বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, সরকার নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতন করে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে। আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে-তারা হলো ছাত্রলীগ। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীদের আন্দোলনকে সর্বমহল ন্যায্য আন্দোলন বলে ঘোষণা দিয়েছিল। তরুণ তরুণী শিক্ষার্থীরা শাসক শ্রেণির চোখ খুলে দিয়েছিল বলেও প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু সরকার ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছে। অবিলম্বে আমরা আটককৃতদের মুক্তি দিয়ে ও আক্রমনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনার দাবি জানাচ্ছি।
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীদের দমন-নিপীড়ন, মামলা হামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতন করা অন্যায় কাজ। তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলে রেখেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীদের পুরস্কৃত না করে জেলে রাখা হয়েছে। এই আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। বিগত ৪৭ বছরে সরকার নিরাপদ সড়কের ব্যাপারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
বাংলাদেশের বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, কিশোর-কিশোরী ছেলে-মেয়েরা নিরাপদ সড়কের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অনেক লোক মারা যাচ্ছে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার তাদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেছে। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনকারীদের দাবি সরকার না মানায় আমি তীব্র নিন্দা জানাই। আমি অবিলম্বে সরকারকে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আহবান জানাই।
No comments:
Post a Comment