহিন আক্তার, সোহেল মাহমুদ ও মহব্বত হোসেন আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
- Source: Prothom Alo /Jul 15, 2018
No comments:
Post a Comment