Search

Thursday, April 5, 2018

আগামী সংসদ নির্বাচন সহিংস প্রহসনে পর্যবসিত হতে পারে — আল জাজিরা



কাতারভিত্তিক প্রভাবশালী নিউজ চ্যানেল আল জাজিরা বুধবার, এপ্রিল ৪, এক লেখায় বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের চিত্র তুলে ধরেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যাপক সহিংসতায় প্রহসনে পর্যবসিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। 

লেখাটির বাংলা অনুবাদ নিচে তুলে ধরা হলো -   


শেখ হাসিনা কি বাংলাদেশকে একদলীয় রাষ্ট্র করছেন?

ফয়সল মাহমুদ

সাধারণ নির্বাচনের মাস কয়েকমাত্র হাতে থাকতে  আগে  বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কিতভাবে কারারুদ্ধ করা ও দেশে বিরোধীদের ওপর নির্যাতনে আশঙ্কা-উদ্বেগ বাড়ছে। হাসিনা সরকার বিরোধীদের ওপর পরিকল্পিত দমন-নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।  আশঙ্কা করা হচ্ছে  আগামী সংসদীয় নির্বাচন সহিংস প্রহসনে পর্যবসিত হবে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবারও ২০১৪-র নির্বাচনী প্রহসনের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। ঐ নির্বাচনে ধরতে গেলে প্রায় সকল বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করে। আর নির্বাচনী আয়োজনে ব্যাপক সহিংসতা ও নরহত্যার ঘটনা ঘটে। এ উদ্বেগ এখন বাংলাদেশে তুঙ্গে। শাসক আওয়ামী লীগ এখন তার বিরোধীদের ওপর পরিকল্পিত দমন ও নির্যাতনের অভিযোগের মোকাবেলা করছে।

রাজনৈতিক কর্মী ও সক্রিয়তাবাদীরা যারা এখন সরকার বিরোধী তাদেরকে  ক্রমাগত বর্ধিতহারে কারারুদ্ধ করার বা তারচেয়েও খারাপ  অবস্থা মোকাবেলা করতে হবার মতো ভীতি-আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। এ ভীতির মুখে সাধারণ মানুষের মনেও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে নির্বাচনের এ বছরে তাদের কপালে সামনে কী আছে এই ভেবে।

আগামী ডিসেম্বরের নির্ধারিত রয়েছে বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচন। এখন দেশে এমন একটি সরকার ও দল ক্ষমতায় রয়েছে যা মনে করে তারা কারও কাছে জবাবদিহি নয় যা গণতন্ত্রের জন্য এক বিপজ্জনক বার্তা।

একটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মচারী নাদিয়া তাবাসসুম খান আল-জাজিরাকে জানান, আওয়ামী লীগ গোটা বিরোধী মহলকে এই মাত্রায় দমন করে রেখেছে যাতে তাঁদের মনে হয় না কেউ আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সাহস পাবে।

ঢাকায় একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক হাসান হাবিব বলেন, ‘‘দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে শত্রুতাই ভোট অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে কার্যত অসম্ভব করে তুলেছে।   

বলপ্রয়োগে গুম, অপহরণ

বাংলাদেশের বিরোধীদল নেত্রী এবং দুইবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গতমাসে বিতর্কিতভাবে কারারুদ্ধ করার পর থেকে দেশের সরকার যে ক্রমেই স্বৈরশাসক গোষ্টীতে রূপান্তরিত হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ বাড়ছে। আর এ অভিযোগের মোকাবেলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বিরোধী নেত্রী বেগম জিয়াকে গত ৮ ফেব্র“য়ারি পাঁট বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি ট্রাস্টকে দেওয়া বিদেশী দানের অর্থ আত্নসাৎ করার জন্য এই সশ্রম সাজা দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র ও তাঁর উত্তরাধিকারী  তারেক রহমান ও আরও ৪ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  

এই মামলায় বেগম জিয়াকে জামিন মঞ্জুর করা হয় প্রায় মাসখানেক আগে। তবে  জামিন মঞ্জুরির সাতদিনের মধ্যেই  দেশের সর্বোচ্চ আদালত এইজামিন স্থগিত  করে দেয়। এজন্য আদালত কোনো কারণ দেখায়নি। আর তার ফলে সেই ৮ ফেব্র“য়ারি থেকেই এই সপ্ততিপর নেত্রী কারারুদ্ধ রয়েছেন।  তার জামিন আবেদনের প্রত্যাশিত শুনানি হতে পারছে না।

প্রথমে গ্রেপ্তার ও পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারারুদ্ধ রাখার বিষয়টিকে বিগম জিয়ার রাজনৈতিক দল বিএনপি  বিরোধী দলকে রাজনীতির বাইরে রাখার জন্য হাসিনা সরকারের চক্রান্ত বলে অভিহিত করেছে। এ কারণে বাংলাদেশের শহর-নগরে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনাঘটে। পুলিশ ও শাসক দলের লোকজনের সাথে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষ ঘটে।  

পুলিশের রেকর্ড থেকে জানা যায়, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলায় আদালতের রায়ের দিনে প্রায় ৩০০-র মতো দলনেতা ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ বছরের ফেব্র“য়ারি থেকে , ৩০০০-এরও বেশি বিরোধী দল সদস্যকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

হাসিনা ও বেগম জিয়া উভয়েই বাংলাদেশের সাবেক নেতাদের আত্নীয় ও এ দু’জন  দু’দশকেরও বেশি কাল ধরে দেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছেন বা ছিলেন। বস্তুতপক্ষে বাংলাদেশের এই দুই মহা শক্তিশালী ‘বেগম’ -এর মধ্যে নিদারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে দেশটি বছরের পর বছর  রয়েছে সহিংসতা ও অসন্তোষের কবলে।  

বিএনপি’র অভিযোগ হলো, ২০১৪ সালের পর থেকে এযাবত পুলিশ তাদের অর্ধ সহস্রাধিক সমর্থককে হত্যা এবং প্রায় ৭৫০ জনকে ‘‘গুম ও অপহরণ করেছে। আর তার পর তাদেরকে জেলে নিক্ষেপ করেছে।  দলটির দাবি অনুযায়ী, নিখোঁজ আনুমানিক আরও ১৫০ জন কর্মীকে বিচারবহির্ভুত বন্দুক লড়াইয়ে হয় হত্যা নয় বলপূর্বক গুম করা হয়েছে।

প্রধান এই বিরোধী দলটি বলছে তারা বেগম জিয়ার মামলায় রায় হবার পর থেকে এর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মপন্থা কী হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এই দলটি প্রধানত তাদের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে অসহিংস কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তবে এই দলকে এখনও কোনো রাজনৈতিক সমাবেশের অনুমতি সরকার না দেওয়ায় বিএনপি দলের অনেকেরই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ পালনের ব্যাপারে ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের ডিসেম্বরে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে তফসিল রয়েছে  সেই নির্বাচন ব্যাপক সহিংসতার হুমকির মুখে পড়েছে।

গেল সপ্তাহে জার্মান থিংক ট্যাংক বার্টলসম্যান ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায় বাংলাদেশ এখন একটি  স্বৈরশাসিত দেশ। এরকম তাদের তালিকা করা ১৩টি স্বৈর দেশের মধ্যে পাঁচটি দেশের তালিকার প্রথমে আছে স্বৈরশাসিত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম। বলা হয় , এই দেশগুলিতে গণতন্ত্রের ন্যুনতম মানও বজায় নেই।  

নির্বাচন নিয়ে সংশয়

বাংলাদেশের ভেতর-বাইরের সকল সমালোচকরা এখন একমত যে হাসিনা সরকার সম্পর্কে এধরনের ন্যাক্কারজনক মূল্যায়ন মোটও সুখপ্রদ নয় বিশেষ করে এ ধরনের রাষ্ট্র ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন’ পরিচালনা করলে কী হবে সেই আলোকে। ২০১৪ সালে হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদের মতো ক্ষমতায় ফিরে আসেন এক বিতর্কিত ও রক্তক্ষয়ী জাতীয় নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্য দিয়ে এবং সেই নির্বাচনবিএনপি বয়কট করে।  

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে হাসিনার বিরুদ্ধে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্য রাষ্ট্রের আইন প্রযোগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগকে ব্যবহারের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় স্তরের মানবাধিকার গ্র“পগুলি বিগত কয়েকবছরে বাংলাদেশের  অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি নানা প্রতিবেদন দিয়েছেন।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক)  জানাচ্ছে, ২০১০ সাল থেকে কমপক্ষে ৫১৯ ব্যক্তিকে বলপ্রয়োগে অপহরণ ও গুম করা হয়েছে। ৩০০ ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

এধরনের অপরাধের শিকার ব্যক্তির কন্য শবনম জামান বলেছেন, ‘‘৪ ডিসেম্বর থেকে তাঁর পিতা নিখোঁজ রয়েছেন।” শবনম জামানের বাবা কাতার ও ভিয়েতনামে দায়িত্বপালনকারী বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত। তাঁর নাম মারূফ জামান। তাঁর বিরুদ্ধে  অভিযোগ তিনি নাকি সরকার বিরোধী নানা পোষ্টগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছিলেন। তাঁকে ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় অপহরণকারীরা ধরে নিয়ে যায়। শবনম জামান আল-জাজিরাকে জানান, ‘‘ আমার বাবা কোন পরিস্থিতিতে উধাও হলেন তা জানার পর পুলিশ তাঁর বিষয়ে তদন্তই বন্ধ করে দেয়।”

এ বছরের ১৩ মার্চ ছাত্রদলের অন্যতম নেতা জাকির হোসেন পুলিশী হেফাজতে  অত্যাচারিত হবার পর হেফাজতেই মারা যায় বলে অভিযোগে প্রকাশ। 

হিউম্যানরাইটস ওয়াচ গত বছর এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশ সরকার গোপনে শত শত লোককে গ্রেপ্তার করেছে যাদের অধিকাংশই হাসিনা সরকারের বিরোধী সক্রিয়তাবাদী বা রাজানৈতিক নেতা।

সরকারের ঢালাও অভিযোগ অস্বীকৃতি

আওয়ামী লীগ সরকার তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করেছে।  আল-জাজিরা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে  রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়নের যে অভিযোগ বিএনপি করেছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিরোধী দলটি তার রাজনৈতিক অধিকার অনুশীলনের বেলায় ‘‘পরিপূর্ণ স্বাধীনতা” ভোগ করছে। তবে এই সাথে ইনু আরও যোগ করেন যে এর অর্থ এই নয় যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ বিরোধীরা করলে সেটা তারা প্রতিরোধ করবে না।”

২০১৪ সালের  বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হলে ইনু বলেন, ঐ নির্বাচন সংবিধান মানতে করা হয়। বিএনপি যদি ঐ নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সেটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যা তারা পরে বুঝতে পেরেছে তাদের সে সিদ্ধান্ত ছিল ভুল। বিএনপি ঐ নির্বাচন বয়কট করে আর তার ফলে এরকম ভীতির সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া এমনি করে আবারও ক্ষুনণ করা হবে।

তথ্যমন্ত্রী জার্মান থিংক ট্যাংকের এই প্রতিবেদনও প্রত্যাখ্যান করেন যে আলীগ সরকার স্বৈর সরকার। তিনি বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে থিংক ট্যাংক মন্তব্য করেছে যার কোনো ভিত্তি নেই। তিনি বরং জানতে চান, তারা কোনো উপাত্ত ও তথ্যাদি দেখে এটা করেছে। তিনি দাবি করেন, বিচার বিভাগ ও মিডিয়াসহ  গণতন্ত্রের সকল শাখা পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।

সিনিয়র আলীগ নেতা ফারুক খান আল-জাজিরাকে বলেন, অধিকার সংস্থা যে বাংলাদেশের মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তুলছে তা সত্য নয়। বরং আমাদের সরকার লাখো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে মানবাধিকারকে সমুন্নত করেছে।

‘গণতন্ত্রের জন্য বিপদাভাস’

অবশ্য সরকারের এসব দোহাই কিন্ত অধিকার সংস্থা মেনে নিচ্ছে না। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর মীনাক্ষী গাঙ্গুলি  বলছেন,  বাংলাদেশ হয়তো রোহিঙ্গা প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সুখ্যাতি পেতে পারে কিন্ত তার নিজের দেশের ভেতরের মানবাধিকার পরিস্থিতি তো উদ্বেগজনক রয়েই গেছে। এমনি করে সরকার ক্রমাগতভাবে বলপ্রয়োগে মানুষ অপহরণ বা গুম করার অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছ… সরকারকে নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া মানুষগুলিকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে। এর রেশ টেনে গাঙ্গুলি আল-জাজিরাকে বলেন, এই যারা গুম বা গায়েব হয়ে গেছে তাদের অনেকেই তো বিরোধী রাজনীতির সাথে জড়িত।”

গাঙ্গুলি আরও জানান, বাংলাদেশে সাংবাদিক ও সক্রিয়তাবাদীরা ভয়ভীতি ও আতঙ্ককর পরিবেশের মাঝে কাজ করছেন।  সোশ্যাল মিডিয়ায় সররকারের সমালোচনার জন্য বহু নাগরিকের বিরুদ্ধে কেস ঠুকে দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আলি রিয়াজ আল-জাজিরাকে বলেছেন,  ‘‘বাংলাদেশের চলতি রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্তিতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযোগী নয় ,আর ‘সর্বসমেত অন্তর্ভুক্তি  নির্বাচন! --- সেতো দুরের কথা!”  তিনি আরও বলেন, ‘‘ বিরোধীদের দমন-নির্যাতন কেবল অবিজ্ঞোচিতই নয় বরং শাসক দলগুলির কথাটা ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখাচ্ছে।”  
   
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সরকার বিএনপি ও অন্য কিছু দলকে সমাবেশ-মিছিল করতে দিতে চান না নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে অথচ সেই তারাই আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বিশাল বিশাল সমাবেশ করেই চলেছেন নির্বিকারচিত্তে। তিনি জানান, এ এমন এক সরকার ও এমন এক রাজনৈতিক দল যারা নিজেদেরকে কারও কাছে তদের কোনো জবাবদিহিতা আছে  বলে গ্রাহ্যই করে না। এটি গণতন্ত্রের জন্য এক বিপদসঙ্কেত।”

  • সূত্র - আল-জাজিরা নিউজ


No comments:

Post a Comment