বন্দরে আওয়ামী লীগ নেতার বিড়াল মেরে ফেলার অভিযোগে এক দিনমজুরকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তির নাম মোস্তফা মিয়া (৫২)। বিড়াল কবুতর মেরে ফেলার পর বিড়াল মরে যাওয়ায় দিনমজুরকে আটকের চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ধামগড় ইউপি কামতাল গ্রামের খামপার এলাকায়। দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে বলে বিড়াল অন্যত্র নিয়ে ফেলে দেয়ায় হযরত আলী নামের কৃষকের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিড়াল মরে যাওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে পুলিশি হয়রানির সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার।
গ্রামবাসী জানান, ২/৩ মাস যাবৎ কয়েকটি পাগলা বিড়াল গ্রামের হাঁস-মুরগি ও কবুতর মেরে ফেলেছে। বিড়াল এসব ক্ষতি করে বলে মোস্তফা মিয়া একদিন বিড়াল মারার চেষ্টা করেছিল। শনিবার রাত থেকে হযরত আলীর বাড়ির পাশে একটি বিড়াল মরে পচে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। বিড়াল মরার পচা দুর্গন্ধে আশপাশের বাড়িতে বসবাস করা অযোগ্য হয়ে পড়ে। রোববার সকালে হযরত আলী বিড়ালটি অন্যত্রে নিয়ে ফেলে দেয়। এরপর পাশের গ্রাম চিড়ইপাড়া কলোনির মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন মৃত বিড়ালটি তার নিজের বলে দাবি করে। পরে তিনি কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে মৌখিক ভাবে বিড়াল মারার অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার সন্ধ্যায় এএসআই আমিরুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দিনমজুর মোস্তফাকে তার বাড়ি থেকে ধরে আনেন। এ সময় কৃষক হযরত আলীকে ধরে নিতে তার বাড়িতেও অভিযান চালায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোস্তফাকে ছেড়ে দিলেও পুলিশের ভয়ে বাড়িতে আসতে পারছে না কৃষক হযরত আলী। পুলিশ আতঙ্কে রয়েছে তার পরিবার। ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিড়াল মেরে ফেলার ঘটনাটি ইসমাইল আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। এবং মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। পরে মোস্তফা মিয়াকে ডেকে এনে উভয়কে মীমাংসা করে দেয়া হয়।
- কার্টসিঃ মানবজমিন/ আগস্ট ২৯,২০১৮
No comments:
Post a Comment